কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
বাতিঘর অনেক দূর । রথীন কর । কৃষ্ণসীস প্রকাশন । আশি টাকা ।
যখন কোন কবির কবিতা পড়তে পড়তে একটা জায়গায় এসে কবিকে আটকে যেতে দেখি, অথচ বেরিয়ে আসার কোন আগ্রহ কবির দেখা যায় না , তখন পাঠক হিসেবে দুঃখ হয় । এই অবস্থা ঘটেছে রথীন করের ' বাতিঘর অনেক দূর ' পড়তে গিয়ে । কবিতায় না আছে সঠিক শব্দচয়ন, না আকর্ষণ করার ক্ষেত্র । এসব কবিতা কোনোভাবে স্বতস্ফূর্ত ভাবে আসেনি । জোর করে তিনি কলম ব্যবহার করেছেন ও ইলাস্ট্রিকের মতো টেনে টেনে বাড়িয়েছেন । সে কারণে দাগ কাটেনা তাঁর এসব পংক্তি: ' ডানকুনি ' রেল ইয়ার্ডে ' মালগাড়ির 'শান্টিং ' / শেষ লোকালে শুয়ে সারি সারি দেহলতা/ রেকগুলি অবসন্ন দীর্ঘশ্বাসে / চলে যায় কারশেডে ( ' হিমরাত '') , ' দ্যাখো এক বিষাদ পুরুষ হেঁটে যায়/ দ্যাখো এক শিল্প শরীর হেঁটে যায়/ তার নিজস্ব চেতন সত্ত্বায় ।' ( ' আঘাত ')।
কবিতা পড়ে মনে হয় কবি প্রকৃতার্থে শুরু করেছেন অনেক পরে । অনেক পরে শুরু করা কবিরা শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র অভ্যাস বজায় রাখেন, কিন্তু পাঠক কে কাব্যিক অনুভূতি দিতে পারেন না ।
ইদানিং বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় এই কবির কবিতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে । ভালো ব্যাপার । কিন্তু সে সব পড়ে মনে হয় তিনি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে
অবসর নিয়ে স্রেফ সখ মেটাচ্ছেন । কবিতা সাধনার , সখের নয় । শ্যামল জানার প্রচ্ছদ তাঁর মান বজায় রেখেছে ।
বাতিঘর অনেক দূর । রথীন কর । কৃষ্ণসীস প্রকাশন । আশি টাকা ।
যখন কোন কবির কবিতা পড়তে পড়তে একটা জায়গায় এসে কবিকে আটকে যেতে দেখি, অথচ বেরিয়ে আসার কোন আগ্রহ কবির দেখা যায় না , তখন পাঠক হিসেবে দুঃখ হয় । এই অবস্থা ঘটেছে রথীন করের ' বাতিঘর অনেক দূর ' পড়তে গিয়ে । কবিতায় না আছে সঠিক শব্দচয়ন, না আকর্ষণ করার ক্ষেত্র । এসব কবিতা কোনোভাবে স্বতস্ফূর্ত ভাবে আসেনি । জোর করে তিনি কলম ব্যবহার করেছেন ও ইলাস্ট্রিকের মতো টেনে টেনে বাড়িয়েছেন । সে কারণে দাগ কাটেনা তাঁর এসব পংক্তি: ' ডানকুনি ' রেল ইয়ার্ডে ' মালগাড়ির 'শান্টিং ' / শেষ লোকালে শুয়ে সারি সারি দেহলতা/ রেকগুলি অবসন্ন দীর্ঘশ্বাসে / চলে যায় কারশেডে ( ' হিমরাত '') , ' দ্যাখো এক বিষাদ পুরুষ হেঁটে যায়/ দ্যাখো এক শিল্প শরীর হেঁটে যায়/ তার নিজস্ব চেতন সত্ত্বায় ।' ( ' আঘাত ')।
কবিতা পড়ে মনে হয় কবি প্রকৃতার্থে শুরু করেছেন অনেক পরে । অনেক পরে শুরু করা কবিরা শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র অভ্যাস বজায় রাখেন, কিন্তু পাঠক কে কাব্যিক অনুভূতি দিতে পারেন না ।
ইদানিং বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় এই কবির কবিতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে । ভালো ব্যাপার । কিন্তু সে সব পড়ে মনে হয় তিনি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে
অবসর নিয়ে স্রেফ সখ মেটাচ্ছেন । কবিতা সাধনার , সখের নয় । শ্যামল জানার প্রচ্ছদ তাঁর মান বজায় রেখেছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন