আপনারা যা বলছেন
"আটপৌরে কবিতা" প্রসঙ্গে
বন্দিশ ঘোষ
"বেদ/উপনিষদ/পুরাণ
)জ্ঞান(
যাকে ছাড়া জয় নেই।"
বিশিষ্ট কবি নীলাঞ্জন কুমার এমনই এক পংক্তি দিয়ে শুরু করেন তাঁর আটপৌরে কবিতার পথচলা যার সৃষ্টিকর্তা কবি সৌমিত্র রায়।
তিন লাইনে মোট শব্দসংখ্যা ৮। প্রথম লাইনে ৩ টি। দ্বিতীয় লাইনে ১ টি। আর তৃতীয় লাইনে ৪ টি। ' আটপৌরে কবিতা ' র এই গঠন নিয়ে নানাভাবে নানান দর্শন পাঠকদের মনে সঞ্চারিত করার নেশায় মেতে উঠেছেন কবি নীলাঞ্জন কুমার। কবির নিজস্ব একমুখী কোনো ভাবনা আমার চোখে পড়েনি। ওনার লেখায় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক দিকগুলোও যেমন বর্তমান ঠিক তেমনই প্রেম, ব্যাঙ্গ, রসিকতা, শহর, প্রতিবাদ এসব নিয়েও কাটাছেঁড়া করেছেন অত্যন্ত সংযতভাবে।
অহেতুক পান্ডিত্য দেখাবার সুযোগ পেলেও তা কবি দেখাননি। বরং ইতিহাস থেকে শুরু করে এখনও অবধি আমাদের সংসারের খুঁটিনাটি সমস্তকিছুকে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগিয়ে নেমেছেন ময়দানে অথবা বলতে পারি এই সমস্তকিছুকে সঙ্গী করে পথ চলছেন কবিতার পথে, শিল্পের পথে, সাহিত্যের পথে যার ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে পরিমিতিবোধ যা পাঠকদের স্পর্শ করতে বাধ্য করবে।
"বর্গক্ষেত্র/আয়তক্ষেত্র/কৌণিক
)গণিত(
সারাঘর জুড়ে প্রতিদিন।"
অথবা
পিশাচ/ডাইন/প্রেম
)অপদেবতা(
সব আমাদের ভেতরে আছে
এমন সব লেখা পড়তে হয়ত খুব সহজ সরল বলে মনে হয় কিন্তু ব্যাপারটা ভাবতে গিয়ে যখন মনে হয় আরেকটু ভাবি, যখন কবিতার দর্শনটা পাঠকদের মনে হাজারটা চেতনার পথ বের করে দেয় তখন মনে হয় লেখনীটা সহজ হলেও লিখতে পারাটা ততটাই কঠিন। আর তখনই কবি জিতে যায় আর পাঠকেরা নিজেদেরই মননে উজ্জাপন করে কবির সেই জয়।
কবির লেখা ৮০% পংক্তি পড়ে বোঝা যায় উনি ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন, উনি নতুন যুগের কথা ভাবছেন, পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের কথা ভাবছেন। আর সেই জন্যেই হয়ত তিনি তাঁর দর্শনকে গভীর থেকে গভীরে নিয়ে গিয়ে বিশাল এক অনন্ত খোলা আকাশ তুলে ধরতে চাইছেন এবং সেখানে বিচরণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন সবাইকে। তাঁর আটপৌরে কবিতার প্রকৃত মূল্যায়ণ করতে হোঁচট খেতে হয়েছে বারবার।
শেষে এটুকুই বলবো কবি এভাবেই লিখতে থাকুন। 'সনেট' বললে যেমন প্রথমে আমাদের মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা মনে পড়ে যায় ঠিক তেমনই আটপৌরে কবিতা বললে কবি নীলাঞ্জন কুমারের নামটা প্রথমে মাথায় আসতে হয়তো আর বেশিদিন বাকি নেই। তবে ভালোরও তো ভালো হয়, তাই সেই ভালোরও ভালো, আরো ভালো, তার থেকেও ভালো লেখার পড়ার খিদে থেকে যাবে সারাজীবন।
"আটপৌরে কবিতা" প্রসঙ্গে
বন্দিশ ঘোষ
"বেদ/উপনিষদ/পুরাণ
)জ্ঞান(
যাকে ছাড়া জয় নেই।"
বিশিষ্ট কবি নীলাঞ্জন কুমার এমনই এক পংক্তি দিয়ে শুরু করেন তাঁর আটপৌরে কবিতার পথচলা যার সৃষ্টিকর্তা কবি সৌমিত্র রায়।
তিন লাইনে মোট শব্দসংখ্যা ৮। প্রথম লাইনে ৩ টি। দ্বিতীয় লাইনে ১ টি। আর তৃতীয় লাইনে ৪ টি। ' আটপৌরে কবিতা ' র এই গঠন নিয়ে নানাভাবে নানান দর্শন পাঠকদের মনে সঞ্চারিত করার নেশায় মেতে উঠেছেন কবি নীলাঞ্জন কুমার। কবির নিজস্ব একমুখী কোনো ভাবনা আমার চোখে পড়েনি। ওনার লেখায় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক দিকগুলোও যেমন বর্তমান ঠিক তেমনই প্রেম, ব্যাঙ্গ, রসিকতা, শহর, প্রতিবাদ এসব নিয়েও কাটাছেঁড়া করেছেন অত্যন্ত সংযতভাবে।
অহেতুক পান্ডিত্য দেখাবার সুযোগ পেলেও তা কবি দেখাননি। বরং ইতিহাস থেকে শুরু করে এখনও অবধি আমাদের সংসারের খুঁটিনাটি সমস্তকিছুকে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগিয়ে নেমেছেন ময়দানে অথবা বলতে পারি এই সমস্তকিছুকে সঙ্গী করে পথ চলছেন কবিতার পথে, শিল্পের পথে, সাহিত্যের পথে যার ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে পরিমিতিবোধ যা পাঠকদের স্পর্শ করতে বাধ্য করবে।
"বর্গক্ষেত্র/আয়তক্ষেত্র/কৌণিক
)গণিত(
সারাঘর জুড়ে প্রতিদিন।"
অথবা
পিশাচ/ডাইন/প্রেম
)অপদেবতা(
সব আমাদের ভেতরে আছে
এমন সব লেখা পড়তে হয়ত খুব সহজ সরল বলে মনে হয় কিন্তু ব্যাপারটা ভাবতে গিয়ে যখন মনে হয় আরেকটু ভাবি, যখন কবিতার দর্শনটা পাঠকদের মনে হাজারটা চেতনার পথ বের করে দেয় তখন মনে হয় লেখনীটা সহজ হলেও লিখতে পারাটা ততটাই কঠিন। আর তখনই কবি জিতে যায় আর পাঠকেরা নিজেদেরই মননে উজ্জাপন করে কবির সেই জয়।
কবির লেখা ৮০% পংক্তি পড়ে বোঝা যায় উনি ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন, উনি নতুন যুগের কথা ভাবছেন, পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের কথা ভাবছেন। আর সেই জন্যেই হয়ত তিনি তাঁর দর্শনকে গভীর থেকে গভীরে নিয়ে গিয়ে বিশাল এক অনন্ত খোলা আকাশ তুলে ধরতে চাইছেন এবং সেখানে বিচরণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন সবাইকে। তাঁর আটপৌরে কবিতার প্রকৃত মূল্যায়ণ করতে হোঁচট খেতে হয়েছে বারবার।
শেষে এটুকুই বলবো কবি এভাবেই লিখতে থাকুন। 'সনেট' বললে যেমন প্রথমে আমাদের মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা মনে পড়ে যায় ঠিক তেমনই আটপৌরে কবিতা বললে কবি নীলাঞ্জন কুমারের নামটা প্রথমে মাথায় আসতে হয়তো আর বেশিদিন বাকি নেই। তবে ভালোরও তো ভালো হয়, তাই সেই ভালোরও ভালো, আরো ভালো, তার থেকেও ভালো লেখার পড়ার খিদে থেকে যাবে সারাজীবন।
অসাধারণ।।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনValo laglo
উত্তরমুছুনDhonnobaad Dada...
মুছুন