কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
পুতুলের সংজ্ঞা । তীর্থংকর সুমিত । আহোরি ।পনেরো টাকা ।
যখন কোন সম্প্রতি কবিতা লিখতে আসা তরুণতম কবি ' বহুদিন আমি অন্ধকারকে মুড়েছি বইয়ের পাতায় । ' কিংবা ' ক্ষয়ে যাওয়া নদী/ পাতারা বিছিয়েছে যাওয়ার পথে/ জ্যামিতিক সম্পাদ্যে জীবন ... ' এর মতো পংক্তি লিখে ফেলতে পারে তখন আশা জেগে ওঠে । তীর্থংকর সুমিত এই আশা জাগিয়ে তোলে তাঁর কবিতার পকেট বুক ' পুতুলের সংজ্ঞা '-র মাধ্যমে । অতি ক্ষীণতনু বইটির ভেতর থেকে এখন তেমন উল্লেখযোগ্য
কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। অনেকাংশে গঠনগত ভুলভ্রান্তি, কখনো সরলীকরণকে অতিসরলীকরণ করার ঝোঁক ইত্যাদি তাঁকে সমালোচিত করতে পারে, কিন্তু মাঝেমধ্যে বেরিয়ে আসা স্ফুলিঙ্গ তাঁর কবিতার প্রতি মগ্ন করে ।
' পুতুলের সংজ্ঞা ' যদিও ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য
হবে না, তবু একে অমর্যাদাকর কিছু বলা সঙ্গত হবে না । কবির কবিতা বাছার দিক দিয়ে ত্রুটি থাকলেও তিনি অজান্তে ছড়িয়ে দেন উপরের পংক্তির মতো পংক্তি যা
সাম্প্রতিকতম কবির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাপ্তি ।
কবির এরকম পংক্তি আরো পাই, তা হল : ' ফেলে আসা রাস্তায়/ কঙ্কালেরা নৃত্যশুরু করে দিয়েছে/ কিছু হাড় মাস মজ্জা/ আমি চেয়ে থাকি উদ্দাম স্রোতের দিকে .... ' ( ' স্রোতের দিকে ' )।
কবিকে অনেক দূর যেতে হবে । তিনি কবিতা লিখুন, ছুঁয়ে থাকুন সময় । গড়ে তুলুন নির্ভুল শব্দচয়ন ।
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছদ সাধারণ হলেও চিন্তাধারা
মনোগ্রাহী ।
পুতুলের সংজ্ঞা । তীর্থংকর সুমিত । আহোরি ।পনেরো টাকা ।
যখন কোন সম্প্রতি কবিতা লিখতে আসা তরুণতম কবি ' বহুদিন আমি অন্ধকারকে মুড়েছি বইয়ের পাতায় । ' কিংবা ' ক্ষয়ে যাওয়া নদী/ পাতারা বিছিয়েছে যাওয়ার পথে/ জ্যামিতিক সম্পাদ্যে জীবন ... ' এর মতো পংক্তি লিখে ফেলতে পারে তখন আশা জেগে ওঠে । তীর্থংকর সুমিত এই আশা জাগিয়ে তোলে তাঁর কবিতার পকেট বুক ' পুতুলের সংজ্ঞা '-র মাধ্যমে । অতি ক্ষীণতনু বইটির ভেতর থেকে এখন তেমন উল্লেখযোগ্য
কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। অনেকাংশে গঠনগত ভুলভ্রান্তি, কখনো সরলীকরণকে অতিসরলীকরণ করার ঝোঁক ইত্যাদি তাঁকে সমালোচিত করতে পারে, কিন্তু মাঝেমধ্যে বেরিয়ে আসা স্ফুলিঙ্গ তাঁর কবিতার প্রতি মগ্ন করে ।
' পুতুলের সংজ্ঞা ' যদিও ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য
হবে না, তবু একে অমর্যাদাকর কিছু বলা সঙ্গত হবে না । কবির কবিতা বাছার দিক দিয়ে ত্রুটি থাকলেও তিনি অজান্তে ছড়িয়ে দেন উপরের পংক্তির মতো পংক্তি যা
সাম্প্রতিকতম কবির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাপ্তি ।
কবির এরকম পংক্তি আরো পাই, তা হল : ' ফেলে আসা রাস্তায়/ কঙ্কালেরা নৃত্যশুরু করে দিয়েছে/ কিছু হাড় মাস মজ্জা/ আমি চেয়ে থাকি উদ্দাম স্রোতের দিকে .... ' ( ' স্রোতের দিকে ' )।
কবিকে অনেক দূর যেতে হবে । তিনি কবিতা লিখুন, ছুঁয়ে থাকুন সময় । গড়ে তুলুন নির্ভুল শব্দচয়ন ।
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছদ সাধারণ হলেও চিন্তাধারা
মনোগ্রাহী ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন