কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
চাঁদ যাপনের ক্ষত । অরণ্যা সরকার । দিবারাত্রির কাব্য । একশো টাকা ।
যৌনতা যখন কেবল একমাত্র ফোকাস হয়ে কবিতায় ধরা পড়ে, তখন তার সামনে দাঁড়ালে কেবল রিপু তাড়না প্রধান হয়ে উঠবে এ কথা অনস্বীকার্য । কিন্তু যৌনতা যার কবিতার সঙ্গে মিশে শিল্পে রূপান্তরিত হয়, তখন খাজুরাহো, কোনার্ক মন্দিরের দেওয়ালের মতো শিল্পসম্মত হয় । কবি অরণ্যা সরকার ' চাঁদ যাপনের ক্ষত ' কাব্যগ্রন্থে দ্বিতীয় কাজটি করেছেন , যার উদাহরণ: ' চিতাকাঠ ছাড়া পোড়ে যে জীবন/ সেই জানে প্রকৃত দহন' ( চাঁদ যাপনের কবিতাগুচ্ছ- ৮ ),
' বিস্বাদ জীবন যদি শুধু নুন ছুড়ে দেয়/ আমাদের সন্তান হবে প্রকৃত ম্যানগ্রোভ ... ' ( প্রত্যয়) ।
অরণ্যা সেই কবি, যিনি সেই সত্য তুলে ধরেন, যা আমরা সামান্য মগ্ন হলেই ধরে ফেলি ও সেই সমাধানের অপার আনন্দ দেয় । অরণ্যার সরলতা কোন ক্ষেত্রে অতিসরলীকরণ হয়ে ওঠে না তাঁর সংযত শব্দচয়নের গুণে । যেমন: ' একবার ঘুরে দাঁড়াও , / দেখো কোথাও যাইনি আমি/ তোমাতেই থেমে আছে সব পদছাপ ' ( ' উড়ান ')।
কবির প্রতিটি কবিতায় নিজেকে কবিতার কাছে উৎসর্গ করার ছাপ থাকে, সে কারণে তাঁর কবিতা পড়তে গিয়ে মন অন্যদিকে ধাবিত হয় না ভালো লাগে তন্নিষ্ঠ হতে ।
' এই আলো অন্ধকার শরীরী ভূগোল ঝাপটায়/ তোমাকেই নিংড়ে জয়ী হয় নিজস্ব ইতিহাস ' ( ' নিজস্ব ভূগোল থেকে ') ,' কে দেবে চন্দন স্নান/ আমাকে ভাঙছে ঋতু, / আমাকে গড়েছে মরুত্রাস ।' ( ' অহল্যা ') - এর মতো পংক্তির সামনে বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ি শিল্পের গুণে । এখানে অরণ্যার সার্থকতা । কবি অমিত সরকারের প্রচ্ছদ বইটির টিউনিংয়ের সঙ্গে সামন্ঞ্জস্যপূর্ণ । কালার কম্বিনেশন ও সামগ্রিক পরিপাট্য চমৎকার ।
চাঁদ যাপনের ক্ষত । অরণ্যা সরকার । দিবারাত্রির কাব্য । একশো টাকা ।
যৌনতা যখন কেবল একমাত্র ফোকাস হয়ে কবিতায় ধরা পড়ে, তখন তার সামনে দাঁড়ালে কেবল রিপু তাড়না প্রধান হয়ে উঠবে এ কথা অনস্বীকার্য । কিন্তু যৌনতা যার কবিতার সঙ্গে মিশে শিল্পে রূপান্তরিত হয়, তখন খাজুরাহো, কোনার্ক মন্দিরের দেওয়ালের মতো শিল্পসম্মত হয় । কবি অরণ্যা সরকার ' চাঁদ যাপনের ক্ষত ' কাব্যগ্রন্থে দ্বিতীয় কাজটি করেছেন , যার উদাহরণ: ' চিতাকাঠ ছাড়া পোড়ে যে জীবন/ সেই জানে প্রকৃত দহন' ( চাঁদ যাপনের কবিতাগুচ্ছ- ৮ ),
' বিস্বাদ জীবন যদি শুধু নুন ছুড়ে দেয়/ আমাদের সন্তান হবে প্রকৃত ম্যানগ্রোভ ... ' ( প্রত্যয়) ।
অরণ্যা সেই কবি, যিনি সেই সত্য তুলে ধরেন, যা আমরা সামান্য মগ্ন হলেই ধরে ফেলি ও সেই সমাধানের অপার আনন্দ দেয় । অরণ্যার সরলতা কোন ক্ষেত্রে অতিসরলীকরণ হয়ে ওঠে না তাঁর সংযত শব্দচয়নের গুণে । যেমন: ' একবার ঘুরে দাঁড়াও , / দেখো কোথাও যাইনি আমি/ তোমাতেই থেমে আছে সব পদছাপ ' ( ' উড়ান ')।
কবির প্রতিটি কবিতায় নিজেকে কবিতার কাছে উৎসর্গ করার ছাপ থাকে, সে কারণে তাঁর কবিতা পড়তে গিয়ে মন অন্যদিকে ধাবিত হয় না ভালো লাগে তন্নিষ্ঠ হতে ।
' এই আলো অন্ধকার শরীরী ভূগোল ঝাপটায়/ তোমাকেই নিংড়ে জয়ী হয় নিজস্ব ইতিহাস ' ( ' নিজস্ব ভূগোল থেকে ') ,' কে দেবে চন্দন স্নান/ আমাকে ভাঙছে ঋতু, / আমাকে গড়েছে মরুত্রাস ।' ( ' অহল্যা ') - এর মতো পংক্তির সামনে বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ি শিল্পের গুণে । এখানে অরণ্যার সার্থকতা । কবি অমিত সরকারের প্রচ্ছদ বইটির টিউনিংয়ের সঙ্গে সামন্ঞ্জস্যপূর্ণ । কালার কম্বিনেশন ও সামগ্রিক পরিপাট্য চমৎকার ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন