কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
পেসমেকার সিরিজ এবং অন্যান্য । নিখিলকুমার সরকার । রবিপ্রকাশ । ষাট টাকা ।
' রাত জাগা অন্তর্বাসে মিশে যাচ্ছে বিছানা- চা । / চানঘরে আয়না । ঘুম চোখ । দ্রুত পোশাক পাল্টাচ্ছে ।' - র মতো কবিতার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবতে শুরু করতে হয় , কবিতার রূপরেখা কিভাবে বদলে যাচ্ছে আমাদের চোখের সামনে । কবি নিখিলকুমার সরকার মুর্শিদাবাদের এক প্রান্তিক এলাকায় বসবাস করে নিজেকে যেভাবে পাল্টাচ্ছেন আমাদের চিরাচরিত জীবনানন্দীয় ডিকসন সমৃদ্ধ কবিদের তা দেখে অবাক হতেই হবে । তথ্য প্রযুক্তি যুগে এসেও কাটা কাটা শব্দের ভেতর দিয়ে কবিতা করে তোলা কতখানি কঠিন যা এই কবি অত্যন্ত সহজেই করে দেখিয়েছেন । তাই ভালো লাগে: ' হ্যান্ডসেটের কি প্যাডে তোমাকে খুঁজছি ' , ' আমি । আমরা ।পেসমেকার ও আমি । দু-জনে মিলে এক । / এখন জনারণ্যে মিশে যাচ্ছি । ' - র মতো নতুন ধারার পংক্তিগুলি ।
প্রতিদিনের নিরবচ্ছিন্ন কাজকর্মের ভেতর থেকে কবি খুঁজে নিয়েছেন তাঁর কবিতার উচ্চারণ, সে কারণে তাঁর কবিতা ভীষণভাবে আটপৌরে বোধ হয় । যেমন: ' এখন পরীক্ষা হচ্ছে । মিলনপূর্ব রক্তচাপ । হ্ঋৎপিন্ডের গতিপ্রকৃতি .../ আর ক্রমাগত পাল্টে যাচ্ছে আমার অপেক্ষার রং । ' এই বর্ণনার পর তিনি উপসংহারে পোঁছেছেন এই লাইনের ভেতর দিয়ে : ' পেসমেকার কি টের পাচ্ছে আমার এই কষ্ট? আনন্দ গান? ' তখন কবির কবিতাযাপন স্পষ্ট হয়ে ওঠে ।
কবি নিখিলকুমার সরকারের মতো বর্ষিয়াণ কবির কাছে এই কবিতা পাওয়া যে কতখানি আনন্দের
তা বোঝানো সম্ভব নয় । তিনি তথ্য প্রযুক্তি ধারার মধ্যে না থেকেও তার প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। কৌশিক গুড়িয়ার প্রচ্ছদ ইঙ্গিতবাহী অথচ স্পষ্ট ।
পেসমেকার সিরিজ এবং অন্যান্য । নিখিলকুমার সরকার । রবিপ্রকাশ । ষাট টাকা ।
' রাত জাগা অন্তর্বাসে মিশে যাচ্ছে বিছানা- চা । / চানঘরে আয়না । ঘুম চোখ । দ্রুত পোশাক পাল্টাচ্ছে ।' - র মতো কবিতার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবতে শুরু করতে হয় , কবিতার রূপরেখা কিভাবে বদলে যাচ্ছে আমাদের চোখের সামনে । কবি নিখিলকুমার সরকার মুর্শিদাবাদের এক প্রান্তিক এলাকায় বসবাস করে নিজেকে যেভাবে পাল্টাচ্ছেন আমাদের চিরাচরিত জীবনানন্দীয় ডিকসন সমৃদ্ধ কবিদের তা দেখে অবাক হতেই হবে । তথ্য প্রযুক্তি যুগে এসেও কাটা কাটা শব্দের ভেতর দিয়ে কবিতা করে তোলা কতখানি কঠিন যা এই কবি অত্যন্ত সহজেই করে দেখিয়েছেন । তাই ভালো লাগে: ' হ্যান্ডসেটের কি প্যাডে তোমাকে খুঁজছি ' , ' আমি । আমরা ।পেসমেকার ও আমি । দু-জনে মিলে এক । / এখন জনারণ্যে মিশে যাচ্ছি । ' - র মতো নতুন ধারার পংক্তিগুলি ।
প্রতিদিনের নিরবচ্ছিন্ন কাজকর্মের ভেতর থেকে কবি খুঁজে নিয়েছেন তাঁর কবিতার উচ্চারণ, সে কারণে তাঁর কবিতা ভীষণভাবে আটপৌরে বোধ হয় । যেমন: ' এখন পরীক্ষা হচ্ছে । মিলনপূর্ব রক্তচাপ । হ্ঋৎপিন্ডের গতিপ্রকৃতি .../ আর ক্রমাগত পাল্টে যাচ্ছে আমার অপেক্ষার রং । ' এই বর্ণনার পর তিনি উপসংহারে পোঁছেছেন এই লাইনের ভেতর দিয়ে : ' পেসমেকার কি টের পাচ্ছে আমার এই কষ্ট? আনন্দ গান? ' তখন কবির কবিতাযাপন স্পষ্ট হয়ে ওঠে ।
কবি নিখিলকুমার সরকারের মতো বর্ষিয়াণ কবির কাছে এই কবিতা পাওয়া যে কতখানি আনন্দের
তা বোঝানো সম্ভব নয় । তিনি তথ্য প্রযুক্তি ধারার মধ্যে না থেকেও তার প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। কৌশিক গুড়িয়ার প্রচ্ছদ ইঙ্গিতবাহী অথচ স্পষ্ট ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন