কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
ছোট শহরের হাওয়া । শ্যামলকান্তি দাশ । বাকপ্রতিমা । সাত টাকা ।
কবি শ্যামলকান্তি দাশ তাঁর ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত কাব্য পুস্তিকা ' ছোট শহরের হাওয়া ' তে ছড়িয়ে দিয়েছেন সেই ভালো লাগার দিক যা অনুপ্রাণিত করে ।
সে কারণে এসব উচ্চারণ: ' বঁটি আর বঁটি নয়, চারধারে আঁশ / আঁচড়ে দেওয়াল থরহরি- / প্রাণীদের এমনই প্রকাশ/ বেড়ালেরা স্বয়ং প্রকাশ! ' ( বেড়াল ') , ' এরকম স্তব্ধ নিশুতি রাত্রে মানুষ কোথায় যায়, / কেন মানুষের পাশে এই সময় একটাও চরাচর থাকে না ? '
( ' মছলন্দপুরের কথা ' ) , ' চোখ জ্বেলে রক্ত জ্বেলে হাহাকার জ্বেলে/ তোমার জন্য রচনা করি/ একটির পর একটি নিবেদনের মালা! ' ( ' মালা ') অজান্তে বহুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে ।
কবির এই কাব্য পুস্তিকাতে দেখিয়েছেন তিনি শুধু চোখ দিয়েই দেখেন না , অন্য ইন্দ্রিয় দিয়েই অনুভব করেন না, যাঁর সমগ্র সত্ত্বায় মিশে আছে কাব্যিক অনুপ্রেরণা ।কবির এই পুস্তিকাতে মিশে গেছে প্রেম, দৃশ্য, প্রকৃত পর্যবেক্ষণ ও স্বাভাবিক শব্দমাধুর্যের অপূর্ব টিউনিং । যা পাঠকের লোভনীয় দিক । কবি এখানের প্রতিটি কবিতার প্রতিটি শব্দ পড়িয়ে ছাড়েন শব্দের জাদুকরী আকর্ষণের জন্য, যেমন: দানা শস্যে খামার রচনা করো, আমি আজ প্রস্তুত, শরীর/ শরীর প্রস্তুত আজ , হে গম, গমের দেশ, কত দূরে বাড়ি !' ( 'প্রস্তুত ')।
কবির কবিতায় রহস্যময়তা, সার্বিক উপলব্ধি ও আঁটোসাঁটো কাব্যগঠন তাঁর জাত চেনায় । প্রদীপ মাইতির সাদামাটা প্রচ্ছদ পুস্তিকাটির নামের মেজাজ ধরে রাখে ।
ছোট শহরের হাওয়া । শ্যামলকান্তি দাশ । বাকপ্রতিমা । সাত টাকা ।
কবি শ্যামলকান্তি দাশ তাঁর ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত কাব্য পুস্তিকা ' ছোট শহরের হাওয়া ' তে ছড়িয়ে দিয়েছেন সেই ভালো লাগার দিক যা অনুপ্রাণিত করে ।
সে কারণে এসব উচ্চারণ: ' বঁটি আর বঁটি নয়, চারধারে আঁশ / আঁচড়ে দেওয়াল থরহরি- / প্রাণীদের এমনই প্রকাশ/ বেড়ালেরা স্বয়ং প্রকাশ! ' ( বেড়াল ') , ' এরকম স্তব্ধ নিশুতি রাত্রে মানুষ কোথায় যায়, / কেন মানুষের পাশে এই সময় একটাও চরাচর থাকে না ? '
( ' মছলন্দপুরের কথা ' ) , ' চোখ জ্বেলে রক্ত জ্বেলে হাহাকার জ্বেলে/ তোমার জন্য রচনা করি/ একটির পর একটি নিবেদনের মালা! ' ( ' মালা ') অজান্তে বহুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে ।
কবির এই কাব্য পুস্তিকাতে দেখিয়েছেন তিনি শুধু চোখ দিয়েই দেখেন না , অন্য ইন্দ্রিয় দিয়েই অনুভব করেন না, যাঁর সমগ্র সত্ত্বায় মিশে আছে কাব্যিক অনুপ্রেরণা ।কবির এই পুস্তিকাতে মিশে গেছে প্রেম, দৃশ্য, প্রকৃত পর্যবেক্ষণ ও স্বাভাবিক শব্দমাধুর্যের অপূর্ব টিউনিং । যা পাঠকের লোভনীয় দিক । কবি এখানের প্রতিটি কবিতার প্রতিটি শব্দ পড়িয়ে ছাড়েন শব্দের জাদুকরী আকর্ষণের জন্য, যেমন: দানা শস্যে খামার রচনা করো, আমি আজ প্রস্তুত, শরীর/ শরীর প্রস্তুত আজ , হে গম, গমের দেশ, কত দূরে বাড়ি !' ( 'প্রস্তুত ')।
কবির কবিতায় রহস্যময়তা, সার্বিক উপলব্ধি ও আঁটোসাঁটো কাব্যগঠন তাঁর জাত চেনায় । প্রদীপ মাইতির সাদামাটা প্রচ্ছদ পুস্তিকাটির নামের মেজাজ ধরে রাখে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন