সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১২০.
এক একজন কবি আছেন , যারা আড়াল পছন্দ করে। নিজেকে প্রচারিত করতে চান না। নিজের মতো করে লেখালেখিটা চালিয়ে যান।
দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় ঠিক এই চরিত্রের অন্যতম দৃষ্টান্ত।
কবিতাপাক্ষিক -এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল ৭ মে ১৯৯৩। কালীঘাট মিলন সংঘের সেই সভাঘরে উপস্থিত ছিল দেবব্রত। তখন খড়গপুরে থাকত। ওখান থেকে পৌঁছে গিয়েছিল কালীঘাটে। কবিতাও পড়েছিল। কীভাবে বাড়ি ফিরেছিল সেটা এখনো জানা হয়নি। অথবা জেনেছিলাম , মনে রাখিনি। দ্বিতীয় হলে অভিযোগ কিন্তু গুরুতর।
সেসব অভিযোগ হয়ত প্রাসঙ্গিক নয়। কাজেই অন্য প্রসঙ্গ বা প্রসঙ্গান্তরে যাই। সেই অন্য প্রসঙ্গটি হল দেবব্রত-র কবিতা।
কবিতাপাক্ষিকের দ্বিতীয় সংখ্যায় দেবব্রত-র কবিতাপাক্ষিকে প্রথম আত্মপ্রকাশ। কবিতাটির নাম :
জীবন বিষয়ক।
' রঙিন সামুদ্রিক মাছেরা / খেলা করে/ অ্যাকোরিয়ামের নীল জলে / মাছেদের সন্তরণ/ নিয়ন্ত্রিত নয়/ অ্যাকোরিয়ামের নীল জলের সীমাবদ্ধতায় '
কপা ৭- এ প্রকাশিত কবিতাটির নাম : হাইড্রা।
কপা ২২ - এ এই পক্ষের কবি : দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়।মোট ৬ টি কবিতা।
আমি কিছু পঙ্ ক্তি তুলে ধরছি :
১॥ হিমেল রাতে পাকদণ্ডী দিয়ে হেঁটে যায় / এক অগ্নিময় পুরুষ।
২॥একদিন হিমবাহ পেরিয়ে মোম নারী ভেবেছিল/তার সন্তানকে স্তন দেবে।
৩॥ অই আলপথ জানে / বালিকাটি কীভাবে /একদিন নারী হয়ে গেল...
কবিতাপাক্ষিক ৫০০ থেকে দেবব্রত - র শখ জানা গেল : দেশ- বিদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রা সংগ্রহ করা, ভ্রমণ , গান শোনা ও বইপড়া ।
কপা ৫০০ -র কিছু কবিতা পড়া যাক। প্রথামতো কিছু লাইন পড়ানো যাক :
১॥ আগামীকাল থেকে চাঁদ দেখা দেবে লাজুক মুখে।
২॥ নিঝুম রাতে ধ্বংসস্তূপের আলোর কাছে / এসে আমি নতজানু
৩॥ ঈশ্বর আমাদের গ্রামের বুড়ো বাবা/ যে জন্ম থেকেই কথা বলতে পারে না।
৪॥গ্রিল ছুঁয়ে রাত নেমেছে আমার বারান্দায়
দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো কবিতা চেনা যায় তার পাণ্ডুলিপির হস্তাক্ষর দেখে। এটাও খুব দুর্লভ আজকের দিনে। দেবব্রত খুব দামি কাগজে কবিতা কপি করে পাঠায়। এবং বিশেষ সংখ্যার ঠিক আগেই পৌঁছে যায়।
প্রথমে দেবব্রত-র জন্য কবিতাপাক্ষিক পত্রিকার কপি পাঠানো হত মানসকুমার চিনি-র ঠিকানায়।১৯৯৩ থেকে। এখন কপি যায় প্রফুল্ল রায়-এর কাছে। প্রফুল্ল পৌঁছে দেয় দেবব্রতকে।
একটি সংখ্যাও বাদ যায়নি।
এবার একটি পারিবারিক কথা জানিয়ে রাখছি। দেবব্রত-র স্ত্রী লিলি চট্টোপাধ্যায় ২০১৩ -তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে doctroral ডিগ্রির জন্য যে গবেষণাপত্রটি জমা দিয়েছিল সেটি সম্মানের সঙ্গে গৃহীত হয়েছিল। সেটি ছিল :
Sunitikumar Chatterji
The Journey of a Linguist.
আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্বিত লিলি-র এই কাজের জন্য।আমাদের কবিতাপাক্ষিক পরিবারের পক্ষ থেকে লিলি এবং দেবব্রতকে অভিনন্দন।
প্রভাত চৌধুরী
১২০.
এক একজন কবি আছেন , যারা আড়াল পছন্দ করে। নিজেকে প্রচারিত করতে চান না। নিজের মতো করে লেখালেখিটা চালিয়ে যান।
দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় ঠিক এই চরিত্রের অন্যতম দৃষ্টান্ত।
কবিতাপাক্ষিক -এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল ৭ মে ১৯৯৩। কালীঘাট মিলন সংঘের সেই সভাঘরে উপস্থিত ছিল দেবব্রত। তখন খড়গপুরে থাকত। ওখান থেকে পৌঁছে গিয়েছিল কালীঘাটে। কবিতাও পড়েছিল। কীভাবে বাড়ি ফিরেছিল সেটা এখনো জানা হয়নি। অথবা জেনেছিলাম , মনে রাখিনি। দ্বিতীয় হলে অভিযোগ কিন্তু গুরুতর।
সেসব অভিযোগ হয়ত প্রাসঙ্গিক নয়। কাজেই অন্য প্রসঙ্গ বা প্রসঙ্গান্তরে যাই। সেই অন্য প্রসঙ্গটি হল দেবব্রত-র কবিতা।
কবিতাপাক্ষিকের দ্বিতীয় সংখ্যায় দেবব্রত-র কবিতাপাক্ষিকে প্রথম আত্মপ্রকাশ। কবিতাটির নাম :
জীবন বিষয়ক।
' রঙিন সামুদ্রিক মাছেরা / খেলা করে/ অ্যাকোরিয়ামের নীল জলে / মাছেদের সন্তরণ/ নিয়ন্ত্রিত নয়/ অ্যাকোরিয়ামের নীল জলের সীমাবদ্ধতায় '
কপা ৭- এ প্রকাশিত কবিতাটির নাম : হাইড্রা।
কপা ২২ - এ এই পক্ষের কবি : দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়।মোট ৬ টি কবিতা।
আমি কিছু পঙ্ ক্তি তুলে ধরছি :
১॥ হিমেল রাতে পাকদণ্ডী দিয়ে হেঁটে যায় / এক অগ্নিময় পুরুষ।
২॥একদিন হিমবাহ পেরিয়ে মোম নারী ভেবেছিল/তার সন্তানকে স্তন দেবে।
৩॥ অই আলপথ জানে / বালিকাটি কীভাবে /একদিন নারী হয়ে গেল...
কবিতাপাক্ষিক ৫০০ থেকে দেবব্রত - র শখ জানা গেল : দেশ- বিদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রা সংগ্রহ করা, ভ্রমণ , গান শোনা ও বইপড়া ।
কপা ৫০০ -র কিছু কবিতা পড়া যাক। প্রথামতো কিছু লাইন পড়ানো যাক :
১॥ আগামীকাল থেকে চাঁদ দেখা দেবে লাজুক মুখে।
২॥ নিঝুম রাতে ধ্বংসস্তূপের আলোর কাছে / এসে আমি নতজানু
৩॥ ঈশ্বর আমাদের গ্রামের বুড়ো বাবা/ যে জন্ম থেকেই কথা বলতে পারে না।
৪॥গ্রিল ছুঁয়ে রাত নেমেছে আমার বারান্দায়
দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো কবিতা চেনা যায় তার পাণ্ডুলিপির হস্তাক্ষর দেখে। এটাও খুব দুর্লভ আজকের দিনে। দেবব্রত খুব দামি কাগজে কবিতা কপি করে পাঠায়। এবং বিশেষ সংখ্যার ঠিক আগেই পৌঁছে যায়।
প্রথমে দেবব্রত-র জন্য কবিতাপাক্ষিক পত্রিকার কপি পাঠানো হত মানসকুমার চিনি-র ঠিকানায়।১৯৯৩ থেকে। এখন কপি যায় প্রফুল্ল রায়-এর কাছে। প্রফুল্ল পৌঁছে দেয় দেবব্রতকে।
একটি সংখ্যাও বাদ যায়নি।
এবার একটি পারিবারিক কথা জানিয়ে রাখছি। দেবব্রত-র স্ত্রী লিলি চট্টোপাধ্যায় ২০১৩ -তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে doctroral ডিগ্রির জন্য যে গবেষণাপত্রটি জমা দিয়েছিল সেটি সম্মানের সঙ্গে গৃহীত হয়েছিল। সেটি ছিল :
Sunitikumar Chatterji
The Journey of a Linguist.
আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্বিত লিলি-র এই কাজের জন্য।আমাদের কবিতাপাক্ষিক পরিবারের পক্ষ থেকে লিলি এবং দেবব্রতকে অভিনন্দন।
চমৎকার ঐতিহাসিক উপস্থাপনা ।আপনার স্টাইল বেশ সুন্দর।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।