বটুক বাবুর গল্প
দেবব্রত রায়
এই যে কেউ কেউ চক্ষুষ্মান হলেই, ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ,ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ করে কোশ্ন করতেই থাকেন, কোবতে-টোবতে ক্যাঁও ৯খেন এবং কখনো কখনো উত্তুর না পেয়ে জবরদস্তি উত্তরিও-টিও ঘেঁটে ঘটিঘঙ হয়ে তিনি যে কোথায়-কোথায়, কতটা ফাটেন তার জমা জলে ডেঙ্গি মশার পোষ্যাবাদ দেখেই সেটা বেশ পরিমেয় ! আসলে,আমি যে পত্রিকাটির জন্য লেখালেখি করি....
কী বললেন, আমার লেখা কস্মিনকালেও আপনার চোখে পড়েনি! আহা! ছাপা না-হলে তা পড়বে কীভাবে ! তবে, লেখা ছাপুক, না- ছাপুক আমি তো মশায় ওই ই-ঈ পত্রিকার জন্যই লিখি তাই, বলছিলাম,আর-কি ! যাইহোক, ছাপা হোক বা,না-হোক,কবিতা লিখে আমার খুব আরাম হয় , ঠিক যেন বায়ু নিঃসরণের মতোই ! কারণ ,বাড়িতে যাই-ই হোক আর, বাইরেও জল-স্থল যাই খাইনা কেন, গ্যাস-অম্বল, বুক আইঢাই, অরুচি-অজীর্ণ সব একেবারে পয়সাআলা আত্মীয়ের জ্ঞাতিগুষ্টি-র মতোই, আঁকড়ে ধরে মশাই !
এই তো সেদিন ছেলের ব্যাকরণ মুকুলম বইটাতে সারাদিন এঁটুলির মতো চিপকে থেকে বিশেষ্য-বিশেষণ-তৎসম-তদভব কতকিছু-ই টুকলুস করে আপনার সাতদুগুণ গুষ্টি উদ্ধার হেতুক একখানা কবিতা লিখলাম আর, আপনি কি না, হপ্তাখানেক পরে এসে বললেন , বাহ!বাহ! খুব ভালো হয়েছে কোবতেটা ! আপনি না কি ওটাই আপনার বউয়ের জন্মদিনে প্রেমনিবেদংমিদং করে পড়ে শুনিয়েছেন ! কী বিপদ !
তা মাশায়, বিপদই বলুন আর, সামোসাই বলুন , দুটোতেই গ্যাস হবেই হবে এবং সেই গ্যাস গ্যাস-বেলুনের মতো আমাদেরকে কোনো জায়গাতেই স্থির হতে দেয় না! যেমন ধরুন, গত তিনদিন আগের একটা কবিতায় যা-যা এবং যাদের-যাদের কথা ভেবে বকের পালকের রঙ হলুদ আর বেড়ালের গলায় তুলসী-মালা শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছিলাম তা কিন্তুক এই মুহূর্তে কিছুতেই আর তিনদিন পূর্বের বাসি আমানি-র অবস্থায় বিলং করে না! অর্থাৎ,....ভোট শব্দটির মতোই ! ইভিএমে বাটন টেপার আগে তার গুরুত্ব এক আর, বাটন টেপার পরেই আরেক !!!!!
ই-ঈ পত্রিকার সম্পাদিকা খুবই উজ্জ্বল এবং চৌম্বকীয় উচ্ছল ! তাকে ঘিরে আট-দশটি গ্রহ-উপগ্রহ তার হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর, না তে না মিলিয়ে চব্বিশঘণ্টা কীর্তন-দলের মতো ঘুরতেই থাকে ( তবে, টয়লেট এবং স্নানাগারের গেট অব্দিই তেনাদের কক্ষপথ ) ! সেইসব বুধ শুক্কুদের পাশ কাটিয়ে আমার পরাণ কি আরাম ঢুলুঢুলু বুলবুলিটির পাশে আমি আজও ঘেঁষতে পারিনি আর, তিনিও তৃষা হরিয়ে প্রাণ ভরিয়ে আমাকেও তার কাছে সামান্য ধুমকেতুর মতোও ডেকে নেননি অথচ, আমার বড়ো মামা জবাকুসুমসঙ্কাশ বাবুকেও একেবারে তুরগ-হারান হারিয়ে তিনি প্রায় চব্বিশঘণ্টা-ই তার পরম উষ্ণতায় আমাকে উৎসারিত করে রেখেছেন ! যাইহোক,সেইসব কাফ-কাসুন্দি আপাতত,বরং মৃৎ-ভণ্ডে জমে ক্ষীর হোক !
যাইহোক, আসল কথাটা হলো গিয়ে এরকমই একটি আমজামকাঁঠালের কলম-বিনুনি কবিতায় পরপর দু-দুখানি সুখানীচঃ প্রেমপত্র লিখে হারি কি পড়ি করে সব গ্রহ-উপগ্রহের টেবিল-চেয়ারে ঠোক্কর খেতে খেতে সেই চুম্বনীয়ার সামনে গিয়ে সম্পূর্ণ সমাহিত হবার আগেই,পত্রমুকুল দুটি তার করকমলে ধরা কয়েনটির সম্মুখে আমার সমাধিফলকের মতো ঠুকে দিয়েই মুষ্টিমেয় ধোঁয়া আর, ছাই হয়ে বেরিয়ে এলাম! লেখা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কলমের চেয়ে তার কয়েনের শক্তি-ই বেশি ! হেড পড়লে ইয়েস, টেল পড়লে নো!
দিন পনেরোর মাথায় আমার একই অঙ্গে করোনারি থ্রম্বোসিস, সেরিব্রাল অ্যাটাক এবং কোভিড-১৯ হলেও বোধহয়, এতটা আঁতকে উঠতাম না !!!!!!
দেখলুম, সেই প্রেম পত্রের-ই একখানি প্রকাশিত হয়েছে পঁচিশের বৈশাখের রবীন্দ্র-সংখ্যায়, কবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে!! আশংকায় আছি !
সামনে এগারো-ই জৈষ্ঠ্য । জানি না , কী হবে ¡¡¡¡¡¡¡
দেবব্রত রায়
এই যে কেউ কেউ চক্ষুষ্মান হলেই, ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ,ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ করে কোশ্ন করতেই থাকেন, কোবতে-টোবতে ক্যাঁও ৯খেন এবং কখনো কখনো উত্তুর না পেয়ে জবরদস্তি উত্তরিও-টিও ঘেঁটে ঘটিঘঙ হয়ে তিনি যে কোথায়-কোথায়, কতটা ফাটেন তার জমা জলে ডেঙ্গি মশার পোষ্যাবাদ দেখেই সেটা বেশ পরিমেয় ! আসলে,আমি যে পত্রিকাটির জন্য লেখালেখি করি....
কী বললেন, আমার লেখা কস্মিনকালেও আপনার চোখে পড়েনি! আহা! ছাপা না-হলে তা পড়বে কীভাবে ! তবে, লেখা ছাপুক, না- ছাপুক আমি তো মশায় ওই ই-ঈ পত্রিকার জন্যই লিখি তাই, বলছিলাম,আর-কি ! যাইহোক, ছাপা হোক বা,না-হোক,কবিতা লিখে আমার খুব আরাম হয় , ঠিক যেন বায়ু নিঃসরণের মতোই ! কারণ ,বাড়িতে যাই-ই হোক আর, বাইরেও জল-স্থল যাই খাইনা কেন, গ্যাস-অম্বল, বুক আইঢাই, অরুচি-অজীর্ণ সব একেবারে পয়সাআলা আত্মীয়ের জ্ঞাতিগুষ্টি-র মতোই, আঁকড়ে ধরে মশাই !
এই তো সেদিন ছেলের ব্যাকরণ মুকুলম বইটাতে সারাদিন এঁটুলির মতো চিপকে থেকে বিশেষ্য-বিশেষণ-তৎসম-তদভব কতকিছু-ই টুকলুস করে আপনার সাতদুগুণ গুষ্টি উদ্ধার হেতুক একখানা কবিতা লিখলাম আর, আপনি কি না, হপ্তাখানেক পরে এসে বললেন , বাহ!বাহ! খুব ভালো হয়েছে কোবতেটা ! আপনি না কি ওটাই আপনার বউয়ের জন্মদিনে প্রেমনিবেদংমিদং করে পড়ে শুনিয়েছেন ! কী বিপদ !
তা মাশায়, বিপদই বলুন আর, সামোসাই বলুন , দুটোতেই গ্যাস হবেই হবে এবং সেই গ্যাস গ্যাস-বেলুনের মতো আমাদেরকে কোনো জায়গাতেই স্থির হতে দেয় না! যেমন ধরুন, গত তিনদিন আগের একটা কবিতায় যা-যা এবং যাদের-যাদের কথা ভেবে বকের পালকের রঙ হলুদ আর বেড়ালের গলায় তুলসী-মালা শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছিলাম তা কিন্তুক এই মুহূর্তে কিছুতেই আর তিনদিন পূর্বের বাসি আমানি-র অবস্থায় বিলং করে না! অর্থাৎ,....ভোট শব্দটির মতোই ! ইভিএমে বাটন টেপার আগে তার গুরুত্ব এক আর, বাটন টেপার পরেই আরেক !!!!!
ই-ঈ পত্রিকার সম্পাদিকা খুবই উজ্জ্বল এবং চৌম্বকীয় উচ্ছল ! তাকে ঘিরে আট-দশটি গ্রহ-উপগ্রহ তার হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর, না তে না মিলিয়ে চব্বিশঘণ্টা কীর্তন-দলের মতো ঘুরতেই থাকে ( তবে, টয়লেট এবং স্নানাগারের গেট অব্দিই তেনাদের কক্ষপথ ) ! সেইসব বুধ শুক্কুদের পাশ কাটিয়ে আমার পরাণ কি আরাম ঢুলুঢুলু বুলবুলিটির পাশে আমি আজও ঘেঁষতে পারিনি আর, তিনিও তৃষা হরিয়ে প্রাণ ভরিয়ে আমাকেও তার কাছে সামান্য ধুমকেতুর মতোও ডেকে নেননি অথচ, আমার বড়ো মামা জবাকুসুমসঙ্কাশ বাবুকেও একেবারে তুরগ-হারান হারিয়ে তিনি প্রায় চব্বিশঘণ্টা-ই তার পরম উষ্ণতায় আমাকে উৎসারিত করে রেখেছেন ! যাইহোক,সেইসব কাফ-কাসুন্দি আপাতত,বরং মৃৎ-ভণ্ডে জমে ক্ষীর হোক !
যাইহোক, আসল কথাটা হলো গিয়ে এরকমই একটি আমজামকাঁঠালের কলম-বিনুনি কবিতায় পরপর দু-দুখানি সুখানীচঃ প্রেমপত্র লিখে হারি কি পড়ি করে সব গ্রহ-উপগ্রহের টেবিল-চেয়ারে ঠোক্কর খেতে খেতে সেই চুম্বনীয়ার সামনে গিয়ে সম্পূর্ণ সমাহিত হবার আগেই,পত্রমুকুল দুটি তার করকমলে ধরা কয়েনটির সম্মুখে আমার সমাধিফলকের মতো ঠুকে দিয়েই মুষ্টিমেয় ধোঁয়া আর, ছাই হয়ে বেরিয়ে এলাম! লেখা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কলমের চেয়ে তার কয়েনের শক্তি-ই বেশি ! হেড পড়লে ইয়েস, টেল পড়লে নো!
দিন পনেরোর মাথায় আমার একই অঙ্গে করোনারি থ্রম্বোসিস, সেরিব্রাল অ্যাটাক এবং কোভিড-১৯ হলেও বোধহয়, এতটা আঁতকে উঠতাম না !!!!!!
দেখলুম, সেই প্রেম পত্রের-ই একখানি প্রকাশিত হয়েছে পঁচিশের বৈশাখের রবীন্দ্র-সংখ্যায়, কবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে!! আশংকায় আছি !
সামনে এগারো-ই জৈষ্ঠ্য । জানি না , কী হবে ¡¡¡¡¡¡¡
বাহ্, একটু নূতন ধরেনের লেখা। সুন্দর ও সুখপাঠ্য। ভালো লাগলো। পড়ার আগ্রহ বাড়লো...
উত্তরমুছুন