সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১০৫.
আজ বলব ইন্দ্রাণী দত্তপান্না এবং জপমালা ঘোষরায় - এর কথা । এদের কবিতা কবিতাপক্ষিক-কে সমৃদ্ধ করেছে। এরা দুজনেই কবিতাপাক্ষিক পরিবারের অংশ। এবং দু-জনেই পারিবারিকভাবে যুক্ত।
ইন্দ্রাণীরা থাকত সোনারপুর। প্রবীর ছিল আমাদের একান্ত আপনজন। প্রবীর আড্ডা দিতে পছন্দ করত। খেতে এবং খাওয়াতে। আমরা দল বেধে সোনারপুর গেছি। যাওয়া পর্যন্ত আমাদের নিজেদের দায়িত্ব। পৌঁছে যাবার পর সমস্ত দায়িত্ব প্রবীরের ।অবশ্যই ইন্দ্রাণী-র সমর্থনেই সবকিছু হত। কবিতাপাক্ষিক সোনারপুর বইমেলায় অংশ গ্রহণ করেছিল দুবার। যার প্রায় সব দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল প্রবীর-ইন্দ্রাণী
যুগল।
এবার ইন্দ্রাণী দত্তপান্না-র অবস্থান বিষয়ক দু-এক কথা জানা যাক। ইন্দ্রাণী জানিয়েছিল :
বৃত্তের ঠিক কেন্দ্র থেকে কথা বললে / সমগ্র পরিধি তা শুনতে পায় কিনা জানি না ,/ ব্যাসের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হয় না কিন্তু / যা দিয়ে তা আঁকা হবে সেই মূল্যবান স্কেলটি / কোনো এক রহস্যময়তায় নিখোঁজ।'
ইন্দ্রাণী-র অবস্থান বোঝার জন্য খুব বেশি পরিশ্রম করার আবশ্যক দেখছি না। বোঝানোরও জন্য বিন্দুমাত্র পরিশ্রমও করতে হবে না। ইন্দ্রাণী-র অবস্থান ছিল আপডেটের পক্ষে । কবিতা-কে আপডেট করার ক্ষেত্রে ওর কবিতার কয়েকটি নিদর্শন তুলে দিচ্ছি :
১॥ ঘড়ি বিষয়ক ছেচল্লিশ রকমের গল্প / জেনে ফেলার পর সময়কে/ মনে হচ্ছে হালকা ফক্কুরি
২॥ ক্রমশ আমি রুপোলিমাছের মতো ঢুকে/পড়ছি ছড়ানো জালের ভেতর
এবার আমি ইন্দ্রাণী দত্তপান্না-র একটি কবিতা বই-এর কথা বলতে চাইছি।
বইটির নাম : ক্রিস্টোফার ও ক্রিস্টোফার ।
প্রকাশকাল : জানুয়ারি ২০১২ ।
প্রচ্ছদ ও ভিতরের ছবি : হিরণ মিত্র ।
কবিতাপাক্ষিক প্রকাশিত এই বইটির কথা বলার একটা কারণ অবশ্যই আছে ।কারণটি হল এর অনবদ্য অঙ্গশোভা।
মোট ৪ ফর্মা বা ৬৪ পৃষ্ঠার বইটিতে মোট ৫০ টি শিরোনামহীন কবিতা। বাকি ১৪ পৃষ্ঠা টাইটেল এবং শিল্পী হিরণ মিত্র -র ড্রয়িং। আসলে কবিতা এবং ড্রয়িং- এর এরকম মিশ্রণ খুব একটা চোখে পড়ে না।
আমি কয়েকটি কবিতার ভগ্নাংশ তুলে ধরছি :
১॥ এই নববর্ষে ক্রিস্টোফারকে / একজন প্রেমিক উপহার দিলাম।
২॥ দড়ির ওপর দাঁড়ানো ক্রিস্টোফারকে / রুটি ও জল পৌঁছে দেবে বলে অন্ধযুবতিটি/ প্রসাধন সেরে নিচ্ছে আর এঁটে নিচ্ছে নীবিবন্ধ ।
৩॥ শুধুমাত্র আঠালো ধনুকের সাদা কুকুরটিকে ঘৃণা কর/ নাকি সব সাদা কুকুর অথবা সারমেয়কুল তোমার অপ্রিয় ?
৪॥ আগে ঠিক কর তুমি হারিয়ে গেছো নাকি খুঁজতে এসেছো
৫॥ সাদাহাঁসেদের সঙ্গে তোমার কোনো শত্রুতা নেই
৬॥গায়ের রং ? জানি না , চোখের রং ? জানি না/
উচ্চতা, জুতোর মাপ , বিশেষ চিহ্ন যেমন / ভুরুর ওপরে কাটা দাগ আছে কিনা
এরকম অনিবার্য কিছু জিজ্ঞাসা কিংবা সংকেত ছড়িয়ে রয়েছে ক্রিস্টোফার জুড়ে।
এখন হিরণ মিত্র-র একটা ড্রয়িং দেখে শনাক্ত করুন ক্রিস্টোফার-কে।
প্রভাত চৌধুরী
১০৫.
আজ বলব ইন্দ্রাণী দত্তপান্না এবং জপমালা ঘোষরায় - এর কথা । এদের কবিতা কবিতাপক্ষিক-কে সমৃদ্ধ করেছে। এরা দুজনেই কবিতাপাক্ষিক পরিবারের অংশ। এবং দু-জনেই পারিবারিকভাবে যুক্ত।
ইন্দ্রাণীরা থাকত সোনারপুর। প্রবীর ছিল আমাদের একান্ত আপনজন। প্রবীর আড্ডা দিতে পছন্দ করত। খেতে এবং খাওয়াতে। আমরা দল বেধে সোনারপুর গেছি। যাওয়া পর্যন্ত আমাদের নিজেদের দায়িত্ব। পৌঁছে যাবার পর সমস্ত দায়িত্ব প্রবীরের ।অবশ্যই ইন্দ্রাণী-র সমর্থনেই সবকিছু হত। কবিতাপাক্ষিক সোনারপুর বইমেলায় অংশ গ্রহণ করেছিল দুবার। যার প্রায় সব দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল প্রবীর-ইন্দ্রাণী
যুগল।
এবার ইন্দ্রাণী দত্তপান্না-র অবস্থান বিষয়ক দু-এক কথা জানা যাক। ইন্দ্রাণী জানিয়েছিল :
বৃত্তের ঠিক কেন্দ্র থেকে কথা বললে / সমগ্র পরিধি তা শুনতে পায় কিনা জানি না ,/ ব্যাসের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হয় না কিন্তু / যা দিয়ে তা আঁকা হবে সেই মূল্যবান স্কেলটি / কোনো এক রহস্যময়তায় নিখোঁজ।'
ইন্দ্রাণী-র অবস্থান বোঝার জন্য খুব বেশি পরিশ্রম করার আবশ্যক দেখছি না। বোঝানোরও জন্য বিন্দুমাত্র পরিশ্রমও করতে হবে না। ইন্দ্রাণী-র অবস্থান ছিল আপডেটের পক্ষে । কবিতা-কে আপডেট করার ক্ষেত্রে ওর কবিতার কয়েকটি নিদর্শন তুলে দিচ্ছি :
১॥ ঘড়ি বিষয়ক ছেচল্লিশ রকমের গল্প / জেনে ফেলার পর সময়কে/ মনে হচ্ছে হালকা ফক্কুরি
২॥ ক্রমশ আমি রুপোলিমাছের মতো ঢুকে/পড়ছি ছড়ানো জালের ভেতর
এবার আমি ইন্দ্রাণী দত্তপান্না-র একটি কবিতা বই-এর কথা বলতে চাইছি।
বইটির নাম : ক্রিস্টোফার ও ক্রিস্টোফার ।
প্রকাশকাল : জানুয়ারি ২০১২ ।
প্রচ্ছদ ও ভিতরের ছবি : হিরণ মিত্র ।
কবিতাপাক্ষিক প্রকাশিত এই বইটির কথা বলার একটা কারণ অবশ্যই আছে ।কারণটি হল এর অনবদ্য অঙ্গশোভা।
মোট ৪ ফর্মা বা ৬৪ পৃষ্ঠার বইটিতে মোট ৫০ টি শিরোনামহীন কবিতা। বাকি ১৪ পৃষ্ঠা টাইটেল এবং শিল্পী হিরণ মিত্র -র ড্রয়িং। আসলে কবিতা এবং ড্রয়িং- এর এরকম মিশ্রণ খুব একটা চোখে পড়ে না।
আমি কয়েকটি কবিতার ভগ্নাংশ তুলে ধরছি :
১॥ এই নববর্ষে ক্রিস্টোফারকে / একজন প্রেমিক উপহার দিলাম।
২॥ দড়ির ওপর দাঁড়ানো ক্রিস্টোফারকে / রুটি ও জল পৌঁছে দেবে বলে অন্ধযুবতিটি/ প্রসাধন সেরে নিচ্ছে আর এঁটে নিচ্ছে নীবিবন্ধ ।
৩॥ শুধুমাত্র আঠালো ধনুকের সাদা কুকুরটিকে ঘৃণা কর/ নাকি সব সাদা কুকুর অথবা সারমেয়কুল তোমার অপ্রিয় ?
৪॥ আগে ঠিক কর তুমি হারিয়ে গেছো নাকি খুঁজতে এসেছো
৫॥ সাদাহাঁসেদের সঙ্গে তোমার কোনো শত্রুতা নেই
৬॥গায়ের রং ? জানি না , চোখের রং ? জানি না/
উচ্চতা, জুতোর মাপ , বিশেষ চিহ্ন যেমন / ভুরুর ওপরে কাটা দাগ আছে কিনা
এরকম অনিবার্য কিছু জিজ্ঞাসা কিংবা সংকেত ছড়িয়ে রয়েছে ক্রিস্টোফার জুড়ে।
এখন হিরণ মিত্র-র একটা ড্রয়িং দেখে শনাক্ত করুন ক্রিস্টোফার-কে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন