অমলতাশ
অভিজিৎ চৌধুরী
হলদে রং- র ফুলের গুচ্ছ হাতে দিয়ে মেয়েটি বলল,জানো তুমি এই ফুলের নাম!
সচরাচর আমি পারি না।ও হেসে গড়িয়ে পড়ে।নয়ন তারা কৃষ্ণচূড়ো জুঁই গোলাপ জবা বাদে শক্ত শক্ত ফুলগুলি আমি চিনিনা।পরিচয় হয়নি এখনও ঘেঁটু ফুলের সঙ্গে।
সে বলল, কি করে জানলে!
ওকে অবাক করে দিয়ে বললাম,এর নাম অমলতাশ।
আমার এক প্রিয় বন্ধু এরকম অমলতাশ রংএর জামা গায়ে দিয়েছিল একদিন।
কি নাম!
আমি বললাম,পার্থসখা।
মন উড়ে গেল জন্মদিনে।আজ পার্থের জন্মদিন। শ্রাবণ আসেনি এখনও।অনুংকরদের বাড়ি ছিল- ন পাড়া।আর পার্থদের একটু আগের মোড়।মাটির রাস্তায় মোরাম দেওয়া।
একটা পাঠাগার ছিল।বহু বই ওখানে আমি পড়েছি।মনে পড়ে,এরিক মারিয়া রেমার্ক।
এছাড়াও টিউশন পড়াতে যেতাম।পার্থ দিয়েছিল।
সে বলল,বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়!
আমি বললাম,হবে একদিন।একটা স্টেশনে সেখানে অমলতাশের গাছ ঝুঁকে পড়ে জলে।
ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল হাওড়া শহরে।ও তখন জেলার অফিসার।আর আমি তো ভাল ছেলে নই,ফলে ভূমি বিভাগে কখনও কখনও ওর গাড়িতে তুলে নিতো।
ছোট মেয়ে তো বিশ্বাস করল।
সে বলল,বন্ধু জানে তুমি যে কিছু জানো না।
বললাম,বিলক্ষণ।সেখুব ভাল ছেলে ছিল।টপটপ সব পড়া বলে দিত।
আমি বললাম,আচ্ছা।
এবার সে খুশি হল।বলল,তোমাকে আমি পড়াব।
আর যখন তোমার পার্থসখার কাছে যাবে,বলো কিন্তু আমার কথা।
আমি বললাম,অমলতাশের কথা কি ভোলা যায়!
এটা বোধহয় বুঝলো না।চুপ করে রইল।
অভিজিৎ চৌধুরী
হলদে রং- র ফুলের গুচ্ছ হাতে দিয়ে মেয়েটি বলল,জানো তুমি এই ফুলের নাম!
সচরাচর আমি পারি না।ও হেসে গড়িয়ে পড়ে।নয়ন তারা কৃষ্ণচূড়ো জুঁই গোলাপ জবা বাদে শক্ত শক্ত ফুলগুলি আমি চিনিনা।পরিচয় হয়নি এখনও ঘেঁটু ফুলের সঙ্গে।
সে বলল, কি করে জানলে!
ওকে অবাক করে দিয়ে বললাম,এর নাম অমলতাশ।
আমার এক প্রিয় বন্ধু এরকম অমলতাশ রংএর জামা গায়ে দিয়েছিল একদিন।
কি নাম!
আমি বললাম,পার্থসখা।
মন উড়ে গেল জন্মদিনে।আজ পার্থের জন্মদিন। শ্রাবণ আসেনি এখনও।অনুংকরদের বাড়ি ছিল- ন পাড়া।আর পার্থদের একটু আগের মোড়।মাটির রাস্তায় মোরাম দেওয়া।
একটা পাঠাগার ছিল।বহু বই ওখানে আমি পড়েছি।মনে পড়ে,এরিক মারিয়া রেমার্ক।
এছাড়াও টিউশন পড়াতে যেতাম।পার্থ দিয়েছিল।
সে বলল,বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়!
আমি বললাম,হবে একদিন।একটা স্টেশনে সেখানে অমলতাশের গাছ ঝুঁকে পড়ে জলে।
ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল হাওড়া শহরে।ও তখন জেলার অফিসার।আর আমি তো ভাল ছেলে নই,ফলে ভূমি বিভাগে কখনও কখনও ওর গাড়িতে তুলে নিতো।
ছোট মেয়ে তো বিশ্বাস করল।
সে বলল,বন্ধু জানে তুমি যে কিছু জানো না।
বললাম,বিলক্ষণ।সেখুব ভাল ছেলে ছিল।টপটপ সব পড়া বলে দিত।
আমি বললাম,আচ্ছা।
এবার সে খুশি হল।বলল,তোমাকে আমি পড়াব।
আর যখন তোমার পার্থসখার কাছে যাবে,বলো কিন্তু আমার কথা।
আমি বললাম,অমলতাশের কথা কি ভোলা যায়!
এটা বোধহয় বুঝলো না।চুপ করে রইল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন