কিছু বই কিছু কথা
নীলাঞ্জন কুমার
আড়াই চাল । রিতা মিত্র । কবিতা পাক্ষিক । ত্রিশ টাকা ।
যখন কোন নব্য কবিতাকার লিখে ফেলেন ' হৃদয়ে প্রবেশ -পথে কোন মেটাল ডিটেক্টর নেই ' , ' একটানা বৃষ্টিতে ভেজা কল্পনাগুলো/ মনের আনন্দে আজ সানবাথ নিচ্ছে ' , ' এ শরীর শ্মশান হবে একদিন, আমার স্বপ্নেরা সহমরণে যাবে ' -র মতো উচ্চারণ, তখন বোঝা যায় তিনি বেশ আয়োজন করেই নেমেছেন কবিতা জগতে । কবি রিতা মিত্র -র প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আড়াই চাল ' , যদিও কব্জির মোচড়ে এখনো তেমন কুশলী চাল দিতে পারেনি, তবু তাঁকে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করাই যায় ।
তাঁর কবিতা কুশলী হয়ে ওঠে না কিছু অহেতুক উচ্চারণ, বেশি কথা বলার প্রবণতা, কাব্যিকতার থেকে বিষয়গত দিক কবিতায় জোরালো হয়ে যাওয়ার কল্যাণে । ' মাছভাজা বা চিপস সহকারে চা ' , ' ডালে ডালে বাঁদরের লাফালাফি ' ইত্যাদি ইত্যাদিতে প্রকট হয়ে যায় কাব্যিকতার অভাবে । ভবিষ্যতে হঠাৎ হঠাৎ আবেগীয় কাব্যিক প্রবণতা তাঁকে পরিহার করতে হবে বৈকি ।
তবু বলবো রীতার কবিতা অচ্ছুত জায়গায় ফেলা যাবে না তাঁর সারল্য, কল্পনা করার বিশেষ গুণ, কিছু পংক্তির ভেতরে গভীরতার কারণে । সে কারণে যে সব পংক্তি একেবারে মুছে ফেলার নয়, সে রকম: ' তোমার ছোঁড়া বিশ্বাসঘাতক বর্ষার/ হৃদয়ে এফোঁড় ওফোঁড় হলেও/ রক্ত ঝরাতে দেখেনি কেউ ' ( ' হৃদয় ') ,
' কৃষ্ণজিতের ঘোড়া দুটি দেওয়ালে লটকাতে থাকে/ দেওয়ালে গাঁথা পেরেকে , আরেকটি রাতের অপেক্ষায় '
( ' কৃষ্ণজিতের ঘোড়া ' ) । প্রচ্ছদের ছবিটি মাধুর্যপূর্ণ।
নীলাঞ্জন কুমার
আড়াই চাল । রিতা মিত্র । কবিতা পাক্ষিক । ত্রিশ টাকা ।
যখন কোন নব্য কবিতাকার লিখে ফেলেন ' হৃদয়ে প্রবেশ -পথে কোন মেটাল ডিটেক্টর নেই ' , ' একটানা বৃষ্টিতে ভেজা কল্পনাগুলো/ মনের আনন্দে আজ সানবাথ নিচ্ছে ' , ' এ শরীর শ্মশান হবে একদিন, আমার স্বপ্নেরা সহমরণে যাবে ' -র মতো উচ্চারণ, তখন বোঝা যায় তিনি বেশ আয়োজন করেই নেমেছেন কবিতা জগতে । কবি রিতা মিত্র -র প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আড়াই চাল ' , যদিও কব্জির মোচড়ে এখনো তেমন কুশলী চাল দিতে পারেনি, তবু তাঁকে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করাই যায় ।
তাঁর কবিতা কুশলী হয়ে ওঠে না কিছু অহেতুক উচ্চারণ, বেশি কথা বলার প্রবণতা, কাব্যিকতার থেকে বিষয়গত দিক কবিতায় জোরালো হয়ে যাওয়ার কল্যাণে । ' মাছভাজা বা চিপস সহকারে চা ' , ' ডালে ডালে বাঁদরের লাফালাফি ' ইত্যাদি ইত্যাদিতে প্রকট হয়ে যায় কাব্যিকতার অভাবে । ভবিষ্যতে হঠাৎ হঠাৎ আবেগীয় কাব্যিক প্রবণতা তাঁকে পরিহার করতে হবে বৈকি ।
তবু বলবো রীতার কবিতা অচ্ছুত জায়গায় ফেলা যাবে না তাঁর সারল্য, কল্পনা করার বিশেষ গুণ, কিছু পংক্তির ভেতরে গভীরতার কারণে । সে কারণে যে সব পংক্তি একেবারে মুছে ফেলার নয়, সে রকম: ' তোমার ছোঁড়া বিশ্বাসঘাতক বর্ষার/ হৃদয়ে এফোঁড় ওফোঁড় হলেও/ রক্ত ঝরাতে দেখেনি কেউ ' ( ' হৃদয় ') ,
' কৃষ্ণজিতের ঘোড়া দুটি দেওয়ালে লটকাতে থাকে/ দেওয়ালে গাঁথা পেরেকে , আরেকটি রাতের অপেক্ষায় '
( ' কৃষ্ণজিতের ঘোড়া ' ) । প্রচ্ছদের ছবিটি মাধুর্যপূর্ণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন