সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৩১.
কবিপক্ষে ১৫ দিন কলকাতার ১৫ টি অঞ্চলে কবিতার কিয়স্ক। এই কর্মসূচির কথা আগেই বলেছি। ২৫ বৈশাখ বা ৯ মে রবীন্দ্রসদন দিয়ে শুরু হয়েছিল , তার রিপোর্টিংও লিখেছি।এখন বাকি ১৪ দিনের কথা ও কাহিনি।
১০ মে -- রাসবিহারী। আমাদের পরিচিত মাঠ। কবিতাপাক্ষিক পরিবারের সকলেই উপস্থিত ছিল। আমি এরপর কেবলমাত্র তারিখ এবং স্থানটুকু উল্লেখ করছি।
১১ মে -- বেহালা চৌরাস্তা
১২ মে --- টালিগঞ্জ মেট্রো
১৩ মে --- আলিপুর , ভবানীভবন
১৪ মে --- বিবাদী বাগ , বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের
সামনে
১৫ মে --- ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়
১৬ মে --- শিয়ালদহ স্টেশন
১৭ মে ---দমদম মেট্রো
১৮ মে --- সিঁথি
১৯ মে --- শ্যামবাজার
২০ মে --- উল্টোডাঙা
২১ মে --- যাদবপুর
২২ মে ---ধর্মতলা , মেট্রো সিনেমার উল্টোদিকে
২৩ মে --- হাজরা মোড়
এই ছিল ঘোষিত কর্মসৃচি।
এর জন্য পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিলাম লালবাজার থেকে।
আর যা প্রাপ্তি তার সবটা লিখে বোঝানো যাবে না। তার উত্তাপ এখনো অনুভব করতে পারছি। প্রতিটি পয়েন্টে সাধারণ পথ-চলতি মানুষজন দশ টাকার বিনিময়ে গীতাঞ্জলি পকেট সংস্করণ সংগ্রহ করেছেন। সঙ্গে ছেলেবেলা , বীরপুরুষ , ডাকঘর , রক্তকরবী , অচলায়ন , মুক্তধারা , জীবনস্মৃতি , ছিন্নপত্র , রবীন্দ্রগান বইগুলিও হাতের কাছে পেয়ে গেছেন। পাশাপাশি আমাদের কবিতার এবং গদ্যের বইও বিক্রি হয়েছে। বিকেল থেকে সন্ধে কত মানুষ জমায়েত হয়েছেন কবিতার কিয়স্ক ঘিরে তা ভাবলে এখনো উল্লসিত হই।
একটি কথা খুব গর্বের সঙ্গে , অহংকারের সঙ্গে ঘোষণা করতে পারি কবিতাপাক্ষিক ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কবিতা নিয়ে নগর-পরিক্রমা করেনি।
আমরা সক্ষম হয়েছিলাম , সফল হয়েছিলাম মাত্র গুটিকয় কারণ। কারণগুলি হল :
১॥ কবিতার প্রতি আমাদের আনুগত্য।
২॥ আমাদের সংঘশক্তি।বা লোকবল।
৩॥ নিজেদের ওপর আস্থা
৪॥ কবিতার জন্য এই কাজটিকে অপরিহার্য মনে
করা।
৫॥ স্বপ্নপূরণের বাসনা।
আরো কিছুকাল পরে আরো বিবিধ কারণগুলি হয়তবা উন্মোচিত হবে। কাজেই অপেক্ষা করা যাক।
প্রভাত চৌধুরী
১৩১.
কবিপক্ষে ১৫ দিন কলকাতার ১৫ টি অঞ্চলে কবিতার কিয়স্ক। এই কর্মসূচির কথা আগেই বলেছি। ২৫ বৈশাখ বা ৯ মে রবীন্দ্রসদন দিয়ে শুরু হয়েছিল , তার রিপোর্টিংও লিখেছি।এখন বাকি ১৪ দিনের কথা ও কাহিনি।
১০ মে -- রাসবিহারী। আমাদের পরিচিত মাঠ। কবিতাপাক্ষিক পরিবারের সকলেই উপস্থিত ছিল। আমি এরপর কেবলমাত্র তারিখ এবং স্থানটুকু উল্লেখ করছি।
১১ মে -- বেহালা চৌরাস্তা
১২ মে --- টালিগঞ্জ মেট্রো
১৩ মে --- আলিপুর , ভবানীভবন
১৪ মে --- বিবাদী বাগ , বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের
সামনে
১৫ মে --- ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়
১৬ মে --- শিয়ালদহ স্টেশন
১৭ মে ---দমদম মেট্রো
১৮ মে --- সিঁথি
১৯ মে --- শ্যামবাজার
২০ মে --- উল্টোডাঙা
২১ মে --- যাদবপুর
২২ মে ---ধর্মতলা , মেট্রো সিনেমার উল্টোদিকে
২৩ মে --- হাজরা মোড়
এই ছিল ঘোষিত কর্মসৃচি।
এর জন্য পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিলাম লালবাজার থেকে।
আর যা প্রাপ্তি তার সবটা লিখে বোঝানো যাবে না। তার উত্তাপ এখনো অনুভব করতে পারছি। প্রতিটি পয়েন্টে সাধারণ পথ-চলতি মানুষজন দশ টাকার বিনিময়ে গীতাঞ্জলি পকেট সংস্করণ সংগ্রহ করেছেন। সঙ্গে ছেলেবেলা , বীরপুরুষ , ডাকঘর , রক্তকরবী , অচলায়ন , মুক্তধারা , জীবনস্মৃতি , ছিন্নপত্র , রবীন্দ্রগান বইগুলিও হাতের কাছে পেয়ে গেছেন। পাশাপাশি আমাদের কবিতার এবং গদ্যের বইও বিক্রি হয়েছে। বিকেল থেকে সন্ধে কত মানুষ জমায়েত হয়েছেন কবিতার কিয়স্ক ঘিরে তা ভাবলে এখনো উল্লসিত হই।
একটি কথা খুব গর্বের সঙ্গে , অহংকারের সঙ্গে ঘোষণা করতে পারি কবিতাপাক্ষিক ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কবিতা নিয়ে নগর-পরিক্রমা করেনি।
আমরা সক্ষম হয়েছিলাম , সফল হয়েছিলাম মাত্র গুটিকয় কারণ। কারণগুলি হল :
১॥ কবিতার প্রতি আমাদের আনুগত্য।
২॥ আমাদের সংঘশক্তি।বা লোকবল।
৩॥ নিজেদের ওপর আস্থা
৪॥ কবিতার জন্য এই কাজটিকে অপরিহার্য মনে
করা।
৫॥ স্বপ্নপূরণের বাসনা।
আরো কিছুকাল পরে আরো বিবিধ কারণগুলি হয়তবা উন্মোচিত হবে। কাজেই অপেক্ষা করা যাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন