সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৮৪.
শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা দুর্গাপুরের শৈশব আছে। এই ইনফরমেশন দিয়ে একটি গদ্য লেখা শুরু হলে একে একে উপস্থিত হবে ডিএসপি এএসপি কোকোভান ফিলিপসকার্বন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি কিন্তু শুভাশিসের প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের সাতকাহন শোনাবো না। আমি সরাসরি পৌঁছে যাব শুভাশিসের কবিতায়।
কিছুটা ঢেকে রেখে বাকিটা বলব , সে প্রকল্পনাও সমাপ্ত। এখন থেকে সোজা কথা সোজাই বলব। যেকজন কবি অন্তঃকরণ থেকে আধুনিক কবিতাকে বিদায় জানিয়েছিলেন , শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় তাদের মধ্যে একজন প্রধান কবি।
আমি আজকের এই লেখাটিতে কেবলমাত্র মিথ হয়ে শুভাশিস-কবিতা তুলে ধরছি।
মিথ -১
আমি সুন্দরের থেকে সবুজ একটি পাতা ধার করলাম। আমি অসুন্দরের থেকেও সবুজ একটি পাতা ধার করলাম।
মিথ- ২
কতখানি রাস্তা পার হলে এক একটি জলপ্রপাতের
ভিত গড়ে উঠতে দেখা যায় সে বিষয়ে অধুনাবিলুপ্ত
মায়াসভ্যতার একটি মিথের সন্ধান পাওয়া যায়।
মিথ - ৩
একটা কাচবিহীন লণ্ঠন আর একটা কাচবিহীন আয়নার মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠলে
মিথ - ৪
দোলপূর্ণিমার কাছাকাছি চাঁদে যে জড়ুলচিহ্ন ফুটে ওঠে তা থেকে রক্তক্ষরণ হলে সমস্ত বাতাবিলেবুর বন এক হলুদ গন্ধে ভরে যায়।
মিথ - ৫
একটা অরণ্যপ্রিয় উটপাখিকে প্রায়শই আজকাল দেখতে পাচ্ছি আমার লেখার টেবিলে জলের গেলাসে বা শার্টের হাতায় যে উটপাখিটির মাথায় একটি স্বয়ংক্রিয় বোতাম ও আলো সবসময়ই ঝুঁটির মতো শোভা পায়
মিথ -৬
দুটি স্থবির প্রান্তের মধ্যে যদি একটি অস্থির সেতু গর্জে ওঠে তবে তাকে শ্রাবণের জলে ধুয়ে দেওয়াই ভালো।
মিথ - ৭
গতরাতে যে ঘুমটি নিজের খেয়ালেই জানলার পাশে এসে বসেছিল তার হাতে ছিল একটি সূক্ষ্ম তারযন্ত্র , আঙুলে মেরজাপ।
মিথ - ৮
যে স্থিরমতি করুণ বালিকাটির নাম হতে পারে কনকাঞ্জলি / তার সোনালি এবং বাদামিতে খোদাই করা পোশাকটার সাথে একটা/ লালটুপি মানাইসই।
মিথ - ৯
পাথরের জন্মটা ভুলে ছিলাম বলে আত্মমগ্নই রয়ে গেলাম।
মিথ - ১০
দরজার ওপাশে যে বসন্ত আসে তার কিংখাবে অপেক্ষা আর / উষ্ণীষে আগমনচিহ্ন।
আমি এই দশটি কবিতার অংশকে আগেই ঘোষণা করে দিয়েছি , এগুলিও বাংলাকবিতার মিথ।
আজকাল খুব তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে গেছে। এক একজন দিক্ গজ এক একটা ঘোষণা করে দিচ্ছে এক একটি রচনা যুগান্তকারী। কিন্তু হিসেব নিলে দেখা যাবে সে যেটিকে উপস্থিত করল সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের চল্লিশ বছরের পরিশ্রম যুক্ত আছে। গত দশ বা কুড়ি বছরে যেসব লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার মূল্যায়ন করবে পরবর্তী প্রজন্ম। তখন এইসব ভবিষ্যৎদ্রষ্টাদরের কোনো চিহ্নই থাকবে না।
আমি কবি শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার পোস্ট দেওয়া শুরু করলাম আজ থেকে। দেখুন কী হয়।
প্রভাত চৌধুরী
৮৪.
শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা দুর্গাপুরের শৈশব আছে। এই ইনফরমেশন দিয়ে একটি গদ্য লেখা শুরু হলে একে একে উপস্থিত হবে ডিএসপি এএসপি কোকোভান ফিলিপসকার্বন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি কিন্তু শুভাশিসের প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের সাতকাহন শোনাবো না। আমি সরাসরি পৌঁছে যাব শুভাশিসের কবিতায়।
কিছুটা ঢেকে রেখে বাকিটা বলব , সে প্রকল্পনাও সমাপ্ত। এখন থেকে সোজা কথা সোজাই বলব। যেকজন কবি অন্তঃকরণ থেকে আধুনিক কবিতাকে বিদায় জানিয়েছিলেন , শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় তাদের মধ্যে একজন প্রধান কবি।
আমি আজকের এই লেখাটিতে কেবলমাত্র মিথ হয়ে শুভাশিস-কবিতা তুলে ধরছি।
মিথ -১
আমি সুন্দরের থেকে সবুজ একটি পাতা ধার করলাম। আমি অসুন্দরের থেকেও সবুজ একটি পাতা ধার করলাম।
মিথ- ২
কতখানি রাস্তা পার হলে এক একটি জলপ্রপাতের
ভিত গড়ে উঠতে দেখা যায় সে বিষয়ে অধুনাবিলুপ্ত
মায়াসভ্যতার একটি মিথের সন্ধান পাওয়া যায়।
মিথ - ৩
একটা কাচবিহীন লণ্ঠন আর একটা কাচবিহীন আয়নার মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠলে
মিথ - ৪
দোলপূর্ণিমার কাছাকাছি চাঁদে যে জড়ুলচিহ্ন ফুটে ওঠে তা থেকে রক্তক্ষরণ হলে সমস্ত বাতাবিলেবুর বন এক হলুদ গন্ধে ভরে যায়।
মিথ - ৫
একটা অরণ্যপ্রিয় উটপাখিকে প্রায়শই আজকাল দেখতে পাচ্ছি আমার লেখার টেবিলে জলের গেলাসে বা শার্টের হাতায় যে উটপাখিটির মাথায় একটি স্বয়ংক্রিয় বোতাম ও আলো সবসময়ই ঝুঁটির মতো শোভা পায়
মিথ -৬
দুটি স্থবির প্রান্তের মধ্যে যদি একটি অস্থির সেতু গর্জে ওঠে তবে তাকে শ্রাবণের জলে ধুয়ে দেওয়াই ভালো।
মিথ - ৭
গতরাতে যে ঘুমটি নিজের খেয়ালেই জানলার পাশে এসে বসেছিল তার হাতে ছিল একটি সূক্ষ্ম তারযন্ত্র , আঙুলে মেরজাপ।
মিথ - ৮
যে স্থিরমতি করুণ বালিকাটির নাম হতে পারে কনকাঞ্জলি / তার সোনালি এবং বাদামিতে খোদাই করা পোশাকটার সাথে একটা/ লালটুপি মানাইসই।
মিথ - ৯
পাথরের জন্মটা ভুলে ছিলাম বলে আত্মমগ্নই রয়ে গেলাম।
মিথ - ১০
দরজার ওপাশে যে বসন্ত আসে তার কিংখাবে অপেক্ষা আর / উষ্ণীষে আগমনচিহ্ন।
আমি এই দশটি কবিতার অংশকে আগেই ঘোষণা করে দিয়েছি , এগুলিও বাংলাকবিতার মিথ।
আজকাল খুব তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে গেছে। এক একজন দিক্ গজ এক একটা ঘোষণা করে দিচ্ছে এক একটি রচনা যুগান্তকারী। কিন্তু হিসেব নিলে দেখা যাবে সে যেটিকে উপস্থিত করল সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের চল্লিশ বছরের পরিশ্রম যুক্ত আছে। গত দশ বা কুড়ি বছরে যেসব লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার মূল্যায়ন করবে পরবর্তী প্রজন্ম। তখন এইসব ভবিষ্যৎদ্রষ্টাদরের কোনো চিহ্নই থাকবে না।
আমি কবি শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার পোস্ট দেওয়া শুরু করলাম আজ থেকে। দেখুন কী হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন