রুদ্র কিংশুক
আমার তিন পূর্বজন্মের তুমি
১.
ইসোল্ট গন
আপেলগাছ, বীরভূমের লালমাটি
অসম্ভব রসায়ন,
পাতার সবুজে কোন সিগন্যাল নেই
মাথার ওপর দিয়ে বালিহাঁস,
হংসধ্বনি রাগে সঞ্জীব অভয়ংকর
স্মৃতিশিকড় আটকে আছে এখনও
গ্যালওয়ে, হর্সফেয়ার, কুলপার্ক,
অটোগ্রাফ গাছে এঁকে দিচ্ছি অক্ষরচিহ্ন
অ্যালজোলাম বর্ষণে ঘুম আসে
স্বপ্ন ও সরবিট্রেটে জেগে উঠি
ইসোল্ট গন, কিশোরী রোদ
আমাকে টানে জন্মান্তরের দিকে
২.
সোফিয়া
বলকান পাহাড়ের গায়ে আমাদের বাড়ি
তুমি বুলগানি মেয়ে, দূরবর্তী ঝরনা থেকে
আমাকে এনে দিতে জল,
জলপাইফল মুখে তোমার স্মিত হাসি
লোককথার দৈত্যের হাত, আমার কৌমার্যভাঙ্গা গান
তোমাকে আমি ডাকতাম সোফিয়া
আমাকে কি নামে ডাকতে তুমি
কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না
তোমার দুটি বিদ্যুৎলতা
অমৃতফল, দাঁতের অক্ষরমালা
চিহ্ন ধরে ধরে পূর্বজন্মের পাহাড়ে
মেষপালক, আমার কি বাঁশি ছিল,
ময়ূরপাখা, সম্মোহনী গান?
মনে পড়ছে না, মনে পড়ছে না কিছুতেই
ইনসোমনিয়াক মেমরি, তীব্র ঘুর্নী,
গুরজোয়ানির জলে ইসকানদীর গন্ধ
পূর্বজন্ম থেকে তোমাকে কীভাবে ফেরাব, বল?
৩.
ইভতুংকা
সেবার তাতার দস্যুরা আমাকে ধরে নিয়ে গেল হাতেপায়ে শেকল, পড়ে থাকলাম অন্ধকারে
জামার পকেটে ছিল তোমার জন্যে পুতুল
তিন জন্ম পার হল
এখনো তারা আমার কাছেই আছে
নেবে? ঠিক পুতুল নেই
তাদের রং আর গন্ধ আছে
আমি স্মৃতিপথ ধরে ধরে আবার ফিরব পাহাড়ে, পাথরে
আমার ভেড়ার ছানা কোলে তুমি দাঁড়াবে দূরে
তোমার মাথার মোরগঝুঁটি জড়িয়ে দেবে তাদের গলায়
পাথর কেটে কেটে আমি গড়ে তুলবো তোমাকে
ইভতুংকা, পাথরে কীভাবে ফোটবো অস্ফুট শালুকদুটি!
পুতুল দেবার সময় তোমাকে কি ছোঁয়া যাবে?
শম্পাগর্ভ মেঘ !
স্লিপওয়াকার আমি,
আমার চেতনা বৃত্ত ভেঙে ঢুকে যায় জন্মান্তরে
আমার তিন পূর্বজন্মের তুমি
১.
ইসোল্ট গন
আপেলগাছ, বীরভূমের লালমাটি
অসম্ভব রসায়ন,
পাতার সবুজে কোন সিগন্যাল নেই
মাথার ওপর দিয়ে বালিহাঁস,
হংসধ্বনি রাগে সঞ্জীব অভয়ংকর
স্মৃতিশিকড় আটকে আছে এখনও
গ্যালওয়ে, হর্সফেয়ার, কুলপার্ক,
অটোগ্রাফ গাছে এঁকে দিচ্ছি অক্ষরচিহ্ন
অ্যালজোলাম বর্ষণে ঘুম আসে
স্বপ্ন ও সরবিট্রেটে জেগে উঠি
ইসোল্ট গন, কিশোরী রোদ
আমাকে টানে জন্মান্তরের দিকে
২.
সোফিয়া
বলকান পাহাড়ের গায়ে আমাদের বাড়ি
তুমি বুলগানি মেয়ে, দূরবর্তী ঝরনা থেকে
আমাকে এনে দিতে জল,
জলপাইফল মুখে তোমার স্মিত হাসি
লোককথার দৈত্যের হাত, আমার কৌমার্যভাঙ্গা গান
তোমাকে আমি ডাকতাম সোফিয়া
আমাকে কি নামে ডাকতে তুমি
কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না
তোমার দুটি বিদ্যুৎলতা
অমৃতফল, দাঁতের অক্ষরমালা
চিহ্ন ধরে ধরে পূর্বজন্মের পাহাড়ে
মেষপালক, আমার কি বাঁশি ছিল,
ময়ূরপাখা, সম্মোহনী গান?
মনে পড়ছে না, মনে পড়ছে না কিছুতেই
ইনসোমনিয়াক মেমরি, তীব্র ঘুর্নী,
গুরজোয়ানির জলে ইসকানদীর গন্ধ
পূর্বজন্ম থেকে তোমাকে কীভাবে ফেরাব, বল?
৩.
ইভতুংকা
সেবার তাতার দস্যুরা আমাকে ধরে নিয়ে গেল হাতেপায়ে শেকল, পড়ে থাকলাম অন্ধকারে
জামার পকেটে ছিল তোমার জন্যে পুতুল
তিন জন্ম পার হল
এখনো তারা আমার কাছেই আছে
নেবে? ঠিক পুতুল নেই
তাদের রং আর গন্ধ আছে
আমি স্মৃতিপথ ধরে ধরে আবার ফিরব পাহাড়ে, পাথরে
আমার ভেড়ার ছানা কোলে তুমি দাঁড়াবে দূরে
তোমার মাথার মোরগঝুঁটি জড়িয়ে দেবে তাদের গলায়
পাথর কেটে কেটে আমি গড়ে তুলবো তোমাকে
ইভতুংকা, পাথরে কীভাবে ফোটবো অস্ফুট শালুকদুটি!
পুতুল দেবার সময় তোমাকে কি ছোঁয়া যাবে?
শম্পাগর্ভ মেঘ !
স্লিপওয়াকার আমি,
আমার চেতনা বৃত্ত ভেঙে ঢুকে যায় জন্মান্তরে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন