সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১২৫.
কপা ১ - ২ সংখ্যা থেকে একলাফে ২৫১ সংখ্যা। এই সংখ্যার প্রচ্ছদে বড়ো বড়ো টাইপে ছাপা হয়েছিল :
দেখতে দেখথে দশ-দশটা বছর কেটে গেল। মনে হল গতকালটা ছিল ১৪০০ বঙ্গাব্দের ২৪ শে বৈশাখ। আর আজ ঘুম থেকে উঠে ক্যালেন্ডারে দেখলাম ১১ বৈশাখ ১৪১০ বঙ্গাব্দ। আসলে আমরা এই ১০টা বছরকে পার করেছি পার করেছি ২৪ ঘণ্টার দূরত্বে। এ জন্যেই এই অসাধ্যসাধন আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।
কপা ২৫১ -র বিষয় ছিল : আমাদের কবিতাপাক্ষিক। আমাদের পরিবারের মোট ৫১ জন লিখেছিলাম 'আমাদের কবিতাপাক্ষিক '।
আর ছিল
১০ বছর শিরোনামে
১॥ কবিতাপাক্ষিক-এর কর্মযজ্ঞ
২॥ কবিতাপাক্ষিক প্রকাশনার গ্রন্থতালিকা
তাছাড়া
নির্বাচিত দুটি বিজ্ঞাপন
তৎসহ
সম্পাদকীয় এবং কবিতাসংবাদ।
সম্পাদকীয় আমি লিখেছিলাম স্বনামে। আর কবিতাসংবাদ নাসের হোসেন লিখেছিল অর্জুন মিশ্র কলমনামে।
প্রথমে সম্পাদকীয় থেকে দু-চার লাইন :
আমি জানি , একটা শতাব্দীতে পাঁচজনের বেশি মহৎ কবির জন্ম হয় না। ঠিক কোন পাঁচজন ঠিক জানা না থাকার জন্য পাঁচশো জনের কবিতা ছাপি। দুটো শতাব্দী মিলিয়ে দশজন ' মহৎ কবি ' হলে কবিতাপাক্ষিক থেকে মাত্র পাঁচজন উঠে আসলে আমাদের শ্রম এবং সংকল্প সার্থক হবে।
এখন মনে হয় সেসময় এতটা অহংকার-প্রদর্শন হয়তবা ঠিক হয়নি। কিন্তু লেখা তো পাখি নয় যে তাকে ফিরিয়ে আনব।
আমাদের কবিতাপাক্ষিক শিরোনামে আমার লেখাটি পত্রিকার শুরুর লেখা ছিল । সেখানেও পাখি এসেছিল। তার প্রথম প্যারাটি পড়ুন :
আমার স্ত্রী রাজমাতা যূথিকা চৌধুরানি একটি রচনার কথা প্রায়ই বলেন , যেটি তিনি লিখবেন , তার নাম
' কত পাখি এল গেল '। আমি ঠিক এভাবে ভাবতে অভ্যস্ত নই। আমি বিশ্বাস করি মানুষ এবং পাখির ফিজিওলজি এক নয়। আর মানুষকে পাখিরূপে দেখা আমার চোখের পক্ষে কঠিনতম কাজ। আমার স্ত্রী যাঁদের পাখিরূপে চিহ্নিত করেন , আমি তাঁদের চিনি কবিযশোপ্রার্থী রূপে --- এটুকু লিখতে দ্বিধা নেই। পাখিদের যাতায়াত বিষয়ক রচনাটি বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশ করা গেল না, পরবর্তী কোনো সংখ্যায় সেটি শোভিত হবে।
এই উদ্ধৃতির পর জানিয়ে রাখি ওই লেখাটি যূথিকা এখনো লিখে উঠতে পারেননি। এবার আমাকেই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ আমাকেই লিখতে হবে।
কপা ২৫১ -র লেখাটির শেষে লিখেছিলাম :
আমার স্পর্ধা , আমার কথা।
ওখানে কী লিখেছিলাম সেটাও পড়তে বলছি :
কবিতাপাক্ষিক প্রকাশের আগে বাংলা কবিতা ঠিক কোন অবস্থায় ছিল বা কীভাবে লেখা হত আর কবিতাপাক্ষিক প্রকাশের পর বাংলা কবিতা কী অবস্থায় আছে বা কীভাবে লেখা হচ্ছে সেটার একটা তুলনামৃলক বিশ্লেষণ করুন , করে দেখুন আমরা সত্যিই কি বাংলা কবিতার নতুন মানচিত্র নির্মাণ করতে পেরেছি ? যদি না পারি তাহলে, আমাদের নির্বাসন দিন কোনো দ্বীপে অথবা একটি পোস্টকার্ড পাঠিয়ে আমাদের অহংকারকে চূর্ণ করে দিন।
এই লেখার পর বহু বছর অতিক্রম করে এলাম , আজ অবধি একটিও পোস্টকার্ড পাইনি।
আমার চ্যালেঞ্জ কিন্তু আজও জারি আছে।
আসুক পোস্টকার্ড !
প্রভাত চৌধুরী
১২৫.
কপা ১ - ২ সংখ্যা থেকে একলাফে ২৫১ সংখ্যা। এই সংখ্যার প্রচ্ছদে বড়ো বড়ো টাইপে ছাপা হয়েছিল :
দেখতে দেখথে দশ-দশটা বছর কেটে গেল। মনে হল গতকালটা ছিল ১৪০০ বঙ্গাব্দের ২৪ শে বৈশাখ। আর আজ ঘুম থেকে উঠে ক্যালেন্ডারে দেখলাম ১১ বৈশাখ ১৪১০ বঙ্গাব্দ। আসলে আমরা এই ১০টা বছরকে পার করেছি পার করেছি ২৪ ঘণ্টার দূরত্বে। এ জন্যেই এই অসাধ্যসাধন আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।
কপা ২৫১ -র বিষয় ছিল : আমাদের কবিতাপাক্ষিক। আমাদের পরিবারের মোট ৫১ জন লিখেছিলাম 'আমাদের কবিতাপাক্ষিক '।
আর ছিল
১০ বছর শিরোনামে
১॥ কবিতাপাক্ষিক-এর কর্মযজ্ঞ
২॥ কবিতাপাক্ষিক প্রকাশনার গ্রন্থতালিকা
তাছাড়া
নির্বাচিত দুটি বিজ্ঞাপন
তৎসহ
সম্পাদকীয় এবং কবিতাসংবাদ।
সম্পাদকীয় আমি লিখেছিলাম স্বনামে। আর কবিতাসংবাদ নাসের হোসেন লিখেছিল অর্জুন মিশ্র কলমনামে।
প্রথমে সম্পাদকীয় থেকে দু-চার লাইন :
আমি জানি , একটা শতাব্দীতে পাঁচজনের বেশি মহৎ কবির জন্ম হয় না। ঠিক কোন পাঁচজন ঠিক জানা না থাকার জন্য পাঁচশো জনের কবিতা ছাপি। দুটো শতাব্দী মিলিয়ে দশজন ' মহৎ কবি ' হলে কবিতাপাক্ষিক থেকে মাত্র পাঁচজন উঠে আসলে আমাদের শ্রম এবং সংকল্প সার্থক হবে।
এখন মনে হয় সেসময় এতটা অহংকার-প্রদর্শন হয়তবা ঠিক হয়নি। কিন্তু লেখা তো পাখি নয় যে তাকে ফিরিয়ে আনব।
আমাদের কবিতাপাক্ষিক শিরোনামে আমার লেখাটি পত্রিকার শুরুর লেখা ছিল । সেখানেও পাখি এসেছিল। তার প্রথম প্যারাটি পড়ুন :
আমার স্ত্রী রাজমাতা যূথিকা চৌধুরানি একটি রচনার কথা প্রায়ই বলেন , যেটি তিনি লিখবেন , তার নাম
' কত পাখি এল গেল '। আমি ঠিক এভাবে ভাবতে অভ্যস্ত নই। আমি বিশ্বাস করি মানুষ এবং পাখির ফিজিওলজি এক নয়। আর মানুষকে পাখিরূপে দেখা আমার চোখের পক্ষে কঠিনতম কাজ। আমার স্ত্রী যাঁদের পাখিরূপে চিহ্নিত করেন , আমি তাঁদের চিনি কবিযশোপ্রার্থী রূপে --- এটুকু লিখতে দ্বিধা নেই। পাখিদের যাতায়াত বিষয়ক রচনাটি বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশ করা গেল না, পরবর্তী কোনো সংখ্যায় সেটি শোভিত হবে।
এই উদ্ধৃতির পর জানিয়ে রাখি ওই লেখাটি যূথিকা এখনো লিখে উঠতে পারেননি। এবার আমাকেই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ আমাকেই লিখতে হবে।
কপা ২৫১ -র লেখাটির শেষে লিখেছিলাম :
আমার স্পর্ধা , আমার কথা।
ওখানে কী লিখেছিলাম সেটাও পড়তে বলছি :
কবিতাপাক্ষিক প্রকাশের আগে বাংলা কবিতা ঠিক কোন অবস্থায় ছিল বা কীভাবে লেখা হত আর কবিতাপাক্ষিক প্রকাশের পর বাংলা কবিতা কী অবস্থায় আছে বা কীভাবে লেখা হচ্ছে সেটার একটা তুলনামৃলক বিশ্লেষণ করুন , করে দেখুন আমরা সত্যিই কি বাংলা কবিতার নতুন মানচিত্র নির্মাণ করতে পেরেছি ? যদি না পারি তাহলে, আমাদের নির্বাসন দিন কোনো দ্বীপে অথবা একটি পোস্টকার্ড পাঠিয়ে আমাদের অহংকারকে চূর্ণ করে দিন।
এই লেখার পর বহু বছর অতিক্রম করে এলাম , আজ অবধি একটিও পোস্টকার্ড পাইনি।
আমার চ্যালেঞ্জ কিন্তু আজও জারি আছে।
আসুক পোস্টকার্ড !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন