কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
জল্হাদ তোমার প্রভুকে বোলো । সোমক দাস ।পাঠক ।ষাট টাকা ।
আমি ঈশ্বরের মতো কারো কাঁধ খামচে ধরে বলে ফেলি/ - মাঝে মাঝে আমিও জিতে যাই ' ( ' বিস্তার ') , অতল ঘুমের মধ্যে হাত নাড়ে শিশু/ নির্বোধ ও নিশ্চিন্ত/ করুণ ও সুন্দর ' ( ' দিনরাত ') এই দুটি উচ্চারণের ভেতর দিয়ে নির্বিবাদে কবজির মোচড় ও আলাদা স্বাদ চিন্হিত করেন কবি সোমক দাস তাঁর কাব্যগ্রন্থ ' জল্হাদ তোমার প্রভুকে বোলো ' তে। কবি সোমকের ভেতরে যে কবিতা বাসা বেঁধে থাকে, তাকে জাগানোর দায় কবির । কবি তা সন্তর্পণে সেরে প্রকৃত শব্দের মাধ্যমে তার সুরভি দেন পাঠককুলে । তারা সমৃদ্ধ হয় ।
সোমকের কবিতার ভেতরে যুক্তি , কাব্য, সাদামাঠা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে ব্যন্জ্ঞনা সৃষ্টি হয় তার থেকে পেয়ে যাই এ ধরনের পংক্তি: ' তৃষ্ণার্ত চোখে তুমি চেয়ে দেখো হাস্যকর মৃত্যুর দিকে আজও । ' ( ' পরিব্রাজক ' ), ' তুমি শিল্পিত আঁধারের মতো কেঁপে ওঠো, সে কি ভয়ে, না নির্জন শীৎকারে ' ( 'অন্তর্লীন ') সহ বহু উচ্চারণে ।
সোমকের নির্ভেজাল প্রতিবাদ তন্নিষ্ঠ করে । তাঁকে বুঝি, তাই তাঁর কবিতায় প্রতিবাদ রূপ আলাদা করে পেয়ে যেতে আকাঙ্ক্ষা বাড়ে: ' শেষ পর্যন্ত, একা একা হোটেল হিন্দুস্থানে / পাঁচ পেগ টিচার্স সেরে বাড়ি ফিরে/ ডাল আলুভাতে দিয়ে/ ভাত খেলাম! / সেটাই শান্তি । ' ( ' ভাত ' )। সোমক দাস তাঁর স্বভাবগত ভাবে কবিতাকে আকর্ষক করে তুলেছেন । দেবাশিস সাহা র প্রচ্ছদ যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি । সামান্য কিছু বাদ দিয়ে বহু ভালোমন্দের কবিতা বইয়ের প্রচ্ছদ যে দক্ষতায় তিনি গড়ে তুলেছেন তাতে বাহবা দিতেই হবে। আলোচ্য বইটি তার বিশেষ উদাহরণ ।
জল্হাদ তোমার প্রভুকে বোলো । সোমক দাস ।পাঠক ।ষাট টাকা ।
আমি ঈশ্বরের মতো কারো কাঁধ খামচে ধরে বলে ফেলি/ - মাঝে মাঝে আমিও জিতে যাই ' ( ' বিস্তার ') , অতল ঘুমের মধ্যে হাত নাড়ে শিশু/ নির্বোধ ও নিশ্চিন্ত/ করুণ ও সুন্দর ' ( ' দিনরাত ') এই দুটি উচ্চারণের ভেতর দিয়ে নির্বিবাদে কবজির মোচড় ও আলাদা স্বাদ চিন্হিত করেন কবি সোমক দাস তাঁর কাব্যগ্রন্থ ' জল্হাদ তোমার প্রভুকে বোলো ' তে। কবি সোমকের ভেতরে যে কবিতা বাসা বেঁধে থাকে, তাকে জাগানোর দায় কবির । কবি তা সন্তর্পণে সেরে প্রকৃত শব্দের মাধ্যমে তার সুরভি দেন পাঠককুলে । তারা সমৃদ্ধ হয় ।
সোমকের কবিতার ভেতরে যুক্তি , কাব্য, সাদামাঠা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে ব্যন্জ্ঞনা সৃষ্টি হয় তার থেকে পেয়ে যাই এ ধরনের পংক্তি: ' তৃষ্ণার্ত চোখে তুমি চেয়ে দেখো হাস্যকর মৃত্যুর দিকে আজও । ' ( ' পরিব্রাজক ' ), ' তুমি শিল্পিত আঁধারের মতো কেঁপে ওঠো, সে কি ভয়ে, না নির্জন শীৎকারে ' ( 'অন্তর্লীন ') সহ বহু উচ্চারণে ।
সোমকের নির্ভেজাল প্রতিবাদ তন্নিষ্ঠ করে । তাঁকে বুঝি, তাই তাঁর কবিতায় প্রতিবাদ রূপ আলাদা করে পেয়ে যেতে আকাঙ্ক্ষা বাড়ে: ' শেষ পর্যন্ত, একা একা হোটেল হিন্দুস্থানে / পাঁচ পেগ টিচার্স সেরে বাড়ি ফিরে/ ডাল আলুভাতে দিয়ে/ ভাত খেলাম! / সেটাই শান্তি । ' ( ' ভাত ' )। সোমক দাস তাঁর স্বভাবগত ভাবে কবিতাকে আকর্ষক করে তুলেছেন । দেবাশিস সাহা র প্রচ্ছদ যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি । সামান্য কিছু বাদ দিয়ে বহু ভালোমন্দের কবিতা বইয়ের প্রচ্ছদ যে দক্ষতায় তিনি গড়ে তুলেছেন তাতে বাহবা দিতেই হবে। আলোচ্য বইটি তার বিশেষ উদাহরণ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন