কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
দিনকাল । অজয় নাগ । মাতৃমুখ । ত্রিশ টাকা ।
অজয় নাগ বেশ কিছু ছোট কবিতা লিখেছেন। যেগুলো তন্নিষ্ঠ হয়ে পড়লে বোঝা যায় তাঁর এই ছোট কবিতাগুলি কতখানি দামী হয়ে ওঠে পাঠকের কাছে । তাঁর এই ধরনের এক ফর্মার কাব্য পুস্তিকা ' দিনকাল '-তে তার অন্যথা হয়নি : ' প্রতিটি জন্ম আমায় মনে করায়/ আমি বন্দি /মৃত্যু এসে খুলে দেবে বাহির ? ' ,
' পুরানো গল্পেরা বাইরে চেয়ার সাজায় না/ হাঁটতে হাঁটতে দেখি - / সামনে পেছনে সাবধানের নোটিশ ' ,
' অপেক্ষায় শাদা ক্যানভাস/ বাইরে চলমান রঙরেখা ' ,
বৃষ্টির পাঠশালায় পৃথিবী আদিম ছাত্র ' -র মতো পংক্তি এর সত্যতা তুলে ধরে ।
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এক সময়ে ' ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ' নামে একটি ছোট কবিতার বই প্রকাশ করেছিলেন, তার ভেতরে দীর্ঘদিন মশগুল থাকার কারণে ছোট কবিতার যে রূপ পাই তা ফেলে দেবার নয় অজয় নাগ সেই রূপ কে এক টানটান অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন বলে তাকে পড়ে ফেলতে হয় দ্রুত ।
কবির আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক দুই তিন লাইনের কবিতা বারবার টানে, যেমন: ' বীজ বুনতে নুন জোগাড়ে/ মুখ ঘুরিয়ে সময়/ মানুষ বড় অসহায় ',
' শুধুমাত্র তোমার জন্যেই ন্যায় অন্যায়/ হে আমার অকরুণ প্রেম; ' আমার সূর্যের আলোয় তোমার আঁধার ক্ষয়ে যাক/ অবশেষে দেখি- আলো নয় অন্ধকার তোমায় রক্ষা করে । '
অজয় নাগের কবিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে হয় । যা তাঁর গঠন, যুক্তি , উচ্চারণ ,ব্যন্জ্ঞনা, দ্যোতনা মিলেমিশে অন্য স্রোত বয়ে নিয়ে যায় রক্তে । কবিকৃত প্রচ্ছদটি অন্য রকমের ।কবি চিত্রশিল্পী নন; তবু তাঁর পরিকল্পনার ভেতর দিয়ে কবিতার বই এর প্রচ্ছদ হিসেবে স্বাদু হয়ে ওঠে ।
দিনকাল । অজয় নাগ । মাতৃমুখ । ত্রিশ টাকা ।
অজয় নাগ বেশ কিছু ছোট কবিতা লিখেছেন। যেগুলো তন্নিষ্ঠ হয়ে পড়লে বোঝা যায় তাঁর এই ছোট কবিতাগুলি কতখানি দামী হয়ে ওঠে পাঠকের কাছে । তাঁর এই ধরনের এক ফর্মার কাব্য পুস্তিকা ' দিনকাল '-তে তার অন্যথা হয়নি : ' প্রতিটি জন্ম আমায় মনে করায়/ আমি বন্দি /মৃত্যু এসে খুলে দেবে বাহির ? ' ,
' পুরানো গল্পেরা বাইরে চেয়ার সাজায় না/ হাঁটতে হাঁটতে দেখি - / সামনে পেছনে সাবধানের নোটিশ ' ,
' অপেক্ষায় শাদা ক্যানভাস/ বাইরে চলমান রঙরেখা ' ,
বৃষ্টির পাঠশালায় পৃথিবী আদিম ছাত্র ' -র মতো পংক্তি এর সত্যতা তুলে ধরে ।
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এক সময়ে ' ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ' নামে একটি ছোট কবিতার বই প্রকাশ করেছিলেন, তার ভেতরে দীর্ঘদিন মশগুল থাকার কারণে ছোট কবিতার যে রূপ পাই তা ফেলে দেবার নয় অজয় নাগ সেই রূপ কে এক টানটান অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন বলে তাকে পড়ে ফেলতে হয় দ্রুত ।
কবির আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক দুই তিন লাইনের কবিতা বারবার টানে, যেমন: ' বীজ বুনতে নুন জোগাড়ে/ মুখ ঘুরিয়ে সময়/ মানুষ বড় অসহায় ',
' শুধুমাত্র তোমার জন্যেই ন্যায় অন্যায়/ হে আমার অকরুণ প্রেম; ' আমার সূর্যের আলোয় তোমার আঁধার ক্ষয়ে যাক/ অবশেষে দেখি- আলো নয় অন্ধকার তোমায় রক্ষা করে । '
অজয় নাগের কবিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে হয় । যা তাঁর গঠন, যুক্তি , উচ্চারণ ,ব্যন্জ্ঞনা, দ্যোতনা মিলেমিশে অন্য স্রোত বয়ে নিয়ে যায় রক্তে । কবিকৃত প্রচ্ছদটি অন্য রকমের ।কবি চিত্রশিল্পী নন; তবু তাঁর পরিকল্পনার ভেতর দিয়ে কবিতার বই এর প্রচ্ছদ হিসেবে স্বাদু হয়ে ওঠে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন