নস্টালজিয়া ১১
পৃথা চট্টোপাধ্যায়
এবারের মত বিষণ্ণ স্বাধীনতা দিবস জন্মাবধি আমি কাটিয়েছি বলে মনে পড়ল না। একদিকে করোনার আবহ আর অন্যদিকে জীবন ও জীবিকার সঙ্কটে মানুষ আজ বড়ই নাজেহাল। আজ সারাদিন বৃষ্টি মন খারাপকে আরও বাড়িয়ে দিল। বারে বারে মনে পড়ছিল ছোটবেলার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রোমাঞ্চ, স্কুলের প্যারেড, ভোরবেলায় স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আনন্দ ঘেরা দিনগুলোর কথা। খুব নিচু ক্লাসে সাদা স্কার্ট আর একটু বড় হলে আমাদের লালপাড় সাদা শাড়ি পরতে হতো। এই দিন পাড়ায় পাড়ায় শোভাযাত্রা বের হতো।সব পেয়েছির আসর থেকে ব্যান্ড বাজিয়ে পথ পরিক্রমা বের হতো। প্রত্যেক বাড়ির সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে এই কুচকাওয়াজ দেখত। পাড়ায় প্রায় সবার বাড়িতে এদিন ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হত। পাড়ায় পাড়ায় মাইক্রোফোনে বাজত দেশাত্মবোধক গান। ঐ সময় বন্দেমাতরম্ গানটির মধ্যে কী এক উদ্দীপনা জাগাত আমার মনে ! একটু বড় হলে আনন্দমঠ পড়ে দেশপ্রেমের রোমাঞ্চ অন্তরে অনুভব করেছিলাম। স্বাধীনতা দিবসে 'একসূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন ' এই গানটি আমরা স্কুলের সবাই মিলে একসাথে গাইতাম ।পতাকা উত্তোলনের সময় দেশমাতার আশীর্বাদ হয়ে যেন ঝরে পড়ত পতাকায় জড়ানো গোলাপের পাঁপড়ি। একবার এই স্বাধীনতা দিবসে মা বেশ সহজ করে বলেছিল 'স্ব' এর অধীনতা মানে কিন্তু স্বেচ্ছাচারিতা নয়। বাবা বলেছিল স্বাধীনতার অর্থ অন্যের যাতে ভালো হয় সেটা দেখতে হয়। এখন চারিদিকে ঘৃণ্য স্বার্থপরতা, নিজের আখেরটুকু গোছাতে ব্যস্ত অধিকাংশ মানুষকে দেখে ছোটবেলায় শেখা স্বাধীনতার অর্থবহ কথাগুলো আরো বেশি করে মনে বাজে।
পৃথা চট্টোপাধ্যায়
এবারের মত বিষণ্ণ স্বাধীনতা দিবস জন্মাবধি আমি কাটিয়েছি বলে মনে পড়ল না। একদিকে করোনার আবহ আর অন্যদিকে জীবন ও জীবিকার সঙ্কটে মানুষ আজ বড়ই নাজেহাল। আজ সারাদিন বৃষ্টি মন খারাপকে আরও বাড়িয়ে দিল। বারে বারে মনে পড়ছিল ছোটবেলার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রোমাঞ্চ, স্কুলের প্যারেড, ভোরবেলায় স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আনন্দ ঘেরা দিনগুলোর কথা। খুব নিচু ক্লাসে সাদা স্কার্ট আর একটু বড় হলে আমাদের লালপাড় সাদা শাড়ি পরতে হতো। এই দিন পাড়ায় পাড়ায় শোভাযাত্রা বের হতো।সব পেয়েছির আসর থেকে ব্যান্ড বাজিয়ে পথ পরিক্রমা বের হতো। প্রত্যেক বাড়ির সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে এই কুচকাওয়াজ দেখত। পাড়ায় প্রায় সবার বাড়িতে এদিন ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হত। পাড়ায় পাড়ায় মাইক্রোফোনে বাজত দেশাত্মবোধক গান। ঐ সময় বন্দেমাতরম্ গানটির মধ্যে কী এক উদ্দীপনা জাগাত আমার মনে ! একটু বড় হলে আনন্দমঠ পড়ে দেশপ্রেমের রোমাঞ্চ অন্তরে অনুভব করেছিলাম। স্বাধীনতা দিবসে 'একসূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন ' এই গানটি আমরা স্কুলের সবাই মিলে একসাথে গাইতাম ।পতাকা উত্তোলনের সময় দেশমাতার আশীর্বাদ হয়ে যেন ঝরে পড়ত পতাকায় জড়ানো গোলাপের পাঁপড়ি। একবার এই স্বাধীনতা দিবসে মা বেশ সহজ করে বলেছিল 'স্ব' এর অধীনতা মানে কিন্তু স্বেচ্ছাচারিতা নয়। বাবা বলেছিল স্বাধীনতার অর্থ অন্যের যাতে ভালো হয় সেটা দেখতে হয়। এখন চারিদিকে ঘৃণ্য স্বার্থপরতা, নিজের আখেরটুকু গোছাতে ব্যস্ত অধিকাংশ মানুষকে দেখে ছোটবেলায় শেখা স্বাধীনতার অর্থবহ কথাগুলো আরো বেশি করে মনে বাজে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন