কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
১৪ ই আগস্টের পর লাহোরের ভোর এবং অন্যান্য । অচিন্ত্যকুমার সাঁতরা । এবং নৈকট্য । দুশো টাকা ।
যে সব গল্পকার অত্যন্ত কম লেখেন ও ভাবেন বেশি, তাদের গদ্য পড়ে বোঝা যায় গভীরতার এক বিশেষ দিক । সে গভীরতা ছুঁয়ে যেতে কতখানি আনন্দ তা সচেতন পাঠক মাত্রই বোঝেন। বর্ষিয়াণ গদ্যকার অচিন্ত্যকুমার সাঁতরার সাম্প্রতিক গল্পগ্রন্থ ' ১৪ ই আগস্টের পর লাহোরের ভোর এবং অন্যান্য ' যদি সে রকম পাঠকের হাতে পড়ে তবে নিশ্চয়ই তারা সে আনন্দ অনুভব করবেন বলে বিশ্বাস । বইটির উৎসর্গ যা একাধারে উৎপল দত্ত, সনৎকুমার সাঁতরা, দেশভাগ, ১৯ শে মে ও বিদ্যাসাগরকে আলাদা আলাদা ভাবে করা হয়েছে, তাতে বোঝা যায় গ্রন্থের ভেতরে এক প্রতিবাদী অবস্থান লুকিয়ে আছে । গ্রন্থের পনেরটি গল্পের ভেতরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য যন্ত্রণা, ক্রূরতা, শ্লেষ ও তার থেকে বেরিয়ে আসার অদম্য ইচ্ছে। সেই বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁর আবেগ গ্রন্থটির বাস্তবতাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে গেছে, সে জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যয়ের দিকটি ধূসর মনে হয় । তিনি তাঁর গল্পে ব্যক্তি ভাবনাকে অতিরিক্ত টেনে আনার জন্য কিছু কিছু সময় খেই হারায় । অথচ তিনি যখন সংলাপের ভেতর দিয়ে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন, তখন এক অসাধারণ অবস্থানে পোঁছে যায় । সে কারণে গল্পকারের সংলাপ বহুল বামফ্রন্ট সরকার আমলের নৃশংস সামাজিক অবস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে ' রক্তরন্ধ্র ' কিংবা অর্থনৈতিক অনুকূলতা মানুষকে সমস্ত 'ক্ষমতা'-র অধিকারী করার ব্যঙ্গাত্মক দিকটি নিয়ে ' মুদ্রারাক্ষস ' জমে যায় । পাশাপাশি এক অভিনব চিন্তাধারার মধ্যে
দিয়ে লেখা ' ঋষভ ' গল্প, যেখানে বাবার চাকরি নিজে পাবার লোভে বাবাকে হত্যা করার চিন্তা করছে নায়ক, যা মূল্যবোধের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয় ।
বইটির আদ্যোপান্ত পড়ে অত্যন্ত সংক্ষেপে বলা যায় , যারা নতুন ধারার গল্প পড়তে চান তাদের বইটি পড়া প্রয়োজন । লেখককে অনুরোধ তিনি যেন 'অহর্নিশি' গল্পে দুপুরের খাবার 'লাঞ্চ ' বসিয়ে দেন তিনটি ডিনার শব্দের বদলে ।
১৪ ই আগস্টের পর লাহোরের ভোর এবং অন্যান্য । অচিন্ত্যকুমার সাঁতরা । এবং নৈকট্য । দুশো টাকা ।
যে সব গল্পকার অত্যন্ত কম লেখেন ও ভাবেন বেশি, তাদের গদ্য পড়ে বোঝা যায় গভীরতার এক বিশেষ দিক । সে গভীরতা ছুঁয়ে যেতে কতখানি আনন্দ তা সচেতন পাঠক মাত্রই বোঝেন। বর্ষিয়াণ গদ্যকার অচিন্ত্যকুমার সাঁতরার সাম্প্রতিক গল্পগ্রন্থ ' ১৪ ই আগস্টের পর লাহোরের ভোর এবং অন্যান্য ' যদি সে রকম পাঠকের হাতে পড়ে তবে নিশ্চয়ই তারা সে আনন্দ অনুভব করবেন বলে বিশ্বাস । বইটির উৎসর্গ যা একাধারে উৎপল দত্ত, সনৎকুমার সাঁতরা, দেশভাগ, ১৯ শে মে ও বিদ্যাসাগরকে আলাদা আলাদা ভাবে করা হয়েছে, তাতে বোঝা যায় গ্রন্থের ভেতরে এক প্রতিবাদী অবস্থান লুকিয়ে আছে । গ্রন্থের পনেরটি গল্পের ভেতরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য যন্ত্রণা, ক্রূরতা, শ্লেষ ও তার থেকে বেরিয়ে আসার অদম্য ইচ্ছে। সেই বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁর আবেগ গ্রন্থটির বাস্তবতাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে গেছে, সে জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যয়ের দিকটি ধূসর মনে হয় । তিনি তাঁর গল্পে ব্যক্তি ভাবনাকে অতিরিক্ত টেনে আনার জন্য কিছু কিছু সময় খেই হারায় । অথচ তিনি যখন সংলাপের ভেতর দিয়ে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন, তখন এক অসাধারণ অবস্থানে পোঁছে যায় । সে কারণে গল্পকারের সংলাপ বহুল বামফ্রন্ট সরকার আমলের নৃশংস সামাজিক অবস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে ' রক্তরন্ধ্র ' কিংবা অর্থনৈতিক অনুকূলতা মানুষকে সমস্ত 'ক্ষমতা'-র অধিকারী করার ব্যঙ্গাত্মক দিকটি নিয়ে ' মুদ্রারাক্ষস ' জমে যায় । পাশাপাশি এক অভিনব চিন্তাধারার মধ্যে
দিয়ে লেখা ' ঋষভ ' গল্প, যেখানে বাবার চাকরি নিজে পাবার লোভে বাবাকে হত্যা করার চিন্তা করছে নায়ক, যা মূল্যবোধের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয় ।
বইটির আদ্যোপান্ত পড়ে অত্যন্ত সংক্ষেপে বলা যায় , যারা নতুন ধারার গল্প পড়তে চান তাদের বইটি পড়া প্রয়োজন । লেখককে অনুরোধ তিনি যেন 'অহর্নিশি' গল্পে দুপুরের খাবার 'লাঞ্চ ' বসিয়ে দেন তিনটি ডিনার শব্দের বদলে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন