পূরবী~২৯
অভিজিৎ চৌধুরী
তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি / বিচিত্র ছলনা জালে / হে ছলনাময়ী।
তারপর বললেন,জ্যোতি ডাক্তার আমায় কিছু বললে না।রানী,আমার অপরাশেন কবে! তারপর যেন ভুলে গিয়ে শেষ করলেন হয়তো শেষ কবিতা।
এটুকু বলে থামলেন রবীন্দ্রনাথ। রানী চন্দকে লিখতে বলেছেন।
অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে
চোখ দুটো জলে ভরে উঠল।জানলা দিয়ে তাকালেন বাইরে।৬ নম্বর জোড়াসাঁকো। অবন কি করছে! রিদয়।ভেবে একটু হাসলেন।
সে পায় তোমার হাতে/ শান্তির অক্ষয় অধিকার।
ললিতবাবু কাছে এসে বললেন,ছোট্ট কাজ, আজই তবে সেরে ফেলি।
চমকে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ।
ছুটি,শমীদের কাছে যাওয়ার পালা এলো।
প্লুতস্বরে ডাকলেন,নতুন বউঠান।আমি রবি।
ইস্ এবারও কিছু হল না।
রবি হতাশ কণ্ঠে বললেন,জানতুম।বিহারীলালের জন্য আমার এই দশা।
খিলখিল করে কেউ যেন হেসে উঠল।
কে!
রানী খাতাটা হাতে বাড়িয়ে দিতে কাঁপা কাঁপা অক্ষরে সই করলেন।
ললিতবাবু বললেন,মনকে শক্ত করুন।একদম সহজ অস্ত্রোপচার। সুস্থ হয়ে উঠবেন।
রথীন্দ্রনাথকে দেখে বললেন,মণি কেমন আছে!
রথী বললেন,জ্বর কমছে।
মুখে বলতে পারলেন না,সে আসবে কবে!
একা একা ছাদে ঘুরছেন আর গন্ধ পাচ্ছেন নতুন বউঠানের।তুমি কোথায়!
রথীন্দ্রনাথ বললেন,বাবামশাই,সবাই আসবেন।
ললিতবাবু বললেন,কবি খুব সাইকোলজিক্যালি উইক।
বলতে পারলেন না,তবু মনে হল- ছুটি নেই তো তাই তিনি একা।
রথীন্দ্রনাথ বললেন,তিনি বলতেন- আমি প্রকৃতির সন্তান।ঝরা পাতার মতোন ঝরে পড়তে দাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন