কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
জারুলের নীচে সন্ধ্যা । উমা বন্দ্যোপাধ্যায় । লেখার কালি । একশো টাকা ।
কিছু কিছু নারী কবির লেখা কবিতা সার্বিকভাবে মেয়েলিপনায় ভরা রয়ে যায় । যেখানে পাই ঘর গেরস্থালি , কিছু থরথর কম্পনভরা শারীরিক দিক, প্রকৃতি চর্চা ইত্যাদি সাধারণ জীবনের ছাপ । তার বাইরে যারা যেতে পারেন তাঁরা থাকেন নারী পুরুষ ভেদাভেদের উর্দ্ধে । কবি উমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা পড়ে আফশোস তিনি সেই উর্দ্ধে যেতে পারেন নি । তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ' জারুলের নীচে সন্ধ্যা ' সেই অর্থে একটি মেয়েলি কাব্যগ্রন্থ যার ভেতরে বোধচর্চার অংশ দুঃখজনক ভাবে কম।
কবির কবিতা পড়লে বোঝা যায় তাঁর প্রকৃতির দিকে ঝোঁক অনেক বেশি , যেমন: ' নিজস্ব কাচের চোখ চারিদিকে/ বহুদূরে যেন মেঘ/ ভিজে ভিজে চলে যায় আমার পথিক ' ( ' ফেলে আসা '), 'খোলা মুখে সজনে গাছের ছায়া/ শুধুই ছায়া রোদ্দুর নেই / উঠোনে ডাঁই শুকনো পাতা/ একলা পেঁপে গাছ/ কোথায় তোমার ঘরের সুজন ।' (ও রেণুদি) তেমন ছাপ রেখে যেতে পারে না , অথচ সম্ভাবনা ছিল । স্রেফ কবিতা লিখতে হবে তাই লেখা হওয়ার জন্য ব্যন্জ্ঞনা দ্যোতনা ফুটে ওঠে না ।
কবির ভেতরে আক্ষেপ, না পাওয়ার যন্ত্রণা কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে, যা স্পর্শ করে না । আসলে কবিতা লেখার জন্য কবিতা লিখে লাভ নেই, সাধনার প্রয়োজন । অপরূপ উকিলের প্রচ্ছদ রূপের দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য নয় ।
জারুলের নীচে সন্ধ্যা । উমা বন্দ্যোপাধ্যায় । লেখার কালি । একশো টাকা ।
কিছু কিছু নারী কবির লেখা কবিতা সার্বিকভাবে মেয়েলিপনায় ভরা রয়ে যায় । যেখানে পাই ঘর গেরস্থালি , কিছু থরথর কম্পনভরা শারীরিক দিক, প্রকৃতি চর্চা ইত্যাদি সাধারণ জীবনের ছাপ । তার বাইরে যারা যেতে পারেন তাঁরা থাকেন নারী পুরুষ ভেদাভেদের উর্দ্ধে । কবি উমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা পড়ে আফশোস তিনি সেই উর্দ্ধে যেতে পারেন নি । তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ' জারুলের নীচে সন্ধ্যা ' সেই অর্থে একটি মেয়েলি কাব্যগ্রন্থ যার ভেতরে বোধচর্চার অংশ দুঃখজনক ভাবে কম।
কবির কবিতা পড়লে বোঝা যায় তাঁর প্রকৃতির দিকে ঝোঁক অনেক বেশি , যেমন: ' নিজস্ব কাচের চোখ চারিদিকে/ বহুদূরে যেন মেঘ/ ভিজে ভিজে চলে যায় আমার পথিক ' ( ' ফেলে আসা '), 'খোলা মুখে সজনে গাছের ছায়া/ শুধুই ছায়া রোদ্দুর নেই / উঠোনে ডাঁই শুকনো পাতা/ একলা পেঁপে গাছ/ কোথায় তোমার ঘরের সুজন ।' (ও রেণুদি) তেমন ছাপ রেখে যেতে পারে না , অথচ সম্ভাবনা ছিল । স্রেফ কবিতা লিখতে হবে তাই লেখা হওয়ার জন্য ব্যন্জ্ঞনা দ্যোতনা ফুটে ওঠে না ।
কবির ভেতরে আক্ষেপ, না পাওয়ার যন্ত্রণা কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে, যা স্পর্শ করে না । আসলে কবিতা লেখার জন্য কবিতা লিখে লাভ নেই, সাধনার প্রয়োজন । অপরূপ উকিলের প্রচ্ছদ রূপের দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য নয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন