পূরবী- ৩২
অভিজিৎ চৌধুরী
জীবনভর আমি বহু তিরস্কৃত হয়েছি।আর আমার ছেলে বলেই রথী সেই তিরস্কারের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেে।সে যখন শক্ত হাতে বিশ্বভারতীর প্রশাসনকে সমর্থ করে তুলতে চাইছে,চারিদিকে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সকলে।
যাঁরা আমার সাহায্য নিয়েছেন,তাঁরা কখনই আমার প্রয়োজনে আসেননি।হয়তো আড়ালে আমাকে বিদ্রূপ করেছেন নানাভাবে।
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে এরকমটাই বলেছেন।
তীর্থ সাধারণ মানুষ হয়ে দেখতে পায় জীবনের মর্ম- কথা ভিন্ন কিছু নয়।
ওপারের জীবনটাও কি এরকমই!
উত্তর নেই কোন।
বিশ্বভারতী ঘিরে নানা বিতর্ক।কোন দিক নির্দেশ জানে না।চাকরির শেষটা সে বীরভূম দেখতে চাইবে।স্বপ্নের প্রয়াণ হবে কিনা জানা নেই।
আর ইচ্ছে-পূরণও হবে না, সে নিশ্চিত জানে।ক্লান্তি বড় গ্রাস করে।রাতে ঘুম হয় না।তখন পূরবী।রাত ভোর হয়।জৈবিক নিয়মে ঘুম যখন আসে ছুটি নেই কোথাও।
তাই বলে তপস্যা ভঙ্গ হবে কেন!
অবিশ্বাস থাকবে,নৈরাজ্যও থাকবে,তিরস্কার থাকবে।তবুও যাত্রীকে অমৃতপথের অনন্তে ডিঙি বাইতেই হবে।সে এমন তরণী বাওয়া যাতে থাকবে শুধু বিশ্বাস আর ভালোবাসা।
রথীন্দ্রনাথকে ছাড়তে হয়েছিল বিশ্বভারতী।চলে গেছিলেন উপান্তে।হয়তো সেই যে একলা পথের পথিকের মতোন দুঃসহ যন্ত্রণাকে অগ্রাহ্য করে চলা কোন সাধারণ কর্ম নয়।
তীর্থও ক্রমশ জীবনকে খেলাঘর হিসেবে দেখেও মনোবেদনার গাঢ়তায় লীন হয়ে যায়নি। নতুন বিশ্বাসে স্থিত হয়েছে।
ব্যথার কথা ভেসে গিয়ে নয়ন আবার নতুন দুরাশার জন্য উন্মুখ থেকেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন