০৩/০৯/২০২০ চারণকবি বৈদ্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৮৮তম জন্মদিবস উপলক্ষে কবিতাটি রচিত।
চারণকবি বৈদ্যনাথ স্মরণে
ভজন দত্ত
পূর্ব থেকে পশ্চিমে শহরের মাঝপথে
লাল আলখাল্লা পরে তিনি কি আজও হাঁটছেন!
মাচানতলার মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানে কি জানা যায়,শরীরে তার অজস্র পেরেক!
অথচ, এখনো দেওয়ালে দু'ইঞ্চির পেরেক পুতলে
কী সাবলীলভাবে ঈশ্বর ঝুলে থাকে!
হৃদয়ের গভীর ক্ষত থেকে চুঁইয়ে পড়া রক্ত দিয়ে তিনি লিখতে চেয়েছিলেন,
"খোঁজো
নীলকণ্ঠ পাখি খোঁজো
অচিন পাখিকে খোঁজো
নিজের ভেতরে নিজে খোঁজো
সহজিয়া বাউলের মরমীয়া ভাষা
জীবন জিজ্ঞাসা।"
জিজ্ঞাসার উত্তরে মিছিলে মিছিলে রক্তপতাকা হাতে নিয়ে তিনি ছন্দে ছন্দে বলেছিলেন
"ইনকিলাব জিন্দাবাদ"।
বুকের ভেতর অথৈ সাগর উথাল-পাতাল ঢেউ
গানের ভেতর দুখ জাগানিয়া পাগলাভোলা কেউ!
কবিতাকে ভালোবেসে এমন করে কে আর
আউলবাউল বাতাস দু'হাতের মুঠোয় নিয়ে
স্বনির্মিত জতুগৃহে পুড়ে গেছে!
কে ছন্দের নূপুর পায়ে বারোমাস
বুকের বাগান জুড়ে কবিতার চাষ,
বাউণ্ডুলে!
ধুলোমাটি গায়ে মেখে কে কবিতার জন্য ফ্রক,চুড়ি,কাঁচপোকার টিপ আনতে গৃহত্যাগী!
কার কাছেই বা কবিতা জগৎজননী-মহারাণী!
তারই পায়ের ছাপে আমরা হাঁটি
জীবনকে তাঁরই শব্দ দিয়ে খুঁজি,
ভালোবেসে শ্রদ্ধায় বলি চারণকবি।
তাঁকে দেখেছি
এ শহরের শিরা উপশিরা ফালাফালা করে
লাল ঝোলা কাঁধে এক উদাসী ফকির
ঝাকড়া চুল ও অগোছালো দাড়ির
সঙ্গে গুটিগুটি পায়ে কবিতার হাত ধরে
কবিতা এবং ঈশ্বরকে হেঁটে যেতে...
চারণকবি বৈদ্যনাথ স্মরণে
ভজন দত্ত
পূর্ব থেকে পশ্চিমে শহরের মাঝপথে
লাল আলখাল্লা পরে তিনি কি আজও হাঁটছেন!
মাচানতলার মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানে কি জানা যায়,শরীরে তার অজস্র পেরেক!
অথচ, এখনো দেওয়ালে দু'ইঞ্চির পেরেক পুতলে
কী সাবলীলভাবে ঈশ্বর ঝুলে থাকে!
হৃদয়ের গভীর ক্ষত থেকে চুঁইয়ে পড়া রক্ত দিয়ে তিনি লিখতে চেয়েছিলেন,
"খোঁজো
নীলকণ্ঠ পাখি খোঁজো
অচিন পাখিকে খোঁজো
নিজের ভেতরে নিজে খোঁজো
সহজিয়া বাউলের মরমীয়া ভাষা
জীবন জিজ্ঞাসা।"
জিজ্ঞাসার উত্তরে মিছিলে মিছিলে রক্তপতাকা হাতে নিয়ে তিনি ছন্দে ছন্দে বলেছিলেন
"ইনকিলাব জিন্দাবাদ"।
বুকের ভেতর অথৈ সাগর উথাল-পাতাল ঢেউ
গানের ভেতর দুখ জাগানিয়া পাগলাভোলা কেউ!
কবিতাকে ভালোবেসে এমন করে কে আর
আউলবাউল বাতাস দু'হাতের মুঠোয় নিয়ে
স্বনির্মিত জতুগৃহে পুড়ে গেছে!
কে ছন্দের নূপুর পায়ে বারোমাস
বুকের বাগান জুড়ে কবিতার চাষ,
বাউণ্ডুলে!
ধুলোমাটি গায়ে মেখে কে কবিতার জন্য ফ্রক,চুড়ি,কাঁচপোকার টিপ আনতে গৃহত্যাগী!
কার কাছেই বা কবিতা জগৎজননী-মহারাণী!
তারই পায়ের ছাপে আমরা হাঁটি
জীবনকে তাঁরই শব্দ দিয়ে খুঁজি,
ভালোবেসে শ্রদ্ধায় বলি চারণকবি।
তাঁকে দেখেছি
এ শহরের শিরা উপশিরা ফালাফালা করে
লাল ঝোলা কাঁধে এক উদাসী ফকির
ঝাকড়া চুল ও অগোছালো দাড়ির
সঙ্গে গুটিগুটি পায়ে কবিতার হাত ধরে
কবিতা এবং ঈশ্বরকে হেঁটে যেতে...
দারুন।👏👏
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনভীষণ ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনধন্যবাদ 💐
মুছুন