কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
হাত ছোঁয়ালে লজ্জাবতী । সুকুমার গরাণী । বাণী প্রকাশ । পন্ঞ্চাশ টাকা ।
সত্যিই হয়তো একদিন বিজ্ঞাপন দিতে হতে পারে, 'একজন প্রকৃত যৌক্তিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ কবি চাই ।
কারণ তাহা আজ কম পড়িতেছে । ' ব্যর্থ কবিতার জোয়ার ,টালমাটাল শব্দচয়ন ও যৌক্তিকতার ভেতর দিয়ে লিখে যাওয়া কবিকুলের কবিতা পড়তে পড়তে এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার ইচ্ছে ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে । কবি সুকুমার গরাণীর বইটির মেজাজের সঙ্গে অমানানসই শিরোনামের কাব্যগ্রন্থ ' হাত ছোঁয়ালে লজ্জাবতী ' তে কিন্তু শ্লেষ, কিছু ব্যক্তি উপলব্ধি ও তাৎক্ষনিক সামাজিক ভাবনার বশবর্তী হয়ে লেখায় বহু সময় যৌক্তিক দিকটির টালমাটাল ঘটেছে । অনেক সময় পাঠককে যুক্তি সাজাতে হচ্ছে । কিছুতে তাঁর কবিতাকে বাহ্ বলা যাচ্ছে না । তাঁর বাহাত্তরটি নাতিদীর্ঘ কবিতার ভেতরে কিছু কবিতা অনুরণিত করে । যেমন, ' আমার ছাই চাপা ভবিষ্যত অন্ধকারে রাত জাগে/ এক টুকরো আগুনের আশ্বাসে । ' (বেকার), ' সভ্যতার আদি থেকে এভাবেই/ব্যাটন বদলায় এক থেকে অন্যে ' ( ব্যাটন বদল )।
কাব্যগ্রন্থটিকে পুণঃপাঠের পর বোঝা যায়, ' কখনো কখনো/ বুকের মাঝে একতারা বাজে/ উদাস বাউল হেঁটে যায়/ আঁকাবাঁকা মেঠো পথে/ দূরে বহুদূরে/ বাউল মন গান হয়/ একতারা বাজে- / মন খারাপের/ দুঃখের/ কষ্টের ।' ( ' একতারা ')-র মতো কিছু না পাওয়া কবিতার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছে হয় , কবিকে জানতে হবে সেই কাব্যিক উপলব্ধি যা তাঁর কবিতা কে স্বতন্ত্র করবে , বুঝতে হবে কবিতা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, আরো কিছু । খুঁজতে হবে শব্দ ও যৌক্তিক দিক যা কবিতাকে সমৃদ্ধ করবে । বর্তমানে বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় এই কবির কবিতা পড়ছি তাতে তাঁর কবিতা কিছু কিছু ক্ষেত্রে উত্তরণের দিকে যাচ্ছে বলা যায় । তাঁর চেষ্টা সফল হোক এই কামনা । দেবব্রত দাসের প্রচ্ছদ পাকা কাজ । তবে শিরোনামের হরফ বিশাল নাহলে আরো নয়নাভিরাম হত।
হাত ছোঁয়ালে লজ্জাবতী । সুকুমার গরাণী । বাণী প্রকাশ । পন্ঞ্চাশ টাকা ।
সত্যিই হয়তো একদিন বিজ্ঞাপন দিতে হতে পারে, 'একজন প্রকৃত যৌক্তিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ কবি চাই ।
কারণ তাহা আজ কম পড়িতেছে । ' ব্যর্থ কবিতার জোয়ার ,টালমাটাল শব্দচয়ন ও যৌক্তিকতার ভেতর দিয়ে লিখে যাওয়া কবিকুলের কবিতা পড়তে পড়তে এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার ইচ্ছে ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে । কবি সুকুমার গরাণীর বইটির মেজাজের সঙ্গে অমানানসই শিরোনামের কাব্যগ্রন্থ ' হাত ছোঁয়ালে লজ্জাবতী ' তে কিন্তু শ্লেষ, কিছু ব্যক্তি উপলব্ধি ও তাৎক্ষনিক সামাজিক ভাবনার বশবর্তী হয়ে লেখায় বহু সময় যৌক্তিক দিকটির টালমাটাল ঘটেছে । অনেক সময় পাঠককে যুক্তি সাজাতে হচ্ছে । কিছুতে তাঁর কবিতাকে বাহ্ বলা যাচ্ছে না । তাঁর বাহাত্তরটি নাতিদীর্ঘ কবিতার ভেতরে কিছু কবিতা অনুরণিত করে । যেমন, ' আমার ছাই চাপা ভবিষ্যত অন্ধকারে রাত জাগে/ এক টুকরো আগুনের আশ্বাসে । ' (বেকার), ' সভ্যতার আদি থেকে এভাবেই/ব্যাটন বদলায় এক থেকে অন্যে ' ( ব্যাটন বদল )।
কাব্যগ্রন্থটিকে পুণঃপাঠের পর বোঝা যায়, ' কখনো কখনো/ বুকের মাঝে একতারা বাজে/ উদাস বাউল হেঁটে যায়/ আঁকাবাঁকা মেঠো পথে/ দূরে বহুদূরে/ বাউল মন গান হয়/ একতারা বাজে- / মন খারাপের/ দুঃখের/ কষ্টের ।' ( ' একতারা ')-র মতো কিছু না পাওয়া কবিতার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছে হয় , কবিকে জানতে হবে সেই কাব্যিক উপলব্ধি যা তাঁর কবিতা কে স্বতন্ত্র করবে , বুঝতে হবে কবিতা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, আরো কিছু । খুঁজতে হবে শব্দ ও যৌক্তিক দিক যা কবিতাকে সমৃদ্ধ করবে । বর্তমানে বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় এই কবির কবিতা পড়ছি তাতে তাঁর কবিতা কিছু কিছু ক্ষেত্রে উত্তরণের দিকে যাচ্ছে বলা যায় । তাঁর চেষ্টা সফল হোক এই কামনা । দেবব্রত দাসের প্রচ্ছদ পাকা কাজ । তবে শিরোনামের হরফ বিশাল নাহলে আরো নয়নাভিরাম হত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন