পূরবী-২৬
অভিজিৎ চৌধুরী
ফেলুদার ছিল সিধু জ্যাঠা।আর তীর্থের কান্তিদা।অন্তত তীর্থের মতোন ছাপোষা মানুষ যাঁরা ইহজীবনে রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দ দেখেনি,কান্তিদা অবলম্বন।
আবার বানান বিভ্রাটে পড়ল হুগলির সমীরদা। সরকারি চাকরি করে মোটামুটি মাইনে পেয়ে হঠাৎ মধ্যবয়সে দিনলিপি কেন!
চাকরির সত্তাটা ভেসে বেড়াতে জানে।সে ডুব দেয় না।সে নিরপেক্ষও বটে।সে ডানেও নেই বামেও নেই।পুরস্কার তিরস্কারে সমান নিস্পৃহ।
কখনও খুব ভোরে উঠলে মনে হয় দিনলিপির তীর্থ আর আমি দুজন আলাদা।সেই কারণে পূরবীর শুরুর আমি বদলে যায় তীর্থের নতুন পেশাকে।রোদের তাপ তীব্র হলে তীর্থ পালিয়ে যায়,তখন শুধুই আমি।
বানানের বরাবরের শিক্ষক প্রভাত চৌধুরী মহোদয় ভুল ধরেন বা আশা ছেড়ে দিয়েছেন এই ভেবে ঘোড়াকে জলের পাত্র অবধি নিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু খাওয়ানা তো যায় না।বানানের ভয়ে কবিতা লেখা হল না তীর্থের।
দিনলিপি তার অন্বেষণ, রবীন্দ্রনাথ উপলক্ষ মাত্র।একে তীর্থ নতুন নাম দিল ইদানিং নভেলা।অন লাইনে পড়ার জন্য একটা কৌশল।তুমি সিরিয়াল দেখো,ফাঁকে দু দণ্ড আমাকেও দেখো।
বার্লিনে রবীন্দ্রনাথ গেছিলেন আইনস্টাইনের কাছে।নীল জোব্বায় বেশ লাগছিল।আর আইনস্টাইন কোঁচকানো কোট। এলোমেলো চুল।এলিসা কফি আর কেক খাওয়ান।রিয়েলিটি অ্যান্ড ট্রুথ।দুজনেই একজন আরেকজনের কথা মন দিয়ে শুনেছিলেন, না হলে ফেরার পথে রবীন্দ্রনাথ বারবার খুঁজছিলেন সত্য ও বাস্তবের ঐকতানকে।অরণ্যের নিবিড়তায় তিনি বুঝতে চেষ্টা করছিলেন বিজ্ঞান কোন সত্যের কথা বলছে।
তীর্থের মনে হল হঠাৎ মেয়েলি চুল যে কবির যৌবনে ছিল,কেন! নারী সত্তা বোঝার জন্য!
আরেকদিনও এলেন তিনি।সেদিন আলোচনায় ছিল সংগীত।
ঘুম পাচ্ছে কিন্তু ঘুম হবে না।তীর্থ বড্ডো জ্বালাচ্ছে।সে সারা রাত জাগবে বলেই এখন বিদায় নিতে চাইছি।
অনেকবার রবীন্দ্রনাথের সকণ্ঠের গান শুনেছে তীর্থ। কেমন যেন মেয়েলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন