বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০

হাঁ || দেবাশীষ সরখেল || অণুগল্প

হাঁ
দেবাশীষ সরখেল


বিজ্ঞাপনে ছিল পাত্রী শিক্ষিতা, গ্র্যাজুয়েট, বয়স ৩৮, অসবর্ণ ও বিপত্নীক চলিবে।
 প্রিয়ব্রত একবার মাত্র ফোনে যোগাযোগ করেই কাঁঠাল বাগানে হাজির, শীতের বেলা, প্রায় ১০:৩০ টা। পাত্রী তখন সবে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ কচ্ছেন।
পাত্রীর বাবা ঘোষাল বাবুর বয়স হোয়েছে। বয়স প্রায় সত্তর। রসগোল্লা, মাংস, লুচি ঠেসে খাওয়ালেন। প্রিয়ব্রত বয়সের প্রসঙ্গ তুললো। ফোনে সে ৪৫ বলেছিল বটে, আসলে ৪৮।
ঘোষাল বাবু পাত্তাই দিলেন না। - আরে ছাড়ুন তো মশাই। আপনাকে দেখে চল্লিশের বেশী মনে হয় না।
হয়তো প্রিয়ব্রতকে খুশী করার জন্যই কথাটা বল্লেন।
আচমকা পাত্রী এসে হাজির। সে গড়গড়িয়ে বলে চলল।
- বসতে বললেও আমি বসবো না। দাঁড়িয়ে থাকলে আপনারা সহজে আপনার পুরো বডি সার্চ করে নিতে পারবেন। আমি কিন্তু নির্মেদ, হাড়-হাড়। বয়ফ্রেন্ড জোটাতে পারিনি তো, তাই জেল্লা নেই। এখন সারাদিন শুয়ে থাকি। বিয়ের জল শরীরে ধরে গেলে রান্না বান্না সব করব। এনিথিং মোর, আর সুধোবেন কিছু।
সঙ্গী টেনিদা জিব কাটে। আরে না না। আপনি তো সব বলে দিলেন। একদম আপডেট ইনফর্মেশন। আর কি?
ঘোষাল বাবু আর একদম কথা বাড়ালেন না। বল্লেন, দেখলেন তো সব। চলুন আপনাদের এগিয়ে দিয়ে আসি। আসলে বিয়ে দেওয়ার জন্য আদৌ বিজ্ঞাপন দিই না। পাত্রের আসার খবর শুনলে ও কটা দিন চনমনে থাকে। ডিপ্রেসন কমে যায় তাই আর কি।
প্রিয়ব্রত এবং টেনিদা হাঁ হয়ে গেলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...