সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১১৬.
দুর্গাপুর-পর্বে প্রথমে রজতশুভ্র গুপ্ত , পরে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রদীপ চক্রবর্তী-র কথা লিখেছি। লেখা হয়নি পিনাকীরঞ্জন সামন্ত-র কথা , ব্রজকুমার সরকারের কথা। এদের কথা , এদের কবিতার কথা না বললে দুর্গাপুরকথা শেষ করা যাবে না।
খুব সহজ করে একটা কথা ঘোষণা করতে চাই , পিনাকীরঞ্জনের ' কেন আমি অঙ্কে শূন্য পেয়েছিলাম ' কবিতাটি পোস্টমডার্ন বাংলা কবিতার একটি মাইল- স্টোন।
এখন এই কবিতাটি থেকে বেশ কয়েক লাইন স্থাপন করছি আমার এই লেখাটিতে। সিদ্ধান্ত আপনার।
' এখন কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন (a +b )2= কী ?আমি দেখাব/ বিদ্যাসাগর সেতুর দু- পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি খুঁটি / অর্থাৎ গঙ্গার পশ্চিমের খুঁটিটিকে যদি আমি a2 ভাবি ,/ অবশ্যই পূর্বপারের খুঁটিটিকে ভাবতে হবে b2/ মাঝখানে যুক্ত হবে এক স্রোতস্বনী নদী এবং/ তার ওপরের ঝুলন্ত ব্রিজটি হবে 2ab ।/
সুতরাং/ (a+b )2 =a2 + 2ab +b2= বিদ্যাসাগর সেতু।'
এভাবেই পিনাকী দেখিয়েছিল
(a --b ) 2 = a2 -- 2ab + b2 = রবীন্দ্রসেতু ।
এই লেখায় স্কোয়ার চিহ্ন ঠিক মতো দিতে পারলাম না , তা আমার ব্যক্তিগত অক্ষমতা তার জন্য পিনাকীকে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না।
আরো একটা কথা খুবই বিনয়ের সঙ্গে লিখছি , বিনয় মজুমদার , রতন দাস এবং আমি , বাংলাকবিতায় গণিতকে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করেছি। কিন্তু স্বীকার করতে দ্বিধা নেই পিনাকীরঞ্জন সামন্ত-র মতো করে পারিনি। আমরা তিনজন আমাদের মতো করে গণিত- কে কবিতার অঙ্গ করে নিয়েছি। পিনাকীর ব্যবহারের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে সমসাময়িকতা , যা পাঠকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য , এমনটাই আমার বিশ্বাস।
আমার পিনাকীচর্চা জারি থাকুক। পিনাকীরঞ্জনের আরো কয়েকখণ্ড হীরকদ্যুতি আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি।
১॥ অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে মানুষের দাঁতের সম্পর্কের কথা উঠলেই সমস্ত ইঁদুরবাহিনীর গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হবে এমনকথা ইতিমধ্যে কেউ ভেবেছেন কিনা অন্তত আমার জানা নেই ।'
না, পিনাকী আমারও জানা ছিল না। এবং তা স্বীকার করাকে আমি গৌরবজনক আখ্যা দিলাম।
২॥ অদ্ভুত এক মিশ্রণের ভেতর দিয়ে তোমার গার্হ্যস্থ জীবন শুরু , মাঝখানে কয়েকটি ঝুলন্ত দোলনা।
৩॥ আমাদের প্রতিটি অনুভবের রঙে/ পিছনের দরজা খোলা আছে/ তোমার ' হ্যাঁ ' সূচক স্বাদের মধ্যে আমার শরীরের গন্ধ ' না '।
৪॥ ক্যান্টিনসভ্যতার উছল আলোয় গল্পকারের হাত থেকে চায়ের উপচে পড়া ইশারায় ঋতুচক্রের পূর্বাভাস ,
আমি কেন এগুলিকে হীরকদ্যুতির সঙ্গে তুলনা করেছিলাম তার জন্য কোনো কৈফিয়ৎ দিতে আমি বাধ্য নই। যাঁরা আমার বক্তত্বের বিরুদ্ধে আছেন , তাঁরা বিরোধিতা করতে পারেন , আমার কান কোনোদিন কুকথা শোনেনি , আজও শুনবে না।
পিনাকীরঞ্জন সামন্ত সম্পর্কে আমার জানানোর কথা , ও যখন এইসব লেখা লিখেছে , তখন থাকত দুর্গাপুরের B / 22 CMERI কলোনিতে।
এখনকার ঠিকানা আমার লেখা নেই।
প্রভাত চৌধুরী
১১৬.
দুর্গাপুর-পর্বে প্রথমে রজতশুভ্র গুপ্ত , পরে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রদীপ চক্রবর্তী-র কথা লিখেছি। লেখা হয়নি পিনাকীরঞ্জন সামন্ত-র কথা , ব্রজকুমার সরকারের কথা। এদের কথা , এদের কবিতার কথা না বললে দুর্গাপুরকথা শেষ করা যাবে না।
খুব সহজ করে একটা কথা ঘোষণা করতে চাই , পিনাকীরঞ্জনের ' কেন আমি অঙ্কে শূন্য পেয়েছিলাম ' কবিতাটি পোস্টমডার্ন বাংলা কবিতার একটি মাইল- স্টোন।
এখন এই কবিতাটি থেকে বেশ কয়েক লাইন স্থাপন করছি আমার এই লেখাটিতে। সিদ্ধান্ত আপনার।
' এখন কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন (a +b )2= কী ?আমি দেখাব/ বিদ্যাসাগর সেতুর দু- পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি খুঁটি / অর্থাৎ গঙ্গার পশ্চিমের খুঁটিটিকে যদি আমি a2 ভাবি ,/ অবশ্যই পূর্বপারের খুঁটিটিকে ভাবতে হবে b2/ মাঝখানে যুক্ত হবে এক স্রোতস্বনী নদী এবং/ তার ওপরের ঝুলন্ত ব্রিজটি হবে 2ab ।/
সুতরাং/ (a+b )2 =a2 + 2ab +b2= বিদ্যাসাগর সেতু।'
এভাবেই পিনাকী দেখিয়েছিল
(a --b ) 2 = a2 -- 2ab + b2 = রবীন্দ্রসেতু ।
এই লেখায় স্কোয়ার চিহ্ন ঠিক মতো দিতে পারলাম না , তা আমার ব্যক্তিগত অক্ষমতা তার জন্য পিনাকীকে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না।
আরো একটা কথা খুবই বিনয়ের সঙ্গে লিখছি , বিনয় মজুমদার , রতন দাস এবং আমি , বাংলাকবিতায় গণিতকে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করেছি। কিন্তু স্বীকার করতে দ্বিধা নেই পিনাকীরঞ্জন সামন্ত-র মতো করে পারিনি। আমরা তিনজন আমাদের মতো করে গণিত- কে কবিতার অঙ্গ করে নিয়েছি। পিনাকীর ব্যবহারের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে সমসাময়িকতা , যা পাঠকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য , এমনটাই আমার বিশ্বাস।
আমার পিনাকীচর্চা জারি থাকুক। পিনাকীরঞ্জনের আরো কয়েকখণ্ড হীরকদ্যুতি আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি।
১॥ অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে মানুষের দাঁতের সম্পর্কের কথা উঠলেই সমস্ত ইঁদুরবাহিনীর গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হবে এমনকথা ইতিমধ্যে কেউ ভেবেছেন কিনা অন্তত আমার জানা নেই ।'
না, পিনাকী আমারও জানা ছিল না। এবং তা স্বীকার করাকে আমি গৌরবজনক আখ্যা দিলাম।
২॥ অদ্ভুত এক মিশ্রণের ভেতর দিয়ে তোমার গার্হ্যস্থ জীবন শুরু , মাঝখানে কয়েকটি ঝুলন্ত দোলনা।
৩॥ আমাদের প্রতিটি অনুভবের রঙে/ পিছনের দরজা খোলা আছে/ তোমার ' হ্যাঁ ' সূচক স্বাদের মধ্যে আমার শরীরের গন্ধ ' না '।
৪॥ ক্যান্টিনসভ্যতার উছল আলোয় গল্পকারের হাত থেকে চায়ের উপচে পড়া ইশারায় ঋতুচক্রের পূর্বাভাস ,
আমি কেন এগুলিকে হীরকদ্যুতির সঙ্গে তুলনা করেছিলাম তার জন্য কোনো কৈফিয়ৎ দিতে আমি বাধ্য নই। যাঁরা আমার বক্তত্বের বিরুদ্ধে আছেন , তাঁরা বিরোধিতা করতে পারেন , আমার কান কোনোদিন কুকথা শোনেনি , আজও শুনবে না।
পিনাকীরঞ্জন সামন্ত সম্পর্কে আমার জানানোর কথা , ও যখন এইসব লেখা লিখেছে , তখন থাকত দুর্গাপুরের B / 22 CMERI কলোনিতে।
এখনকার ঠিকানা আমার লেখা নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন