পূরবী- ৩৭ || অভিজিৎ চৌধুরী
একজনের সঙ্গে ভাব হল না।তার নাম পৌলমী।যতোটা শক্ত নাম আসলে একেবারে পুচকে সে।তীর্থকে দেখে তার মনে হতো জুজু।তার নাম মাম্।
পুপেদিদি বড় বন্ধু ছিলেন কবি।এরকম ছোটদের ভিড় তাঁর কাছে লেগেই থাকত।ওদের প্রাপ্য ছিল লজেন্স আর গল্প।
পক্ষীরাজ,পক্ষীরাজ ডাকলেই আসবে।পলাশিপাড়ায় মন তাই বিশ্বাস করত।সে তীর্থের কথা মতোন জেগেও ছিল। চাঁদের আলোয় সে আসবে বলে।
তাকে তীর্থ বলত,আমার সঙ্গে থাকবে!
শিশুদের একটা ননসেন্স পৃথিবী থাকে তা বড্ডো মিষ্টি।সেখানে রাতে রোদ ওঠে।দিনে দেখা দেয় জ্যোৎস্না।বোসপুকুরটা হঠাৎ প্রশান্ত মহাসাগরের মতোন প্রবল জলোচ্ছ্বাস , কলরল,তরঙ্গ যা কিছু অশৈলি ঘটাতে পারে।
রাতে ভূতেরা আসে।মনে হয় চেয়ার শূন্য পেলে তারা এসে বসে।গান গায়।
সে বলত,না,না।
আমার সঙ্গে খেলবে!
না, ন।
ভালোবাসবে!
না না না।
তাকে না পাওয়াই তো পৃথিবীতে বারবার ফিরে আসার দুর্মর আকর্ষণ।
পৃথিবীর সুসভ্য দেশগুলিতে ছোটদের পড়ান শ্রেষ্ঠ মানুষেরা।শান্তিনিকেতনেও ছোটদের পড়াতেন রবীন্দ্রনাথ।
রথীন্দ্র ও প্রতিমার পালিতা কন্যা নন্দিনী।ডাক নাম পুপে।দুটোই রবীন্দ্রনাথ রেখেছিলেন।
কখনও কখনও ছোটদের গল্পের রাজা অবন ঠাকুরের কথা মনে পড়লেই ডাক পড়ত।
শুরু হতো রাজকাহিনী।
শান্তিনিকেতনে রসায়নের অধ্যাপককে সংগীত ভবনে নিয়ে এসেছিলেন।রামকিংকরকে দিয়েছিলেন যা খুশী গড়ার অবাধ স্বাধীনতা।আর ছবি ভালোবাসতেন সবচেয়ে বেশী অবনের।
একবার এক প্রায় অন্ধ শিল্পী এলেন।নন্দলাল বসুর কাছে অনুরোধ উপরোধ করে নেওয়া হল কলাভবনে।
সহজ পাঠে নন্দলাল সৃষ্টি করলেন চিত্রের এক আশ্চর্য ভুবন।
মুক্তধারা মঞ্চে রবিন আর্ট সেই চিত্রগুলির কপি করেও প্রেক্ষপটে সৃষ্টি করেছিল গ্রামছাড়া রাঙামাটির পথ।
সেই পথ বড্ডো ডাকে।
যাওয়া কি হবে তার!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন