সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৩৩.
গত দু-তিন দিন শুধুমাত্র নামের তালিকা-ই পেশ করে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা যে নামাবলি নয় , তা বলাই বাহুল্য।নামাবলি হলে একটাই নাম বারবার ধ্বনিত হত। একই নামগানে মুখরিত হত চব্বিশ প্রহর তলা। আমি কখনোই সেই নামগানের মূলগায়েন হতে চাইনি। বাঘা বাইনও হতে চাইনি। প্রথম থেকেই বহুস্বর -এর পক্ষেই নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করেছিলাম।সুদৃঢ় করেছিলাম।
আমি চেয়েছিলাম ' কবিতার জন্য পরিচ্ছন্ন আর নিভৃত একটু স্থান '।এটাও আমার নিজের কথা নয়।এই লক্ষ্যটি মান্যবর কবি বুদ্ধদেব বসুর।
কবি বুদ্ধদেব-এর এই ইচ্ছাটিকে মান্যতা দিয়ে বলেছিলাম --- কবিতাচর্চার নিজ বাসভূমি কবিতাপাক্ষিক।
আমার এই চাওয়াটা কি খুব একটা অন্যায্য মনে হচ্ছে আপনার। আমি কি কোনো অন্যায় আবদার করেছিলাম !
না করিনি। সেদিনও করিনি। আজও করি না। যা আমার প্রাপ্য নয় , সেদিকে কোনোদিন হাত বাড়াইনি।আমি জানি আমার হাতের দৈর্ঘ্যের মাপ তথা পরিমাপ।
আমি বরং মনে করি অদ্যাবধি আমি যা যা পেয়েছি , তার মধ্যে অনেক কিছুই আমার অতিরিক্ত পাওয়া। আমার থেকে অনেক যোগ্য মানুষ আছেন , তাঁরা এজীবনে কিছুই পেলেন না। তাঁদের না-পাওয়াটা দেখতে পেলাম , জানতে পারলাম , বুঝতেও সক্ষম হলাম ; কিন্তু জেনেবুঝে চুপচাপ বসে রইলাম। এক মিলিমিটারও সরে বসলাম না , নিজের অবস্থান থেকে। আমি উদ্যোগ নিলে কিছুটা নাড়াচাড়া যে হত না , এমনটাও আমি মনে করি না। কিন্তু নীরবে সবটা মেনে নিয়েছি , এমনটাই কি আমার মনে হয় !
আমাকে যাঁরা ঘনিষ্টভাবে দেখেছেন , আমার সঙ্গে আত্মজনের মতো মিশেছেন , তাঁরা সকলেই জানেন --- আমি সাম্প্রদায়িক হতে পারি , কিন্তু আমি বন্ধুবৎসল। আমার এই সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে ধর্মের কোনো যোগসূত্র নেই। আমার সম্প্রদায় হল কবিতা-সম্প্রদায়। সেই হিসেবে তো কবিতা-ধর্মও এসে যাচ্ছে । অতএব আমি সাম্প্রদায়িক।
আমার বিশ্বাস আমার এই আমার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন , আমি তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছি।
কারণ একটা আছে নিশ্চয়ই। যাঁরা আমার মঙ্গল কামনা করেছেন , তাঁরা আমাকে অসহায় মনে করে সুপরামর্শগুলি দিতেন। কিন্তু তাঁরা জানতেন না আমি কখনোই অসহায় ছিলাম না। আমার সঙ্গে সবসময় থাকে আমার সংকল্প। আমার বিশ্বাস।
আমি নিজের কাছে অবিশ্বাসী হতে পারিনি কোনোদিন।পারবো না কোনোদিন।
আমি জানি আমার মঙ্গল -অমঙ্গলের ওপর কবিতার মঙ্গল-অমঙ্গল নির্ভরশীল নয়। আমি যে সাম্প্রদায়িক , একথাটা তো আগেই বলে রেখেছি।
অন্যকথা আগামীকাল।
প্রভাত চৌধুরী
৩৩.
গত দু-তিন দিন শুধুমাত্র নামের তালিকা-ই পেশ করে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা যে নামাবলি নয় , তা বলাই বাহুল্য।নামাবলি হলে একটাই নাম বারবার ধ্বনিত হত। একই নামগানে মুখরিত হত চব্বিশ প্রহর তলা। আমি কখনোই সেই নামগানের মূলগায়েন হতে চাইনি। বাঘা বাইনও হতে চাইনি। প্রথম থেকেই বহুস্বর -এর পক্ষেই নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করেছিলাম।সুদৃঢ় করেছিলাম।
আমি চেয়েছিলাম ' কবিতার জন্য পরিচ্ছন্ন আর নিভৃত একটু স্থান '।এটাও আমার নিজের কথা নয়।এই লক্ষ্যটি মান্যবর কবি বুদ্ধদেব বসুর।
কবি বুদ্ধদেব-এর এই ইচ্ছাটিকে মান্যতা দিয়ে বলেছিলাম --- কবিতাচর্চার নিজ বাসভূমি কবিতাপাক্ষিক।
আমার এই চাওয়াটা কি খুব একটা অন্যায্য মনে হচ্ছে আপনার। আমি কি কোনো অন্যায় আবদার করেছিলাম !
না করিনি। সেদিনও করিনি। আজও করি না। যা আমার প্রাপ্য নয় , সেদিকে কোনোদিন হাত বাড়াইনি।আমি জানি আমার হাতের দৈর্ঘ্যের মাপ তথা পরিমাপ।
আমি বরং মনে করি অদ্যাবধি আমি যা যা পেয়েছি , তার মধ্যে অনেক কিছুই আমার অতিরিক্ত পাওয়া। আমার থেকে অনেক যোগ্য মানুষ আছেন , তাঁরা এজীবনে কিছুই পেলেন না। তাঁদের না-পাওয়াটা দেখতে পেলাম , জানতে পারলাম , বুঝতেও সক্ষম হলাম ; কিন্তু জেনেবুঝে চুপচাপ বসে রইলাম। এক মিলিমিটারও সরে বসলাম না , নিজের অবস্থান থেকে। আমি উদ্যোগ নিলে কিছুটা নাড়াচাড়া যে হত না , এমনটাও আমি মনে করি না। কিন্তু নীরবে সবটা মেনে নিয়েছি , এমনটাই কি আমার মনে হয় !
আমাকে যাঁরা ঘনিষ্টভাবে দেখেছেন , আমার সঙ্গে আত্মজনের মতো মিশেছেন , তাঁরা সকলেই জানেন --- আমি সাম্প্রদায়িক হতে পারি , কিন্তু আমি বন্ধুবৎসল। আমার এই সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে ধর্মের কোনো যোগসূত্র নেই। আমার সম্প্রদায় হল কবিতা-সম্প্রদায়। সেই হিসেবে তো কবিতা-ধর্মও এসে যাচ্ছে । অতএব আমি সাম্প্রদায়িক।
আমার বিশ্বাস আমার এই আমার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন , আমি তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছি।
কারণ একটা আছে নিশ্চয়ই। যাঁরা আমার মঙ্গল কামনা করেছেন , তাঁরা আমাকে অসহায় মনে করে সুপরামর্শগুলি দিতেন। কিন্তু তাঁরা জানতেন না আমি কখনোই অসহায় ছিলাম না। আমার সঙ্গে সবসময় থাকে আমার সংকল্প। আমার বিশ্বাস।
আমি নিজের কাছে অবিশ্বাসী হতে পারিনি কোনোদিন।পারবো না কোনোদিন।
আমি জানি আমার মঙ্গল -অমঙ্গলের ওপর কবিতার মঙ্গল-অমঙ্গল নির্ভরশীল নয়। আমি যে সাম্প্রদায়িক , একথাটা তো আগেই বলে রেখেছি।
অন্যকথা আগামীকাল।
বেশ লাগছে প্রভাতদা।
উত্তরমুছুনবাহ
উত্তরমুছুন