পূরবী~ ১৫
অভিজিৎ চৌধুরী
শূন্য হাতে ফিরি হে নাথ, পথে পথে।
আপন মনে অনেকদিন পর গাইছিল তীর্থ।হচ্ছে না,লীনা বলল।
যদুভট্ট বালকদের কানাড়া রাগ শেখাতে চেয়েছিলেন।কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কখনও গণ্ডিতে নিজেকে বাঁধতে চাননি।
প্রমথ চোধুরী এসেছেন অনেকদিন পর।সঙ্গে ইন্দিরা।রবীন্দ্রনাথ বললেন,ওস্তাদ সেরারা বলেন,আমার গান কবির গান,তাতে সুরের বৈচিত্র্য নেই।তোমরা কি বলো!
গান যে তাঁর কতো প্রিয় ইন্দিরা জানেন।বললেন,স্বরলিপি সংরক্ষণও তো হচ্ছে।থাকবে তোমার গান।
আজ যেন তাঁর সংশয় কাটছে না।এখনও বিদ্বজনের সভায় তাঁর গান অপাংক্তেয়।ব্রাহ্ম মন্দিরে তিনি গ্রহণীয়।কতো কথা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ও বলে গেলেন।ক্ষমা কি তিনি করতে পেরেছেন!
না,না,না।এ যেন তিন সত্যির মতোন বুকে বাজে।
রবীন্দ্রনাথ বললেন,স্বরলিপি দিনুর সৃষ্টি।আমি তো বলিনি স্বরলিপি মেনে গাইতে।আমি বললুম,আমার ধন তোমায় দিলুম,অনাদর করো না।
প্রমথ বললেন,সজনীকান্তবাবুকে আপনার কিছু বলা দরকার।
আমার ভাবনা ওতে ক্লিষ্ট হবে।ব্যথা আমারি বাড়বে।
আসলে যদুভট্ট মস্তো গায়ক ছিলেন।কালোয়াতি কিছু মন দিয়ে যদি নিতুম,ওস্তাদেরা এমন অনাদর করতে না।
ইন্দিরা বললেন, তোমার কি কোন সংশয় হচ্চে!
যৌবনে তো আপনি গান গাইতে আসতেন।আমি গেচিলাম দেখতে।
হাসলেন রবীন্দ্রনাথ। বললেন,সে রহস্য আমি জানি।শ্রবণসুখের চেেয়েও আমার সহচরীটি তোমায় টেনেছিল অধিক।
প্রমথ এবার প্রসঙ্গান্তরে গেলেন।বললেন,জগদানন্দবাবু সত্যি একজন জিনিয়াস।
প্রমথের মুখ রাঙা হয়েে উঠল।
রবীন্দ্রনাথ বললেন,অংকের মানুষ।আমার তো মনে হয় অংকের সঙ্গেও কল্পনার যোগ করে নতুন কোন শাস্ত্র এলে মন্দ হয় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন