ব্যক্তিত্ব
শিক্ষক সুদীপকুমার খাঁড়া রক্তদানে সদাব্যস্ত ছিলেন লকডাউনের কঠিন সময়েও
নিজস্ব কলম
শিক্ষক ও সমাজকর্মী সুদীপ কুমার খাঁড়ার জন্ম অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার, ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধাগোবিন্দ গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়,মহাপাল শ্রী বিদ্যাপীঠ,বেলদা গঙ্গাধর একাডেমি, মেদিনীপুর কলেজ,বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যাসাগর শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে। ইতিহাসের ছাত্র সুদীপবাবু ২০০৪ সালে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। নেতৃত্বদান ও সমাজসেবায় তাঁর হাতখড়ি সেই ছাত্রজীবন থেকেই। একজন ছাত্রদরদী শিক্ষক হিসেবে ক্লাসরুমের পঠন-পাঠনের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশে তাদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক নানা কর্মসূচিতে পাশে থেকে উৎসাহিত করেন। নিজের বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের গন্ডীর বাইরেও মেধাবী অথচ আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রীর পাশে দাঁড়িছেন কখনো ব্যক্তিগত ভাবে, কখনও যে সব সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সেই সব সংস্থার সাহায্য নিয়ে আবার অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ছাত্রদের স্কলারশিপসহ অন্যান্য প্রয়োজনে কখনো ছুটে গেছেন হুগলীর উত্তরপাড়া, কখনো কলকাতায়।ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে সামর্থ মত সর্বদায় সচেষ্ট থাকেন নানা সাংস্কৃতিক, পরিবেশ সচেতনতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা সহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে।সেই ১৯৯৮ সালে কলেজে পড়ার সময় থেকেই নিয়মিত রক্তদান করেন। এখনো পর্যন্ত চল্লিশ বারের বেশি রক্তদান করে ফেলেছেন। শুধু নিজে রক্তদান করে ক্ষান্ত থাকেননি যুক্ত থাকা বিভিন্ন সংগঠন,পরিচিত বন্ধু-বান্ধব ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে চেনা-অচেনা বহু মানুষের জন্য রক্ত যোগাড় করে দিয়েছেন রক্তদান আন্দোলনের এই অগ্রণী সেনানী। মুমুর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে মেদিনীপুর শহরের যাঁরা অগ্র পশ্চাৎ বিবেচনায় না করে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন তাঁর মধ্যে সুদীপবাবু অন্যতম।আর এ কাজটা তিনি কলেজ জীবন থেকেই করে চলেছেন। রোগীর রক্তের প্রয়োজনে রাতদুপুরেও ছুটে যান হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন সহ, কোভিড আক্রান্ত রোগীকে ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতাসহ, বিভিন্ন ভাবে সমস্যায় থাকা মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। লেখালেখির প্রবল ইচ্ছা রয়েছে, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মাঝে মাঝে লেখালেখি করেন। তবে নানা কাজের চাপে সেটা সবসময় হয়ে ওঠে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন