কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
পথে পথে দুঃখহরণ। সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। আদম । চল্লিশ টাকা ।
' মরচে পড়া দাগের কাছে রেখে যাব আমি- শানিত অস্ত্রের লোলুপতা । ' -র মতো লাইন যখন কোন কবি, যার কবিতার সঙ্গে পূর্বে পরিচিত ছিলাম না, তার কাব্যগ্রন্থে পড়ি ; তখন বুঝি কবিতা নিয়ে ভাবনা চলছে উত্তরসূরিদের ভেতরে ও যত্নশীল হয়ে যৌক্তিক কবিতা লেখার প্রয়াস করছেন ।
কবি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ' পথে পথে দুঃখহরণ ' কাব্যগ্রন্থে ছড়িয়ে আছে এ ধরনের অবাক করা বহু উচ্চারণ : ' আমার সবকটি রঙ নিয়ে তুমি এসে দাঁড়াও একটিবার - অভিলাষে অথবা অবকাশে ! ' , ' ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আমি খুঁড়ে ফেলব নীরব শব্দের বাগান । '
কবি সুমনের শিরোনামহীন আঠাশটি করিতার ভেতরে তাঁর এই কাব্যগ্রন্থের মূল চরিত্র ' দুঃখহরণ ' কে দাঁড় করিয়ে গেঁথে চলেছেন একের পর এক কবিতা ।কবিতাগুলি যেন কবি স্বগতোক্তি করছেন, আর পাঠক তার স্বাদ উপভোগ করছেন যত্ন নিয়ে । তবে কবির একই কথা বারবার বলার প্রবণতা না কাটলে ভবিষ্যতে পাঠকবর্গ তাঁকে কতখানি পছন্দ করবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যেমন: ' আলোড়ন থেমে গেছে আজ । কোথাও কোন শব্দ নেই আর । তোর আমার সম্পর্ক থেকে হেঁটে চলেছি দূর রাত্রির পথে । ' - র উচ্চারণে-' কোথাও কোন শব্দ নেই আর ' -এর মতো একই কথা বলার প্রবণতা তাঁকে পরিহার করতে হবে ।
পাশাপাশি ' ভেজা পাণ্ডুলিপির পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে আমি নৌকা বানাই । একান্তে পাড়ি দেব তোমারই গভীরে । '' র মতো মনোমুগ্ধকর উচ্চারণ তাঁর কবিতা ভালোবাসতে বাধ্য করে । পার্থপ্রতিম দাসের প্রচ্ছদে চহট রঙের ব্যবহার চোখকে ক্লান্ত করে ।
পথে পথে দুঃখহরণ। সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। আদম । চল্লিশ টাকা ।
' মরচে পড়া দাগের কাছে রেখে যাব আমি- শানিত অস্ত্রের লোলুপতা । ' -র মতো লাইন যখন কোন কবি, যার কবিতার সঙ্গে পূর্বে পরিচিত ছিলাম না, তার কাব্যগ্রন্থে পড়ি ; তখন বুঝি কবিতা নিয়ে ভাবনা চলছে উত্তরসূরিদের ভেতরে ও যত্নশীল হয়ে যৌক্তিক কবিতা লেখার প্রয়াস করছেন ।
কবি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ' পথে পথে দুঃখহরণ ' কাব্যগ্রন্থে ছড়িয়ে আছে এ ধরনের অবাক করা বহু উচ্চারণ : ' আমার সবকটি রঙ নিয়ে তুমি এসে দাঁড়াও একটিবার - অভিলাষে অথবা অবকাশে ! ' , ' ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আমি খুঁড়ে ফেলব নীরব শব্দের বাগান । '
কবি সুমনের শিরোনামহীন আঠাশটি করিতার ভেতরে তাঁর এই কাব্যগ্রন্থের মূল চরিত্র ' দুঃখহরণ ' কে দাঁড় করিয়ে গেঁথে চলেছেন একের পর এক কবিতা ।কবিতাগুলি যেন কবি স্বগতোক্তি করছেন, আর পাঠক তার স্বাদ উপভোগ করছেন যত্ন নিয়ে । তবে কবির একই কথা বারবার বলার প্রবণতা না কাটলে ভবিষ্যতে পাঠকবর্গ তাঁকে কতখানি পছন্দ করবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যেমন: ' আলোড়ন থেমে গেছে আজ । কোথাও কোন শব্দ নেই আর । তোর আমার সম্পর্ক থেকে হেঁটে চলেছি দূর রাত্রির পথে । ' - র উচ্চারণে-' কোথাও কোন শব্দ নেই আর ' -এর মতো একই কথা বলার প্রবণতা তাঁকে পরিহার করতে হবে ।
পাশাপাশি ' ভেজা পাণ্ডুলিপির পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে আমি নৌকা বানাই । একান্তে পাড়ি দেব তোমারই গভীরে । '' র মতো মনোমুগ্ধকর উচ্চারণ তাঁর কবিতা ভালোবাসতে বাধ্য করে । পার্থপ্রতিম দাসের প্রচ্ছদে চহট রঙের ব্যবহার চোখকে ক্লান্ত করে ।
এই কলামটি ক্রমশই আকর্ষণীয় ও আবশ্যিক হয়ে উঠছে
উত্তরমুছুন