পূরবী~ ৩৩
অভিজিৎ চৌধুরী
টাচ অফ নেচার।শব্দটা প্রায় বলতেন।তাই লন্ডনে বসেও মনে পড়ত শান্তিনিকেতনের কথা।
তিরস্কারের উত্তরাধিকার বহন করতে করতে ক্লান্ত রথী একদিন বিশ্বভারতী ছেড়েছিলেন।
বিশ্বভারতী,শান্তিনিকেতন যে বদলাচ্ছে,তীর্থও টের পেয়েছে।সুভদ্র নন যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন।ব্যথা হলেও তো বলার কিছু নেই।
কিন্তু তীর্থ জানে,তিনি আসেন গানে গানে।অমল জেগে ওঠে তখন সুধার স্পর্শে।
এরকমটাই হয় জীবনে।অমৃত মন্থনে হলাহল ওঠে।মানুষের আয়ু নিতান্ত সংখ্যা হয়ে যায়। জন্মদিন,মৃত্যুদিন সেও তো সংখ্যা।রবীন্দ্রনাথও নিয়মমাফিক হয়ে যান।
তোমার জন্য ফুল এনেছিলুম অমল।
ছুটির বাঁশি বাজছে কাছে দূরে।
পূরবীর অস্তরাগে অমলের তখন যাত্রা৷ অবিরাম বর্ষণের পর রাতে চাঁদ ওঠে।আবহাওয়ার পূর্বাভাস মিথ্যে করে শরতের রোদ লুটোপুটি খায়।একচালার প্রতিমাকে প্রাণভরে প্রণাম করে তীর্থ। কোন আস্তিকতা নয় কারণ কাশের চামর তখন হাওয়ায় হাওয়ায় দুলে দুলে উঠছে।
মা বলেন,আমরা চলে গেলে তুই পারবি তো!
বাবা বললেন,এতো কল্পনা নিয়ে পৃথিবীতে বাস করা যায় না।জীবন বড় কুটিল হিংস্র।
মাকে দাহ করে একান্তে কাঁদে তীর্থ। আজ সে বড় একা।
কে!
পুণ্য সলিলা গঙ্গার দিকে তাকিয়ে মনে হয় জীবন অনন্ত কিন্তু নিস্তরঙ্গ নদীর ঢেউগুলি ভালোবাসার রেণুতে মাখা।
চমকে তাকায় তীর্থ। প্রদাহ স্মৃতি! না,সে যে চলমান বর্তমান।
হাত বাড়িয়ে বলে, বন্ধু কাছে এসো। বিষ যদি দাও পান করব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন