কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
ভাষা ভালোবাসার যাপন । অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় । প্রকাশ ভবন । পঞ্চাশ টাকা ।
একটা কবিতার বই যখন একবার পড়ার পর আর একবার পড়ার ইচ্ছে চেপে বসে, তখন সেই কাব্যগ্রন্থের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে না । কবি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কাব্যগ্রন্থ ' ভাষা ভালোবাসার যাপন ' -এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি ঘটে : ' চরের বালিতে উটের মুখ গুঁজে/ আমরা আবার বাঁধব ঘর ' ( ' ঘরের টান ' ) ,
' আউট সিগন্যালে ঘুমন্ত ট্রেন আমায় ডাকে/ সীমা থেকে সীমান্তরত পরিধি পথ চেয়ে থাকে ' ( ' আগুনের বর্ণমালা ') , ' তোমার জীবনানন্দ শেখায় ইউনিভার্সিটি চত্বরে/ জেনেসিস জীবন, আত্মপ্রতিষ্ঠার স্নানসঙ্গ '
( 'জেনেসিস ') পংক্তিগুলির কল্যাণে ।
কবি অভিজিৎ- এর কবিতায় ছুঁয়ে আছে সেই মায়াঞ্জন যাকে এড়িয়ে চলা যায় না । তাঁর সামগ্রিক কবিতা পিছু পিছু ধাওয়া করে সংবহিত করার চেষ্টা করে । অভিজিৎ- এর সুখ দুঃখ জীবন পরিক্রমা তার কবিতায় ধরা থাকে যাকে অস্বীকার করা সম্ভব নয় ।
অভিজিৎ- এর কবিতায় দেখা স্বচ্ছন্দ হলেও, তার ভেতরে ঢুকে আছে কাব্যিক রহস্যময়তা, যাকে খুঁজে বের করতে হয় কবিমন দিয়ে । ঠিক সে কারণে 'জীবনানন্দ ' কবিতায় পাই: ' ওপর থেকে ওপারের মানুষকে শুনতে হয় সেই উলটো ঝালা/ 'আমার ঘোড়া আমাকে প্যাঁচা ফেরত দিতে পারে ' ? কিংবা সামাজিক অবস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে: ' বুকটা ছ্যাঁৎ করলো স্কুলের বন্ধ গেটে তালা নিথর/ কলকারখানার মতো এবার কি এখানেও আমাদের হেরে যাওয়া '। এসব পংক্তি পড়ে একটাই শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে আসে- ' ওয়াও '! সর্বানী মুখোপাধ্যায়ের লেড পেন্সিলে আঁকা প্রচ্ছদ স্বাদু নয় । প্রচ্ছদের সাদা অংশ বড় ন্যাড়া ন্যাড়া লাগে ।
ভাষা ভালোবাসার যাপন । অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় । প্রকাশ ভবন । পঞ্চাশ টাকা ।
একটা কবিতার বই যখন একবার পড়ার পর আর একবার পড়ার ইচ্ছে চেপে বসে, তখন সেই কাব্যগ্রন্থের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে না । কবি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কাব্যগ্রন্থ ' ভাষা ভালোবাসার যাপন ' -এর ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি ঘটে : ' চরের বালিতে উটের মুখ গুঁজে/ আমরা আবার বাঁধব ঘর ' ( ' ঘরের টান ' ) ,
' আউট সিগন্যালে ঘুমন্ত ট্রেন আমায় ডাকে/ সীমা থেকে সীমান্তরত পরিধি পথ চেয়ে থাকে ' ( ' আগুনের বর্ণমালা ') , ' তোমার জীবনানন্দ শেখায় ইউনিভার্সিটি চত্বরে/ জেনেসিস জীবন, আত্মপ্রতিষ্ঠার স্নানসঙ্গ '
( 'জেনেসিস ') পংক্তিগুলির কল্যাণে ।
কবি অভিজিৎ- এর কবিতায় ছুঁয়ে আছে সেই মায়াঞ্জন যাকে এড়িয়ে চলা যায় না । তাঁর সামগ্রিক কবিতা পিছু পিছু ধাওয়া করে সংবহিত করার চেষ্টা করে । অভিজিৎ- এর সুখ দুঃখ জীবন পরিক্রমা তার কবিতায় ধরা থাকে যাকে অস্বীকার করা সম্ভব নয় ।
অভিজিৎ- এর কবিতায় দেখা স্বচ্ছন্দ হলেও, তার ভেতরে ঢুকে আছে কাব্যিক রহস্যময়তা, যাকে খুঁজে বের করতে হয় কবিমন দিয়ে । ঠিক সে কারণে 'জীবনানন্দ ' কবিতায় পাই: ' ওপর থেকে ওপারের মানুষকে শুনতে হয় সেই উলটো ঝালা/ 'আমার ঘোড়া আমাকে প্যাঁচা ফেরত দিতে পারে ' ? কিংবা সামাজিক অবস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে: ' বুকটা ছ্যাঁৎ করলো স্কুলের বন্ধ গেটে তালা নিথর/ কলকারখানার মতো এবার কি এখানেও আমাদের হেরে যাওয়া '। এসব পংক্তি পড়ে একটাই শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে আসে- ' ওয়াও '! সর্বানী মুখোপাধ্যায়ের লেড পেন্সিলে আঁকা প্রচ্ছদ স্বাদু নয় । প্রচ্ছদের সাদা অংশ বড় ন্যাড়া ন্যাড়া লাগে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন