কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
সার্কাস জীবন । দেবাশিস সাহা । আকাশ । চল্লিশ টাকা ।
জীবনানন্দের চিত্ররূপময়তার প্রভাব এখনো যে কতখানি ও তাকে আরো কিভাবে বিকশিত করা যায়, তার নিরন্তর চেষ্টার ভেতরে আছেন কবি দেবাশিস সাহা । তাঁর প্রকাশিত প্রায় সব বই পড়ে ফেলার পর এই মনে হয় যে তিনি গভীর গভীরতর অসুখের সন্ধানে ব্যস্ত । সে কারণে অতি তুচ্ছ বিষয়ও কবিতার গুণে কিভাবে সজীব হয়ে যায় , যেমন : ' কাউকে না বলে সদর দরোজা খোলা পেয়ে/ জুতো না খুলেই ঘরে এলো মৃত্যু'
( 'চিহ্ন '), ' ধানেরা গর্ভবতী হলে/ ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে/ আলো আলো আলো '। ( 'ধান ') , ' হে লোনা বাতাস/ আমাকে আত্মীয় করো/ অমেরুদণ্ডী আদরে জড়িয়ে নেব তোমাকে ' ( ' লোনা বাতাস ') - এর মতো পংক্তি সেই অসুখের খোঁজে পাঠককে ছুটিয়ে মারে ।
দেবাশিসের ' সার্কাস জীবন ' কাব্যগ্রন্থে কবিতার প্রকৃত স্বাদ মানবিকতা । তিনি তাকে স্পর্শ করে এগোন পেছোন আর পর্যবেক্ষণ করেন তার স্বরূপ । সে কারণে : ' আততায়ী আলপিন / কখন যে কার হাতে এসে যায় ' ( 'আত্মা '), ' গাছেরাও এগিয়ে দেয় স্তন/ হত্যাকারীর দিকে ' ( ' পাহারাদার ' ) ,
' রাতকুড়ানী মেয়ে/ রঙিন হবে বলে/ গন্ধ করেছে চুরি ' ( ' তাঁবু কথা ') -র মতো পংক্তির সামনে দাঁড়িয়ে এক বুক শ্বাস নিতে ইচ্ছে হয় ।
দেবাশিসের ভেতরের সত্ত্বা খোঁজে কবিতা । তিনি তাকে খুঁজুন , পেয়ে যান, বিলিয়ে দিন এই চাই । সমীরণ ঘোষের প্রচ্ছদে আছে সেই মানবতার টান যার ভাঙচুর চলে আর চলে ।
সার্কাস জীবন । দেবাশিস সাহা । আকাশ । চল্লিশ টাকা ।
জীবনানন্দের চিত্ররূপময়তার প্রভাব এখনো যে কতখানি ও তাকে আরো কিভাবে বিকশিত করা যায়, তার নিরন্তর চেষ্টার ভেতরে আছেন কবি দেবাশিস সাহা । তাঁর প্রকাশিত প্রায় সব বই পড়ে ফেলার পর এই মনে হয় যে তিনি গভীর গভীরতর অসুখের সন্ধানে ব্যস্ত । সে কারণে অতি তুচ্ছ বিষয়ও কবিতার গুণে কিভাবে সজীব হয়ে যায় , যেমন : ' কাউকে না বলে সদর দরোজা খোলা পেয়ে/ জুতো না খুলেই ঘরে এলো মৃত্যু'
( 'চিহ্ন '), ' ধানেরা গর্ভবতী হলে/ ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে/ আলো আলো আলো '। ( 'ধান ') , ' হে লোনা বাতাস/ আমাকে আত্মীয় করো/ অমেরুদণ্ডী আদরে জড়িয়ে নেব তোমাকে ' ( ' লোনা বাতাস ') - এর মতো পংক্তি সেই অসুখের খোঁজে পাঠককে ছুটিয়ে মারে ।
দেবাশিসের ' সার্কাস জীবন ' কাব্যগ্রন্থে কবিতার প্রকৃত স্বাদ মানবিকতা । তিনি তাকে স্পর্শ করে এগোন পেছোন আর পর্যবেক্ষণ করেন তার স্বরূপ । সে কারণে : ' আততায়ী আলপিন / কখন যে কার হাতে এসে যায় ' ( 'আত্মা '), ' গাছেরাও এগিয়ে দেয় স্তন/ হত্যাকারীর দিকে ' ( ' পাহারাদার ' ) ,
' রাতকুড়ানী মেয়ে/ রঙিন হবে বলে/ গন্ধ করেছে চুরি ' ( ' তাঁবু কথা ') -র মতো পংক্তির সামনে দাঁড়িয়ে এক বুক শ্বাস নিতে ইচ্ছে হয় ।
দেবাশিসের ভেতরের সত্ত্বা খোঁজে কবিতা । তিনি তাকে খুঁজুন , পেয়ে যান, বিলিয়ে দিন এই চাই । সমীরণ ঘোষের প্রচ্ছদে আছে সেই মানবতার টান যার ভাঙচুর চলে আর চলে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন