কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
ঘুমের অক্ষর । প্রাণজি বসাক । আদম । আশি টাকা ।
' একদিন কারো সংবাদ আসে/ আলগোছে তুলে রাখি/ রাতের বাতাসে ' ( একদিন কারো সংবাদ আসে ') ' , কতটা শীতকাল রয়েছে কুরুশ কাঁটায়/ ঐ যে গড়িয়ে যায় উল - বন ' ( ' শেষ পংক্তি ') - র মতো কবিতার পংক্তির ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বোঝা যায় কবি প্রাণজি বসাকের কাব্যগ্রন্থ ' ঘুমের অক্ষর ' লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে , কবি গভীরতার দেখা পেলেও গভীরতর আর গভীরতম অবস্থান অন্তরালে ।
প্রথম দিকের কবিতার ভেতরে তাঁর কবিতায় মামুলি দিকটি প্রকট হয়ে উঠতো তা এই কাব্যগ্রন্থে অনেকাংশে উধাও । তাই আনন্দ পাই যখন পড়ি: ' আমার বুক চিরে উঠে আসবে বিষণ্ণ সিঁড়ি/ নামবে কি উঠবে/ এই দ্বন্দ্বে নিশ্চল / সময়কাল ....' (' অপরাহ্ন) ,
' বিনম্র কবিকে ঈশ্বর বলে মনে হয়/ ঈশ্বরকে কবি /কারো হাতেই থাকে না অহংকারের আয়ু ' ( ' আয়ু ') , ঐ যে ঐ দিকে মাঠপ্রান্তর দিগন্তে শস্যের সংসার/ করমচাবাগান শেষে শোক আর রোদের বাহার- যাও '
( ' যাও ')।
পাশাপাশি কবির পুরনো কিছু রোগ তাঁর কিছু কিছু কবিতায় উঁকি মারে, যেমন: ' শুধু তোমাকে নিয়ে না জানি কেন/ গাছ হতে ইচ্ছে করে খুউব ...' ( ' বসন্তে '), ' তবে এ টি এম থেকে তুলে নেব বিষণ্ণতা/ আর খান খান করে উড়িয়ে দেব মনটা ' ( ' মনের হদিশ ' ) -এর মতো অতিসরলীকরণ পংক্তি এত কাব্যগ্রন্থের পরেও কেন কবি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে প্রকাশে মেতে ওঠেন তা বিশেষ গবেষণার বিষয় হয়ে উঠতে পারে ! পার্থপ্রতিম দাসের প্রচ্ছদে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে । তা সার্থকতায় যেতে অনেক বাকি ।
ঘুমের অক্ষর । প্রাণজি বসাক । আদম । আশি টাকা ।
' একদিন কারো সংবাদ আসে/ আলগোছে তুলে রাখি/ রাতের বাতাসে ' ( একদিন কারো সংবাদ আসে ') ' , কতটা শীতকাল রয়েছে কুরুশ কাঁটায়/ ঐ যে গড়িয়ে যায় উল - বন ' ( ' শেষ পংক্তি ') - র মতো কবিতার পংক্তির ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বোঝা যায় কবি প্রাণজি বসাকের কাব্যগ্রন্থ ' ঘুমের অক্ষর ' লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে , কবি গভীরতার দেখা পেলেও গভীরতর আর গভীরতম অবস্থান অন্তরালে ।
প্রথম দিকের কবিতার ভেতরে তাঁর কবিতায় মামুলি দিকটি প্রকট হয়ে উঠতো তা এই কাব্যগ্রন্থে অনেকাংশে উধাও । তাই আনন্দ পাই যখন পড়ি: ' আমার বুক চিরে উঠে আসবে বিষণ্ণ সিঁড়ি/ নামবে কি উঠবে/ এই দ্বন্দ্বে নিশ্চল / সময়কাল ....' (' অপরাহ্ন) ,
' বিনম্র কবিকে ঈশ্বর বলে মনে হয়/ ঈশ্বরকে কবি /কারো হাতেই থাকে না অহংকারের আয়ু ' ( ' আয়ু ') , ঐ যে ঐ দিকে মাঠপ্রান্তর দিগন্তে শস্যের সংসার/ করমচাবাগান শেষে শোক আর রোদের বাহার- যাও '
( ' যাও ')।
পাশাপাশি কবির পুরনো কিছু রোগ তাঁর কিছু কিছু কবিতায় উঁকি মারে, যেমন: ' শুধু তোমাকে নিয়ে না জানি কেন/ গাছ হতে ইচ্ছে করে খুউব ...' ( ' বসন্তে '), ' তবে এ টি এম থেকে তুলে নেব বিষণ্ণতা/ আর খান খান করে উড়িয়ে দেব মনটা ' ( ' মনের হদিশ ' ) -এর মতো অতিসরলীকরণ পংক্তি এত কাব্যগ্রন্থের পরেও কেন কবি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে প্রকাশে মেতে ওঠেন তা বিশেষ গবেষণার বিষয় হয়ে উঠতে পারে ! পার্থপ্রতিম দাসের প্রচ্ছদে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে । তা সার্থকতায় যেতে অনেক বাকি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন