পূরবী~৩৫
অভিজিৎ চৌধুরী
দিদিদের বাড়ির রাস্তার নাম ছিল চার্চ রোড।ছিমছাম পাড়াটা।তীর্থের সেই দিদির নাম ছিল ইলা।
কোন কোন দিন একটু দূরের মাঠে ক্রিকেট।অম্বর রায় ইজ বেটিং।
লং প্লেইং রেকর্ড। বন্য বন্য এই অরণ্য ভাল।বা দোলে দোদুল দোলে দোলনা।
রবীন্দ্রনাথ ফুটবল খেলেননি।তবে ঢাকা থেকে একজনকে ইস্টবেঙ্গল টিমের জন্য নিয়ে এসেছিলেন।পুব বাংলায় ছিল তাঁর শ্বশুর বাড়ি আবার জমিদারিও।
প্রভাত সংগীত সন্ধ্যা সংগীত সে যে অনুকরণ,নিজের কিছু নয় তা ধরে ফেলতেন বউঠান।মুখে কিছু না বলে মুচকি হাসতেন।গান শোনাতে চাইলে বলতেন,রবি তুমি সুপুরিটা ভাল কাটো।
কেন জানি বিমল করের খড়কুটো পড়ার সময় দিদির বাড়ির দশমীর কথা মনে পড়ত।হয়তো তীর্থ বাংলার উপান্তে রেলশহর বলতে আসানসোল কে দেখেছে।
সেখানে জিলিপি পাওয়া যেত না।পাওয়া যেত অমৃতি। খুব কড়া করে ভাজা।
জীবনের ধ্রুবতারা তখন ছিল ফুটবলও।প্লেয়ার হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও পাড়ার ফুটবলে সেছিল স্ট্রাইকার।অনেক গোল সে করেছে।সেভেন সাইড মাঠে খেলার শুরুতে সেন্টার সার্কেল থেকে কতো গোল করেছে।
জামাইবাবু ব্রতচারী করাতেন।খুব আমুদে মানুষ।পাবদা মাছ খেতে ভালোবাসতেন।বলতেন,বল্টু আর দুদিন থেকে যা।
বুড়ো বয়সে কি ছেলেবেলা ফিরে আসে! সব যেন ম্যাজিক।
ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে গিয়ে শ্মশানে দিদিকে দাহ হতে দেখে কেমন যেন হু হু করে উঠেছিল।রহে না রহেঙ্গে হাম।
ইন্দিরাকে বললেন রবীন্দ্রনাথ, বুঝলি অপারেশনের পর মাথাটা পরিস্কার হয়ে যাবে আর ভাল লিখব আমি।
বাহ,এই আকাশ নদী লক্ষ্মী পুজোর গোল চাঁদ আমি ছাড়াই থাকবে!
সত্যি সত্যি এই পৃথিবীতে আমি থাকব না একদিন! সব ঠিক থাকবে তাও কি হয়!
আমি ছাড়া তোমার প্রেম হবে যে মিছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন