সৌমিত্র রায় -র জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১৪৫.
গতকালের লেখার শেষে কলকাতায় কেন্দ্রীয় কবিতাউৎসব - প্রস্তুতির কথা শুনিয়ে রেখেছিলাম। প্রস্তুতির বিশদে যেতে পারছি না। পরিকল্পনার কথাটি জানিয়ে রাখতে চাইছি। এখনো অনেক প্রান্তের খবর পৌঁছে দেওয়া বাকি আছে। পরিকল্পনা-র সবটা বলছি না। শুরু করছি কবিতাপাক্ষিক ২৬০ -এ প্রকাশিত ব্যাককভারের বিজ্ঞাপনটি দিয়ে। প্রকাশ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৩ ।
কবিতাপাক্ষিক-এর ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে
কলকাতায় কেন্দ্রীয় কবিতাউৎসব
২ নভেম্বর,২০০৩□ বাংলা আকাদেমি সভাগৃহ
সুভাষ মুখোপাধ্যায় মঞ্চ
অগ্রজ কবিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য □ কবিতাপাক্ষিক সম্মান
সনাতন দে স্মৃতি পুরস্কার □কমলেশ চক্রবর্তী স্মারক সম্মান
সেমিনার : বিষয়: ৩০-এর দশক থেকেই পাঠকদের কবিতা- বিমুখতা শুরু
সম্মানপ্রাপক এবং উপস্থিত কবিদের কবিতাপাঠ।
প্রদর্শনী এবং কিয়স্ক : দীপক মজুমদার প্রদর্শশালা
মুক্তমঞ্চ □ অরুণ মিত্র মঞ্চ
অরুণ মিত্র স্মারক সম্মান প্রদান
বোলানগান, রণপা-নাচ , বাউলগান , টুসু-ভাদু গান , গম্ভীরা ,ভাওইয়া , মুসলিম বিবাহের গান
প্রবেশ অবাধ
আমন্ত্রণপত্রের জন্য কবিতাপাক্ষিক দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
এই ব্যাপক অনুষ্ঠানসূচির যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছিল আমাদের কপা পরিবারের সদস্যরাই। বহিরাগতদের কোনো ভূমিকা ছিল না।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৩ দুপুর ৩টেয় বামনগাছি-র অনুষ্ঠানটি হয়েছিল মতিয়ার রহমান মঞ্চে। মনসুর আহমেদ মেমোরিয়াল স্কুলের হলঘরে অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছিল প্রয়াত কবি মতিয়ার রহমানের নামে। আমরা উঠেছিলাম স্থানীয় লাইব্রেরিতে। তখনো সম্ভবত গৌরাঙ্গ মিত্র-র দেশের বাড়ির সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না ততটা।
তবে অনুষ্ঠান বেশ জমজমাট হয়েছিল তার কিছু কিছু ছবি এবং শব্দ উঠে আসছে ।
অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ছিলেন : বীরেশ রায় , মনীষা, বামনগাছি।
২০ সেপ্টেম্বর ২০০৩ বিকেল ৫টায় কবিতাউৎসব হয়েছিল খড়গপুরের কবিতাবাগানে। কবি মানসকুমার চিনি-র বাড়িটির নাম ছিল কবিতাবাগান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল এই অঞ্চলের প্রায় সকল কবিলেখকেরা। প্রফুল্ল পাল দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেকেই সেদিন কবিতাবাগানে এসেছিলেন।
মানসের বাড়িতে রাত্রিবাস করে পরদিন সকালে জামশেদপুর।
২১ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল ৫ টায় জামশেদপুরের অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন : প্রভাত মিত্র , অমরেশ ভট্টাচার্য এবং শ্যামল শীল। অনুষ্ঠান হয়েছিল বিবেকানন্দ মিলন সংঘ, প্রমথনগর , টাটানগর , জামশেদপুর।
আমি ট্রেন থেকে নেমে প্রভাত মিত্র-র হাত ধরে ওনার বাড়িতে গিয়েছিলাম। প্রমথনগরের শান্তিনিকেতন অ্যাপার্টমেন্টে । ওখানেই দুপুরের খাওয়া এবং বিশ্রাম। ওই অঞ্চলটি তখন বাংলাভাষী মানুষজনের প্রাধান্য ছিল।
কাজেই ওখানকার সকলেই কবিতাপাক্ষিকের উৎসব -কে নিজেদের উৎসবে পরিণত করেছিল।
রাত্রে থাকার ব্যবস্থা ছিল স্টেশনের কাছাকাছি একটা হোটেলে। যাতে ভোরের ট্রেন ধরতে অসুবিধা না হয়। পরদিন হাওড়া স্টেশন থেকে সোজা অফিস।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৩ রবিবার দুপুর ১টায় অনুষ্ঠান হয়েছিল কৃষ্ণনগর পৌরপ্রতিষ্ঠান সভাগৃহে। পুরো অনুষ্ঠানটি দেবাশিস চাকী- র একক প্রদর্শনী রূপেও দ্যাখা যেতে পারে। আমরা রাত্রে কৃষ্ণনগরে ছিলাম এটা বেশ মনে আছে। আরো মনে আছে কবি দেবদাস আচার্য দেবাশিস-কে পূর্ণ তথা আন্তরিক সহযোগিতা করেছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন