সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৭৪.
শুভশ্রী রায় , এই নামটি কখনোই গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় ধরা হয় না। অর্থাৎ আমি নিজেও কখনো শুভশ্রী-র কবিতা নিয়ে আলাদা করে কোনো নিবন্ধে স্থান দিয়েছি। কিন্তু একটা কথা আমি এখনো ভুলে যাইনি , কবিতাপাক্ষিক ১১- ১২ সংখ্যায় শুভশ্রীর প্রথম প্রকাশিত কবিতাটির নাম : অ্যালবার্ট পিন্টো ও শুভশ্রী । আর এই কবিতা পড়ার পর মৃদুল দাশগুপ্ত শুভশ্রী ঠিকানা জানতে চেয়েছিল। তাহলে তো ওই কবিতাটির কয়েক লাইন উদ্ধার করে নিয়ে আসি। একে উজ্জ্বল উদ্ধার বলবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। আমার কাজ কবিতাপাক্ষিক বাংলাকবিতাকে কতটা আপডেট করেছে সেটা প্রমাণ করা। স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আধুনিকতা থেকে কবিতাকে কতটা বদলে দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন শুভশ্রী-র অ্যালবার্ট পিন্টো-র সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
কপা ১১-১২ , পৃষ্ঠা ১১। এবার পড়া যাক কবিতাটি :
' অ্যালবার্ট পিন্টোর সবসময়েই খুব রাগ হয়
কেননা তার আশেপাশে কোনোকিছুই ঠিকঠাক নেই
অন্তত যেমন হওয়া উচিত '
এডাবে শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল :
' কারণ শুভশ্রী পিন্টোকে খুশী দেখতেই ভালোবাসে '।
কপা ১৭ তে শুভশ্রীর কবিতাটির নাম ' অমঙ্গল নেই '।
কপা ৩২ তেও একটি কবিতা । ' অভিমান '।
' বুকে পাথর নিয়ে আমি চুপ করে আছি / সেই কবে থেকে। '
কপা ৩৯ -এও একটি কবিতা। তার একমাত্র অর্থ যদি হয় শুভশ্রী-কে কবিতাপাক্ষিক ঠিক মতো গুরুত্ব দেয়নি প্রথম দিকে।কেন মনে নেই। তবে আমার বিশ্বাস শুভশ্রী সেসময় খুব বেশি কবিতা লিখতো না।
অথচ একটা কথা এখনো বলা হয়নি , ওর বাবা আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে। সেই সুবাদে চেষ্টা করলে শুভশ্রী অন্য সকলের মতো গুচ্ছ কবিতা লেখার সুযোগ পেতে পারত।
কপা ৭৯ র- এ শুভশ্রীর দুটি কবিতা । কৈশোর এবং মাথার ওপর। কবিতাদুটি এখন আবার পড়লাম।
' প্রতিটি দিন , প্রতিটি ভালোলাগা , তার মৃত্যু / আবার নতুন ভালোলাগা/ লেখা আছে গাঢ় নীল ডাইরিতে '।
কবিতাটির নাম কৈশোর। পরের কবিতা : মাথার ওপর।
' প্রেমে শূন্য পেয়ে ফিরে আসছে যে যুবক / তার মাথার ওপর চাঁদ ।'
শুভশ্রী আপাদমস্তক প্রেমের কবি। আর তা প্রমাণ করার দায়িত্ব তো আমাকেই নিতে হবে।
এবার কপা ৯৩ সংখ্যায় প্রকাশিত কবিতাটির কয়েক লাইন পড়া যাক :
মনে হল , / এই বুঝি তুমি রাত্রির উঠোন পার হয়ে যাচ্ছ / স্নানঘরে কিংবা হেঁসেলে / ঘাড়ে গলায় লেগে আছে অন্ধকারের কুচি / স্তনের দুপাশ ঘিরে মালার মতো পৃথিবীর আদিমতম অন্ধকার , /তোমার চুল থেকে ঝড়ে ঝরে পড়ছে রাতে দেখা স্বপ্নের গুঁড়ো। '
প্রেম চিরন্তন । চিরকাল প্রেমের কবিতা লেখা হবে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন থেকে যে ধারা চলে আসছে , তাকে দাবিয়ে রাখতে যাবো কেন। চলতে থাকুক।
প্রভাত চৌধুরী
৭৪.
শুভশ্রী রায় , এই নামটি কখনোই গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় ধরা হয় না। অর্থাৎ আমি নিজেও কখনো শুভশ্রী-র কবিতা নিয়ে আলাদা করে কোনো নিবন্ধে স্থান দিয়েছি। কিন্তু একটা কথা আমি এখনো ভুলে যাইনি , কবিতাপাক্ষিক ১১- ১২ সংখ্যায় শুভশ্রীর প্রথম প্রকাশিত কবিতাটির নাম : অ্যালবার্ট পিন্টো ও শুভশ্রী । আর এই কবিতা পড়ার পর মৃদুল দাশগুপ্ত শুভশ্রী ঠিকানা জানতে চেয়েছিল। তাহলে তো ওই কবিতাটির কয়েক লাইন উদ্ধার করে নিয়ে আসি। একে উজ্জ্বল উদ্ধার বলবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। আমার কাজ কবিতাপাক্ষিক বাংলাকবিতাকে কতটা আপডেট করেছে সেটা প্রমাণ করা। স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আধুনিকতা থেকে কবিতাকে কতটা বদলে দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন শুভশ্রী-র অ্যালবার্ট পিন্টো-র সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
কপা ১১-১২ , পৃষ্ঠা ১১। এবার পড়া যাক কবিতাটি :
' অ্যালবার্ট পিন্টোর সবসময়েই খুব রাগ হয়
কেননা তার আশেপাশে কোনোকিছুই ঠিকঠাক নেই
অন্তত যেমন হওয়া উচিত '
এডাবে শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল :
' কারণ শুভশ্রী পিন্টোকে খুশী দেখতেই ভালোবাসে '।
কপা ১৭ তে শুভশ্রীর কবিতাটির নাম ' অমঙ্গল নেই '।
কপা ৩২ তেও একটি কবিতা । ' অভিমান '।
' বুকে পাথর নিয়ে আমি চুপ করে আছি / সেই কবে থেকে। '
কপা ৩৯ -এও একটি কবিতা। তার একমাত্র অর্থ যদি হয় শুভশ্রী-কে কবিতাপাক্ষিক ঠিক মতো গুরুত্ব দেয়নি প্রথম দিকে।কেন মনে নেই। তবে আমার বিশ্বাস শুভশ্রী সেসময় খুব বেশি কবিতা লিখতো না।
অথচ একটা কথা এখনো বলা হয়নি , ওর বাবা আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে। সেই সুবাদে চেষ্টা করলে শুভশ্রী অন্য সকলের মতো গুচ্ছ কবিতা লেখার সুযোগ পেতে পারত।
কপা ৭৯ র- এ শুভশ্রীর দুটি কবিতা । কৈশোর এবং মাথার ওপর। কবিতাদুটি এখন আবার পড়লাম।
' প্রতিটি দিন , প্রতিটি ভালোলাগা , তার মৃত্যু / আবার নতুন ভালোলাগা/ লেখা আছে গাঢ় নীল ডাইরিতে '।
কবিতাটির নাম কৈশোর। পরের কবিতা : মাথার ওপর।
' প্রেমে শূন্য পেয়ে ফিরে আসছে যে যুবক / তার মাথার ওপর চাঁদ ।'
শুভশ্রী আপাদমস্তক প্রেমের কবি। আর তা প্রমাণ করার দায়িত্ব তো আমাকেই নিতে হবে।
এবার কপা ৯৩ সংখ্যায় প্রকাশিত কবিতাটির কয়েক লাইন পড়া যাক :
মনে হল , / এই বুঝি তুমি রাত্রির উঠোন পার হয়ে যাচ্ছ / স্নানঘরে কিংবা হেঁসেলে / ঘাড়ে গলায় লেগে আছে অন্ধকারের কুচি / স্তনের দুপাশ ঘিরে মালার মতো পৃথিবীর আদিমতম অন্ধকার , /তোমার চুল থেকে ঝড়ে ঝরে পড়ছে রাতে দেখা স্বপ্নের গুঁড়ো। '
প্রেম চিরন্তন । চিরকাল প্রেমের কবিতা লেখা হবে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন থেকে যে ধারা চলে আসছে , তাকে দাবিয়ে রাখতে যাবো কেন। চলতে থাকুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন