সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৫৯ .
২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ যে রবিবার ছিল , এটা জানার জন্য ক্যালেন্ডারের কোনো সাহায্য গ্রহণ করলাম না। দেখে নিলাম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ প্রকাশিত হয়েছিল কবিতাপাক্ষিক ১০৭ সংখ্যাটি। আমরা জানতাম কবিতাপাক্ষিক ক্যালেন্ডারের শনিবারেই প্রকাশিত হয়। এই তথ্যটি আমরা ছাড়াও আরো কয়েকজন যে জানতেন না , এমনটা মনে হয় না আমার। আমার যাত্রাপথকে যাঁরা অনুসরণ করতেন , তাঁরা সকলেই জানতেন।
২৭ শনিবার হলে ২৮ রবিবার হবেই।
ওইদিন কবিতা পাঠের আসর বসেছিল ' অমরাবতী '-তে।বানিয়ে বলছি না । লেক রোডের এই বাড়িটি কবিতাপাক্ষিক-এর বন্ধু শর্মিলা বসুঠাকুর-এর বাড়ি।ওইদিন কবিতা পড়েছিলেন : আলোক সরকার এবং অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত।
শুরুতেই টেপরেকর্ডারে বাজানো হয়েছিল কবি জগদিন্দ্র মণ্ডলের সুচারু কণ্ঠের রবীন্দ্রগান।
প্রারম্ভিক কথা বলেছিল নাসের হোসেন।
সঞ্চালনায় সুজিত সরকার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন : শঙ্খ ঘোষ ট্রুডবার্টা দাশগুপ্ত দীপংকর দাশগুপ্ত অজয় দাশগুপ্ত জগদিন্দ্র মণ্ডল প্রভাত চৌধুরী সমীর রায়চৌধুরী মলয় রায়চৌধুরী সুধীর দত্ত দীপ সাউ কুমুদবন্ধু নাথ সৈয়দ কওসর জামাল কামাল হোসেন গৌতম বহ্মর্ষি গোপাল আচার্য কানাইলাল জানা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
সমাপ্তিভাষণ তথা ধন্যবাদজ্ঞাপন : রবীন্দু বিশ্বাস।
ঠিক এর পরের মাসেই ছিল আমাদের শারদসম্মেলন।আমরা পুজোর পর মিলিত হতাম প্রতিবছর। একে বিজয়াসম্মেলন বলিনি কখনো এটাই আমাদের হেরিটেজ।
শারদ সম্মেলন হয়েছিল আলিপুর হেস্টিংস পার্ক রোডে ড: সুবোধ রায়-এর বাড়ি। গোপনে জানিয়ে রাখি , অতীতে এই বাড়িতেই ক-দিন ব্রিটিশ রাজবংশের কেউ কেউ বসবাস করেছিলেন। সেটা হতেই পারে।
সূচনায় ছিল জগদিন্দ্র মণ্ডলের রবীন্দ্রগান।মূলত ছিল আড্ডা। এবং মেলামেশা এরই ফাঁকে ফাঁকে গান শুনিয়েছিল : রশ্মি বন্দ্যোপাধ্যায় রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় যশোধরা রায়চৌধুরী পিয়ালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ড: নীলাদ্রি বিশ্বাস গান এবং আবৃত্তি দুটিই শোনান । রজতেন্দ্র-র গানের কিছুক্ষণ হাততালি দিয়ে নেচেছিলাম আমি ।
সঞ্চালক ছিলেন রবীন্দু বিশ্বাস।
শেষের দিকে গানে গানে গলা মিলিয়েছিল : রশ্মি স্বপ্না রজতেন্দ্র যশোধরা পিয়ালী বুবলি অশোক তৃপ্তি সীমা যূথিকা ও অন্যান্যরা।উপস্থিত ছিলেন : আলোক সরকার সমীর রায়চৌধুরী মঞ্জুষ দাশগুপ্ত ভূমেন্দ্র গুহ কবিরুল ইসলাম অজয় দাশগুপ্ত সৈয়দ কওসর জামাল কামাল হোসেন নাসের হোসেন জহর সেনমজুমদার রফিক উল ইসলাম শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় অনিন্দ্য রায় গৌরব চৌধুরী ঋদ্ধিমান এবং সুবোধ রায় , তাঁর জননী এবং ভগিনী।
আমাদের পারিবারিক ক্যাটারার কেষ্ট ঠাকুরের তৈরি ফ্রায়েড রাইস এবং মটন।
পাশাপাশি জমজমাট ককটেলও ছিল। তাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন কেবলমাত্র রসিকজনই।
আগামীকাল ভিন্ন রস। ভিন্ন ভিয়েন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন