বিশ্বদুনিয়ার নতুন কবিতা
রুদ্র কিংশুক
ডিমা মাহমুদ-এর কবিতা
ডিমা মাহমুদ(Deema Mahmood, 1972) মিশরের তরুণ কবি। তাঁর পড়াশোনার বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স এবং স্ট্যাটিস্টিকস। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সৌদি অ্যারিবিয়ার কলেজ অফ এডুকেশন এবং কলেজ অব হেলথ সার্ভিসেস এই দুই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সায়েন্স ম্যাথমেটিক্স এবং স্ট্যাটিসটিকস পড়ান। বিদ্যায়তনিক পেশার বাইরে তিনি একজন ভয়েস ওভার, অডিও ন্যারেটর এবং ডাবিং অ্যাক্টর এবং ডাবিং অ্যাক্টর। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ব্রেইড অব স্পিরিট। ২০১৭ তে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ আই পিক কোয়ারেলস ওভার আ ভায়োলিন। তাঁর অনেক কবিতা ইংরেজি ফরাসি স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ভাষায় অনূদিত এবং প্রকাশিত হয়েছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে তিনি মিশরের কবিদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১.
ভ্রুণ হয়ে ওঠা
আমি নিজেই পাক খাই আরম্ভের তৃণ খাওয়ার আশায়
আমি হয়ে উঠি একটি ভ্রুন
এবং উঠি ধূসর প্লাসেন্টার ধূসর দুধের উপর দুধের উপর উপর
আমি সেই অনন্তকে উদ্ধার করি কিছুক্ষণ আবার মায়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকি
হয়ে উঠি তার সাথে এক কক্ষপথ ও মহাশূন্যের ভেতর ভেতর ভেতর ।
আমি মানুষের সমস্ত রকমের তলানি থেকে মুক্ত হয়ে উঠি
মুক্ত হই মানুষের সমস্ত থেকে
সমস্ত জেলমলম ও ডাই থেকে।
আমি হয়ে উঠি আর চলতে থাকি মিথ ও ভবিষ্যৎবাণী ছাড়াই।
২.
ছুঁড়ে ফেলা
আমি ছুঁড়ে ফেলছি,
হ্যাঁ, ছুড়ে ফেলেছি !
আমি অভিশাপ দিই সেই জিনকে যা আমাকে বেঁধেছে মানব জাতির সঙ্গে
আর হস্তান্তর করেছে এই কেওসের কাছে
আমি যদি হতাম একটা ঘেয়ো অথবা সিরাজী বেড়াল
একটা পাগলাটে অথবা হৃষ্টপুষ্ট কুকুর
আমি কেয়ার করি না,
আমি যদি হতাম একটা ছোট পাখি
অথবা একটা মাছি জীবাণু সহ ময়লার স্তূপের একটা একজোড়া ডানাসহ
দূরে উড়ে যাবার জন্য এবং আমার আত্মাকে টেনে বার করার জন্য
এই পচাগন্ধ ছাড়া মানুষের পাগলাটে গর্ত থেকে
হায়...
আমি প্রস্থানের পথ খুঁজি
আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এবং বমিতে ভাসছি।
মোটা ফেনা আমার গলা টিপছে এবং তাকে থামানোর কোন পথ নেই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন