কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
উলকাঁটার রাত্রি ও উড়ো পর্দা । অশোক মুখোপাধ্যায় । কবিতার প্ল্যাটফর্ম । আঠারো টাকা ।
একরাশ কবিতার বইয়ের ভেতর থেকে অজান্তে যে বইটির কাছে হাত চলে যায় কবিকৃত প্রচ্ছদের গুণে, সেই অশোক মুখোপাধ্যায়ের ' উলকাঁটার রাত্রি ও উড়ো পর্দা ' -র মতো এক অসম্ভব স্মার্ট ও কুশলী বইটি পড়ে চমৎকৃত হতে হয় । আজ থেকে চব্বিশ বছর আগে প্রকাশিত ও পঁচিশ থেকে ত্রিশ বছর আগে লিখিত এই কবিতাগুলি বুঝিয়ে দেয়, একটি শব্দের জন্য তাঁর মমত্ব ও একটি শব্দের জন্য তাঁর তপস্যা ।
কলকাতার মাঝখানে না থাকা ও নিজেকে প্রচারের আলোয় না আনতে পারার 'অপরাধে ' এই কবির তেমন প্রচার ট্রচার না হলেও, প্রকৃত পাঠক যদি বইটি পড়েন তবে বুকের ভেতর আঁকড়ে ধরবে এ বিশ্বাস আছে । ' এই বিশাল হাতের টেবিল থেকে/ তোমার নিজস্ব হাতটা তুলে নাও/ তারপর আমার সামনে এসো হাত ধরো ।' ( ' হাত নিয়ে দুটো '), ' এ কথা শেষ হলেও থাকবে না উত্তরপুরুষ , / এ কথা শেষ হলে শেষ হবে পৃথিবী । ' (একথা ') , ' খেয়ালী গাছের পাতারা এখন অন্য কথা বলে/ হলুদ বাগান প্রতিক্রিয়াশীল / এ সময় আমির খসরুর দু- কলি শায়েরি/ কানে কানে ফিস ফিস করে গেল চাঁদ ।'( ঋতু বদলের সময় ')-র মতো পংক্তি বোঝায় কবির জাত । কবির ভেতরের তন্ময়তা, প্রতি মুহূর্তে কবিতার সঙ্গে যাপনের অদম্য ইচ্ছে ও তার থেকে কবিতা লেখার প্রেরণা বুঝতে পারে সচেতন পাঠক ।
অশোক মুখোপাধ্যায়ের কবিতা যত পড়েছি তাতে পেয়েছি আলাদা আলাদা আধার,যা বিস্মিত করে । প্রতিটি কাব্যগ্রন্থে তিনি ভরে দেন নতুন চেতনা, আঙ্গিক, শব্দচয়ন, দ্যোতনা , ব্যঞ্জনা । আবার বলি তাঁর করা প্রচ্ছদ কবিতা হয়েওঠে আসে পাঠকের মনে ।
উলকাঁটার রাত্রি ও উড়ো পর্দা । অশোক মুখোপাধ্যায় । কবিতার প্ল্যাটফর্ম । আঠারো টাকা ।
একরাশ কবিতার বইয়ের ভেতর থেকে অজান্তে যে বইটির কাছে হাত চলে যায় কবিকৃত প্রচ্ছদের গুণে, সেই অশোক মুখোপাধ্যায়ের ' উলকাঁটার রাত্রি ও উড়ো পর্দা ' -র মতো এক অসম্ভব স্মার্ট ও কুশলী বইটি পড়ে চমৎকৃত হতে হয় । আজ থেকে চব্বিশ বছর আগে প্রকাশিত ও পঁচিশ থেকে ত্রিশ বছর আগে লিখিত এই কবিতাগুলি বুঝিয়ে দেয়, একটি শব্দের জন্য তাঁর মমত্ব ও একটি শব্দের জন্য তাঁর তপস্যা ।
কলকাতার মাঝখানে না থাকা ও নিজেকে প্রচারের আলোয় না আনতে পারার 'অপরাধে ' এই কবির তেমন প্রচার ট্রচার না হলেও, প্রকৃত পাঠক যদি বইটি পড়েন তবে বুকের ভেতর আঁকড়ে ধরবে এ বিশ্বাস আছে । ' এই বিশাল হাতের টেবিল থেকে/ তোমার নিজস্ব হাতটা তুলে নাও/ তারপর আমার সামনে এসো হাত ধরো ।' ( ' হাত নিয়ে দুটো '), ' এ কথা শেষ হলেও থাকবে না উত্তরপুরুষ , / এ কথা শেষ হলে শেষ হবে পৃথিবী । ' (একথা ') , ' খেয়ালী গাছের পাতারা এখন অন্য কথা বলে/ হলুদ বাগান প্রতিক্রিয়াশীল / এ সময় আমির খসরুর দু- কলি শায়েরি/ কানে কানে ফিস ফিস করে গেল চাঁদ ।'( ঋতু বদলের সময় ')-র মতো পংক্তি বোঝায় কবির জাত । কবির ভেতরের তন্ময়তা, প্রতি মুহূর্তে কবিতার সঙ্গে যাপনের অদম্য ইচ্ছে ও তার থেকে কবিতা লেখার প্রেরণা বুঝতে পারে সচেতন পাঠক ।
অশোক মুখোপাধ্যায়ের কবিতা যত পড়েছি তাতে পেয়েছি আলাদা আলাদা আধার,যা বিস্মিত করে । প্রতিটি কাব্যগ্রন্থে তিনি ভরে দেন নতুন চেতনা, আঙ্গিক, শব্দচয়ন, দ্যোতনা , ব্যঞ্জনা । আবার বলি তাঁর করা প্রচ্ছদ কবিতা হয়েওঠে আসে পাঠকের মনে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন