পূরবী~ ২৩
অভিজিৎ চৌধুরী
ঠাকুর গিরীশকে বললেন,থ্যেটারে লোকশিক্ষে হয়।আবার নটী বিনোদিনীকেও আশীর্বাদও করলেন।যা সেদিন বিদ্যাসাগর মশাইও পারেননি।
তিনি মোটেই কোন সংস্কারক ছিলেন না।সাবেকি একজন মানুষ।প্রথম দিকে তো কৈর্তব্য রাণীর প্রসাদ খেতেও দ্বিধায় ছিলেন।
অথচ তিনি যখন বলেন,যতো মত,তত পথ।তীর্থ এখনও চমকে ওঠে।কোন তত্ত্ব নেই।এই সৃজনবেধ জীবন থেকে পাওয়া।
আর একটি ভাবার মতোন দিক হল যে সকলের মধ্যে মাতৃভাব দেখা।সাবেকি কিন্তু সন্মাননায় তিনি নারীকে দেবী বলেই জানেন।
এসব টানাপোড়েন জীবনের অঙ্গ।গৌতম বুদ্ধ কি বিভ্রান্ত হননি! হয়েছেন।তথাগতের খোলস তাঁকে অবোধ্য করে তুলেছে।
এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ হিংসাত্মক আন্দোলন মেনে নেননি।আবার গান্ধীর চরকা বিশ্বাস করতেন না।ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে তাঁকে প্রথমে পাওয়া যায়নি।
পশুবলির নরেন্দ্রনাথের ঝোঁক ছিল বেশী কারণ বিবেকানন্দের খাওয়া দাওয়ার নিয়ন্ত্রণ ছিল না।দীর্ঘ অনাহারের পর তিনি প্রচুর খেয়ে নিতেন।রবীন্দ্রনাথ কি পরিমিত আহার করতেন! তাও নয় কিন্তু।তবে যতো জীবন এগিয়েছে নিরাকার ব্রহ্মলোক তাঁর সমীপবর্তী হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ বললেন নবীনচন্দ্র সেনকে তখন তিনি তরুণ,আমার পরিবারের অনেকের মতোন আমার পৌত্তলিকতা নিয়ে গোঁড়ামি নেই।ফলে গান বাঁধতে দোষ নেই।কিশোর কবি দস্যুদের গানে কিন্তু কালী কালী শব্দ ব্যবহার করেছিলেন।তবে বলি তিনি সমর্থন করেননি কখনও।বিসর্জনের জয়সিংহ ঘরের কোণায় পর্দা টাঙিয়ে বহুবার সেজেছে তীর্থ।
না,আর প্যাঁচ পয়জার নয়।জীবনস্মৃতি বুকের কাছে নিল তীর্থ। কোন রক্তপাত টের পেল কী? না।
মানুষ নশ্বর, সময় অবিনশ্বর।মৃত্যুর কোরকে বসে জীবনের স্বাদ পেতে রবির কাছে আসা।
তীর্থ কহিল,রবিঠাকুর- নীচ হইতে জীবনের টান কমাইয়া বাঁধা রাস্তা ছাড়িয়া দিবার নামই কি- তুমি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন