পূরবী~ ১৬
অভিজিৎ চৌধুরী
রথীন্দ্রনাথ পিতৃস্মৃতিতে বলেছিলেন,তাঁর বাবামশাইয়ের কথা তিনিই ভাস্বর করতে পারবেন যাঁর জীবন- সৃজন একই রকমের।না হলে সম্ভব নয়।নানা লেখাই সে খুঁজে বেরিয়েছে।তারপর নিজের দিনলিপিতে একটু রবিরশ্মি রাতে হোক দিনে হোক বুলিয়ে নিচ্ছে।কেজো দিন দিন স্বার্থপর মুখগুলি তীর্থ কে বড় বিষণ্ণ করে।গোরুর শিং এর মতোন তেড়ে আসে যেমন দিনেশ দাসের রাম গেছে বনবাসে কবিতার বইটিতে রয়েছে।একবার রবীন্দ্রনাথ তরুণ কবিদের কোন কাব্য সংকলন সম্পাদনা করেছিলেন,সেখানে দিনেশ দাসের কবিতাও ছিল।ছাপার ভুলে যা দাঁড়িয়েছিল,তা দেখে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন- কলকাতায় ভূমিকম্প হল কবে!
তার যে দিনলিপি স্কুল জীবনের বন্ধু কখনও কখনও দেখে।কিভাবে তীর্থ জানেনা।সে বলছিল,এলোমেলো চলায় এর শেষ কোথায়! সুন্দর বলেছে।শেষ ভেবে এগিয়ে যাওয়া কি সম্ভব! সে কি নিজে জানে,তার শেষ কোথায়! কোন মরণসাগরে সে তলিয়ে যাবে,হারিয়ে যাবে জীবনের অনন্ত বুদবুদে।
মীনাও পড়ে দিনলিপি।আশ্চর্য লাগে,মনে হয় বেশ তো! এই তো ভালো লেগেছিল।জয়ন্তী অনিয়মিতভাবে দেখে।তবে সেও কাজের বিরামে কলকাতা শহরে কাক ডাকলে,হয়তো দেখে।
সৌমিত্র কবিতা লেখে তথ্য প্রযুক্তির।আবার সে পূরবীর প্রধান ধারক।প্রাচ্য আর প্রতীচ্য কোথাও মিশে যায়।যাঁরা পণ্ডিত তাঁরা দিনলিপি লেখেন না।মানে কি এর!
গানের কথা,সুর ভুলে যান বলে উদ্বিগ্ন রবীন্দ্রনাথ ডাক দেন,দিনু!
দিনু চলে যাওয়ার পর গানও গেল, এলো ছবি।সে বড্ডো বিমূর্ত। প্যারিস সাদরে নিল সেই ছবি।রবীন্দ্রনাথ জানেন,সাগরপারে একজনের বেশ আনন্দ হচ্ছে।
মহাকাল দেখেন বোধহয় এসব ছেলেখেলা।মুচকি হাসছেন।রবীন্দ্রনাথ নিজেকে সাহস দিচ্ছেন,মরণরে তুহুঁ মম শ্যাম সমান।সাহস পেলেন কি! অন্তত নিজের বেলায়!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন