কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
একই বৃত্তে অন্য ক্ষেত্রফল । সমরেন্দ্র রায় । সমিধ । দশ টাকা ।
বড় স্পষ্ট কথা যখন দ্বর্থহীন ভাষায় কোন কবির কবিতার ভেতরে সন্ঞ্চারিত হয়, তখন সে কবিতার রূপ তা বদলে দিতে পারে ও কবিতাকে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে । কবি সমরেন্দ্র রায়ের ২০০৭সালে প্রকাশিত কাব্য পুস্তিকা ' একই বৃত্তে অন্য ক্ষেত্রফল ' এ এরকম অনেক কবিতা পাই যা ওপরের কথাকে সমর্থন করবে: ' নদী যেমন ভূমি চাটে তেমনি আগুন খায়/ শুধু মানুষ মানুষ খায় না, রক্ত চোষে । ' ( এগারই সেপ্টেম্বর) , ' যদিও স্মারকস্তম্ভ আনন্দ- খোরাক তৈরী করে/ অথবা অজান্তেই বেড়ে ওঠে/ নাগরিক খোলস ।' ( ' অগোচরে অল্পকথা ') ।
সমরেন্দ্রের কবিতার স্বাদ-গন্ধ তেমন ঝাঁঝালো না হলেও তাঁর কবিতা কিন্তু সম্পূর্ণ নিম্নগ্রামের নয় । মাঝেমধ্যে তিনি জ্বলে ওঠেন সামাজিক ব্যবস্থা, দুর্দশা ও অপছন্দের বিষয়গুলো সামনে দাঁড় করিয়ে, যেমন: ' কবে খসেছিল ও দুটি কবিতা পা ; কলকাতা হেঁটেছিল? / যেমন এখন হাঁটে অভুক্ত কঙ্কাল, / জনান্তিকে বেড়ে ওঠা খরস্রোত । ' ( ' স্খলন ') ভালো বাসিয়ে ছাড়ে ।
কবির কবিতায় কানে বাজে ' কেননা ' শব্দটি। যা কাব্য পুস্তিকায় দুটি কবিতায় বিসদৃশ ভাবে আছে । পাশাপাশি কখনো কখনো অতিকথার কিছু ঝোঁক লক্ষ্য করা গেছে । কিন্তু তা সত্বেও প্রায় কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তাঁর কবিতার নির্বাচিত বিষয় । যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে আপাত সফল এই পুস্তিকায়: ' সাবলীল আমাদের খড়কুটো, হাড়গিলে বৌ- / বাঁচার তাগিদেই বাঁচে- জিরাফের মতো মরে ।' ( ' মৃত্যু ') তার প্রমাণ । স্বরূপেন্দ্র দাসের অপাংক্তেয় প্রচ্ছদচিত্রের বদলে প্রচ্ছদ চিত্রহীন থাকলে আনন্দ পেতাম ।
একই বৃত্তে অন্য ক্ষেত্রফল । সমরেন্দ্র রায় । সমিধ । দশ টাকা ।
বড় স্পষ্ট কথা যখন দ্বর্থহীন ভাষায় কোন কবির কবিতার ভেতরে সন্ঞ্চারিত হয়, তখন সে কবিতার রূপ তা বদলে দিতে পারে ও কবিতাকে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে । কবি সমরেন্দ্র রায়ের ২০০৭সালে প্রকাশিত কাব্য পুস্তিকা ' একই বৃত্তে অন্য ক্ষেত্রফল ' এ এরকম অনেক কবিতা পাই যা ওপরের কথাকে সমর্থন করবে: ' নদী যেমন ভূমি চাটে তেমনি আগুন খায়/ শুধু মানুষ মানুষ খায় না, রক্ত চোষে । ' ( এগারই সেপ্টেম্বর) , ' যদিও স্মারকস্তম্ভ আনন্দ- খোরাক তৈরী করে/ অথবা অজান্তেই বেড়ে ওঠে/ নাগরিক খোলস ।' ( ' অগোচরে অল্পকথা ') ।
সমরেন্দ্রের কবিতার স্বাদ-গন্ধ তেমন ঝাঁঝালো না হলেও তাঁর কবিতা কিন্তু সম্পূর্ণ নিম্নগ্রামের নয় । মাঝেমধ্যে তিনি জ্বলে ওঠেন সামাজিক ব্যবস্থা, দুর্দশা ও অপছন্দের বিষয়গুলো সামনে দাঁড় করিয়ে, যেমন: ' কবে খসেছিল ও দুটি কবিতা পা ; কলকাতা হেঁটেছিল? / যেমন এখন হাঁটে অভুক্ত কঙ্কাল, / জনান্তিকে বেড়ে ওঠা খরস্রোত । ' ( ' স্খলন ') ভালো বাসিয়ে ছাড়ে ।
কবির কবিতায় কানে বাজে ' কেননা ' শব্দটি। যা কাব্য পুস্তিকায় দুটি কবিতায় বিসদৃশ ভাবে আছে । পাশাপাশি কখনো কখনো অতিকথার কিছু ঝোঁক লক্ষ্য করা গেছে । কিন্তু তা সত্বেও প্রায় কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তাঁর কবিতার নির্বাচিত বিষয় । যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে আপাত সফল এই পুস্তিকায়: ' সাবলীল আমাদের খড়কুটো, হাড়গিলে বৌ- / বাঁচার তাগিদেই বাঁচে- জিরাফের মতো মরে ।' ( ' মৃত্যু ') তার প্রমাণ । স্বরূপেন্দ্র দাসের অপাংক্তেয় প্রচ্ছদচিত্রের বদলে প্রচ্ছদ চিত্রহীন থাকলে আনন্দ পেতাম ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন