সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
১০২.
' এইভাবে গোপন কথোপকথন আর রবার স্টাম্পের দিকে চেয়ে থাকা ' -র মতো বাক্যাংশ দিয়ে শুরু হয়েছিল আফজল আলি-র কবিতাপাক্ষিক-যাত্রা। শারদীয় ২০০০ সংখ্যায়।অর্থাৎ কপা-র সপ্তম বছরে। তারপর তো সব ইতিহাস । বা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় মুদ্রিত আছে।
গঙ্গেশনগর > দশঘরা > তারকেশ্বের > হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট । এই যাত্রাপথটির জন্য আফজল ব্যবহার করত মোটরবাইক , রেলপথ এবং বাসরাস্তা।
সময়ের কোনো হিসেব করতে নেই। সময় কখনোই কারো জন্য অপেক্ষা করে না। যার হাঁটার কথা সে হাঁটে। যার সাঁতার কাটার কথা সে সাঁতার কাটে। যার ওড়ার কথা সে ওড়ে। সময়ের পুরো হিসেবটা দিতে পারে রাজপথ ,জলপথ এবং আকাশপথ। এই তিনটি পথের যোগফল থেকে একদিন আফজল আলি কবিতাপাক্ষিকের সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হয়েছিল।
এখন সরাসরি আফজলের কবিতাতে প্রবেশ করতে চাইছি। প্রবেশপথে সানাই বাজতে থাকুক। আর পাঠক পড়তে শুরু করুন আফজল আলি-র কবিতা।
১॥ হাটখোলা অন্ধকারে চেনামুখগুলো ক্রমেই আয়নার মধ্যে বিলম্বিত লয়ের প্রতিধ্বনি শোনে
২॥ বিষণ্ন ছাদটায় যে নরম রোদগুলো শুয়ে আছে ওরাও কানপেতে মনখারাপের গল্প শুনছে
৩॥ রাতের গলিগুলোতে হলুদপরিরা সারিবদ্ধ গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে
৪॥ বিড়াল সম্পর্কিত দুচার কথা লিখতে গেলে আমার এক ফ্ল্যাটবাড়ির কথা মনে আসে
৫ ॥ মিন্টোস্কোয়ার থেকে পার্কস্ট্রিট আসার পথে এরকম অনেক কবিতারই দেখা পাই
৬ ॥ কোল্ডড্রিঙ্কস চোষা মানুষজনেরা হাইফেন বিষয়ক গদ্যে খানিক জিরোয়
৭ ॥ ... কারণ কলির খরগোসরাও দৌড় শিখে ফেলেছে
৮ ॥ প্রতিটা মৃতদেহের ভিতরে সেতার বাজনা যেমন মৃতগাছটাকে ঘিরে ধরে
৯ ॥ নিরাপত্তার জন্য মোহিনীপার্কে ভাড়া করা একশত বাঘ
১০ ॥ আকাশে হুক লাগিয়ে আমার সব প্যান্ট ও জামাদের টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে
১১ ॥ এক শব্দ থেকে আর এক শব্দে যেতে যতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তার মধ্যে কতগুলো ঘুঘুর বাসা, সামাজিক বনসৃজন , অভিজ্ঞতার পত্রপাঠ ইত্যাদি পড়ে এখন সে বিষয়েই আলোচনা করব।
১২ ॥ কৌতূহল শব্দটা উভয়লিঙ্গ কেননা এর মধ্যমাত্রা পর্যন্ত পুরুষ শোভিথ আর অতিমাত্রা ঠিক এর বিপরীত।
১৩ ॥ শ্যাওলা রঙের সাথে যে মেয়েটির কথা মনে আসে তার খোলা চুলের বারান্দায় একজোড়া শালিক বাঁধা থাকত
১৪ ॥ বৃষ্টিতে ঘাসেরা ভিজে গেলে কেউ চাক বা না চাক স্বতঃস্ফূর্ত পিয়ানোরা বাতাসে স্বপ্ন ছড়া২বেই
১৫ ॥ এই মুহূর্তে যা যা ঘটতে পারে তা দিয়ে আমি যদি ঘর তৈরি করি তাহলে সেই ঘরের নির্মাণ কৌশল কেমন হবে
আমি আফজল-এর ১৫ টি কবিতার অংশ তুলে কিছুটা পরিচয় করিয়ে দিলাম। আর একটা সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দিলাম , কবিতাকে আপডেট করার যে প্রতিজ্ঞা আমরা গ্রহণ করেছিলাম , সেই আমরার মধ্যে আফজল আলি-ও একটি আমি।
আরো জানানো আবশ্যক , আমি জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট সম্পর্কে বিন্দুমাত্র অবগত নেই। জানার বাসনাও নেই। তবে এটা যে আধুনিকতাকে সমর্থন করে না , সেটা বুঝি। আর বুঝি বলেই এটাও পোস্টমডার্ন চিন্তাচেতনারই অংশ মাত্র।
প্রভাত চৌধুরী
১০২.
' এইভাবে গোপন কথোপকথন আর রবার স্টাম্পের দিকে চেয়ে থাকা ' -র মতো বাক্যাংশ দিয়ে শুরু হয়েছিল আফজল আলি-র কবিতাপাক্ষিক-যাত্রা। শারদীয় ২০০০ সংখ্যায়।অর্থাৎ কপা-র সপ্তম বছরে। তারপর তো সব ইতিহাস । বা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় মুদ্রিত আছে।
গঙ্গেশনগর > দশঘরা > তারকেশ্বের > হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট । এই যাত্রাপথটির জন্য আফজল ব্যবহার করত মোটরবাইক , রেলপথ এবং বাসরাস্তা।
সময়ের কোনো হিসেব করতে নেই। সময় কখনোই কারো জন্য অপেক্ষা করে না। যার হাঁটার কথা সে হাঁটে। যার সাঁতার কাটার কথা সে সাঁতার কাটে। যার ওড়ার কথা সে ওড়ে। সময়ের পুরো হিসেবটা দিতে পারে রাজপথ ,জলপথ এবং আকাশপথ। এই তিনটি পথের যোগফল থেকে একদিন আফজল আলি কবিতাপাক্ষিকের সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হয়েছিল।
এখন সরাসরি আফজলের কবিতাতে প্রবেশ করতে চাইছি। প্রবেশপথে সানাই বাজতে থাকুক। আর পাঠক পড়তে শুরু করুন আফজল আলি-র কবিতা।
১॥ হাটখোলা অন্ধকারে চেনামুখগুলো ক্রমেই আয়নার মধ্যে বিলম্বিত লয়ের প্রতিধ্বনি শোনে
২॥ বিষণ্ন ছাদটায় যে নরম রোদগুলো শুয়ে আছে ওরাও কানপেতে মনখারাপের গল্প শুনছে
৩॥ রাতের গলিগুলোতে হলুদপরিরা সারিবদ্ধ গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে
৪॥ বিড়াল সম্পর্কিত দুচার কথা লিখতে গেলে আমার এক ফ্ল্যাটবাড়ির কথা মনে আসে
৫ ॥ মিন্টোস্কোয়ার থেকে পার্কস্ট্রিট আসার পথে এরকম অনেক কবিতারই দেখা পাই
৬ ॥ কোল্ডড্রিঙ্কস চোষা মানুষজনেরা হাইফেন বিষয়ক গদ্যে খানিক জিরোয়
৭ ॥ ... কারণ কলির খরগোসরাও দৌড় শিখে ফেলেছে
৮ ॥ প্রতিটা মৃতদেহের ভিতরে সেতার বাজনা যেমন মৃতগাছটাকে ঘিরে ধরে
৯ ॥ নিরাপত্তার জন্য মোহিনীপার্কে ভাড়া করা একশত বাঘ
১০ ॥ আকাশে হুক লাগিয়ে আমার সব প্যান্ট ও জামাদের টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে
১১ ॥ এক শব্দ থেকে আর এক শব্দে যেতে যতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তার মধ্যে কতগুলো ঘুঘুর বাসা, সামাজিক বনসৃজন , অভিজ্ঞতার পত্রপাঠ ইত্যাদি পড়ে এখন সে বিষয়েই আলোচনা করব।
১২ ॥ কৌতূহল শব্দটা উভয়লিঙ্গ কেননা এর মধ্যমাত্রা পর্যন্ত পুরুষ শোভিথ আর অতিমাত্রা ঠিক এর বিপরীত।
১৩ ॥ শ্যাওলা রঙের সাথে যে মেয়েটির কথা মনে আসে তার খোলা চুলের বারান্দায় একজোড়া শালিক বাঁধা থাকত
১৪ ॥ বৃষ্টিতে ঘাসেরা ভিজে গেলে কেউ চাক বা না চাক স্বতঃস্ফূর্ত পিয়ানোরা বাতাসে স্বপ্ন ছড়া২বেই
১৫ ॥ এই মুহূর্তে যা যা ঘটতে পারে তা দিয়ে আমি যদি ঘর তৈরি করি তাহলে সেই ঘরের নির্মাণ কৌশল কেমন হবে
আমি আফজল-এর ১৫ টি কবিতার অংশ তুলে কিছুটা পরিচয় করিয়ে দিলাম। আর একটা সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দিলাম , কবিতাকে আপডেট করার যে প্রতিজ্ঞা আমরা গ্রহণ করেছিলাম , সেই আমরার মধ্যে আফজল আলি-ও একটি আমি।
আরো জানানো আবশ্যক , আমি জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট সম্পর্কে বিন্দুমাত্র অবগত নেই। জানার বাসনাও নেই। তবে এটা যে আধুনিকতাকে সমর্থন করে না , সেটা বুঝি। আর বুঝি বলেই এটাও পোস্টমডার্ন চিন্তাচেতনারই অংশ মাত্র।
একমত
উত্তরমুছুনএকমত
উত্তরমুছুন