কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
পরিব্রাজক রবিবার । গুরুপ্রসাদ যশ । বার্ণিক । একশো কুড়ি টাকা ।
যখন কোন কবির একাধিক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পরও কাব্যগ্রন্থের ভেতরে যে টিউনিং থাকে, যা পাঠকের মধ্যে অনুরণিত করে ও তাকে মনে রাখতে বাধ্য হয়, তা কবির অজ্ঞাত থাকা বেশ কষ্টের কারণ হয়ে দেখা দেয় । কবির কবিতার গঠন ও শব্দচয়ন প্রাথমিকভাবে গড়ে দেয় কবিতার ভবিষ্যত । যা বোঝেন প্রকৃত পাঠকবর্গ । মনে রাখা উচিত পাঠক বোকা নয় , অনেক সময় কবির থেকে বেশি বোঝেন । বহু কবি পাঠককে বোকা ভেবে তাঁদের সামনে ছুঁড়ে দেন অপাঠ্য কিছু উচ্চারণ, যা তাঁদের বিব্রত করে ।
কবি গুরুপ্রসাদ যশের কাব্যগ্রন্থ ' পরিব্রাজক রবিবার ' পড়ে সে কথাই উঠে আসে । ' চেনা- অচেনার ভীড়/ সমন্বিত আমির জটিল বিস্ময়/ আমি আমিতে হারিয়ে গেলাম ।। ' ( ' আমি '), ভালোবাসার কোন ভৌগলিক/ সীমারেখা নেই/ দুচোখ ও হ্ঈদয় বলে দেয়/ ভালোবাসার কথা ।' ( ' সীমারেখা ')-এর মতো কবিতা যে সঠিক মান্যতা নিয়ে গড়ে ওঠে না, কবির বোঝা উচিত । তাঁর আরো বোঝা উচিত যে, একটি কবিতার প্রতিটি শব্দ মহার্ঘ । প্রকৃত পাঠক তার থেকে অমৃত রস পান করেন।
তবু তারই মধ্যে : ' আমার মন খারাপে/ শিশির বিন্দু/ তোমার/ বুকের উত্তাপে শুকাবো বলে/ অপেক্ষা করি ।। ' ( ' অলীক স্বপ্ন ') , ' খিদের শিল্প হয়ে গজিয়ে ওঠে/ ভাতের শরীর ' ( ' নদী ২') মন্দের ভালো হলেও এখানে 'শুকাব' -র বদলে শুকোবো আর 'গজিয়ে ' শব্দের বদলে অন্য শব্দরূপ ব্যবহার ভিন্ন মাত্রা পেতো । 'পরিব্রাজক রবিবার ' কাব্যগ্রন্থের নামকরণ এই নামের কবিতার মতো অকিঞ্চিৎকর ।
প্রচ্ছদে ওই শিরোনামের ওপর দাঁড়িয়ে কৃষ্ণেন্দু মন্ডল খেই হারিয়েছেন ।
পরিব্রাজক রবিবার । গুরুপ্রসাদ যশ । বার্ণিক । একশো কুড়ি টাকা ।
যখন কোন কবির একাধিক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পরও কাব্যগ্রন্থের ভেতরে যে টিউনিং থাকে, যা পাঠকের মধ্যে অনুরণিত করে ও তাকে মনে রাখতে বাধ্য হয়, তা কবির অজ্ঞাত থাকা বেশ কষ্টের কারণ হয়ে দেখা দেয় । কবির কবিতার গঠন ও শব্দচয়ন প্রাথমিকভাবে গড়ে দেয় কবিতার ভবিষ্যত । যা বোঝেন প্রকৃত পাঠকবর্গ । মনে রাখা উচিত পাঠক বোকা নয় , অনেক সময় কবির থেকে বেশি বোঝেন । বহু কবি পাঠককে বোকা ভেবে তাঁদের সামনে ছুঁড়ে দেন অপাঠ্য কিছু উচ্চারণ, যা তাঁদের বিব্রত করে ।
কবি গুরুপ্রসাদ যশের কাব্যগ্রন্থ ' পরিব্রাজক রবিবার ' পড়ে সে কথাই উঠে আসে । ' চেনা- অচেনার ভীড়/ সমন্বিত আমির জটিল বিস্ময়/ আমি আমিতে হারিয়ে গেলাম ।। ' ( ' আমি '), ভালোবাসার কোন ভৌগলিক/ সীমারেখা নেই/ দুচোখ ও হ্ঈদয় বলে দেয়/ ভালোবাসার কথা ।' ( ' সীমারেখা ')-এর মতো কবিতা যে সঠিক মান্যতা নিয়ে গড়ে ওঠে না, কবির বোঝা উচিত । তাঁর আরো বোঝা উচিত যে, একটি কবিতার প্রতিটি শব্দ মহার্ঘ । প্রকৃত পাঠক তার থেকে অমৃত রস পান করেন।
তবু তারই মধ্যে : ' আমার মন খারাপে/ শিশির বিন্দু/ তোমার/ বুকের উত্তাপে শুকাবো বলে/ অপেক্ষা করি ।। ' ( ' অলীক স্বপ্ন ') , ' খিদের শিল্প হয়ে গজিয়ে ওঠে/ ভাতের শরীর ' ( ' নদী ২') মন্দের ভালো হলেও এখানে 'শুকাব' -র বদলে শুকোবো আর 'গজিয়ে ' শব্দের বদলে অন্য শব্দরূপ ব্যবহার ভিন্ন মাত্রা পেতো । 'পরিব্রাজক রবিবার ' কাব্যগ্রন্থের নামকরণ এই নামের কবিতার মতো অকিঞ্চিৎকর ।
প্রচ্ছদে ওই শিরোনামের ওপর দাঁড়িয়ে কৃষ্ণেন্দু মন্ডল খেই হারিয়েছেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন