কথোপকথনে, মৃত্যু ও আমি,
অমিতাভ দত্ত
ঘন অন্ধকারে নিমজ্জিত নিশিথে। আলোহীন বসে আছি মুখোমুখি , মৃত্যুর কল্পিত ছবি আঁকি রং তুলি হাতে, আচ্ছা মৃত্যুর অবয়ব দেখেছি আঁধারে অতল অন্ধকারে, তুমি সুন্দর দুর্নিবার অনির্বাণ গহ্বরে, আঁধারের আলোয় উদ্ভাসিত মুখচ্ছবি, দেখেছি তোমায়, তুমি সত্য, আমি দেখেছি তোমায়, যেতে পারি বন্ধুর মতো, বাদাম ভেঙে খেতে খেতেই চলে যাব,
আর সবার মতো নয়, আমার ইচ্ছে হলে তবেই। তুমি কি জানো ; ওগো সুন্দর, ভীষণ ভালোবাসি আঁধারে চুমোচুমি, এবং, তোমার নিকষ আঁধার বনভূমি, যেখানে কালো ক্যানভাসে আঁকে ছবি, বন বীথিকা সারি সারি শাখাপ্রশাখা, ভালো লাগে কালো আমার , এখন আলোয় উদ্ভাসিত মোহময় পাখির খাঁচায় বন্দী পড়ে আছি। যেতে পারি এখনই এই আঁধারেই , বাগানের সব গাছে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে যে দিন, আর, কুঁড়ি গুলো পিছু থেকে হাত নেড়ে ডাকলে পরে, আমি জানি; তুমিও ভীষণ ক্লান্ত শব দেহ বয়ে,
জব্ স্যাটিসফাইড নও তুমি,
যাই হোক না কেন, তুমি এস কোন বর্ষা মুখর আঁধার রাতে, আষাঢ় শ্রাবণে অঝোর ধারার প্লাবনে, বৃষ্টি ধারায় ধৌত ফুলের মিষ্ট সুবাসে , ঝমঝম বৃষ্টির নৃত্যের তালে লয়ে মেঘের ঘনঘটায়, প্রবল গর্জনে, গর্ভ স্থাপন বীজ বপনের পরে, চলে যাব শীঘ্রই , তবে এখন না, তুমি ভীষণ ভুলে যাও ইদানিং, লিখে রেখো আকাশের বুকে আমার নাম, আমি মৃত্যুঞ্জয়ী মহানায়ক মানুষ, আমি মৃত্যুঞ্জয়..........., দেখা হবে বন্ধু, তোমার সাথে ; সেই বরষায় বর্ষণ ধারায় ঘন অন্ধকার কালো রাত্তিরে, বীজ স্থাপনের পরে.......... একটুখানি গোছানো হলে পরে, প্রদীপে তেল দিয়ে যেও,
ও ঘরে সরিয়ে নিও প্রদীপ খানি, আঁধার আমার ভালো লাগে............. তুমি অচেনা নও বন্ধু ; বহুবার দেখেছি তোমায় আমি , এখন ক্লান্তির বলিরেখা তোমার কপালে, গভীর অনুভূতি জাগে আমার
অস্তিত্বের দ্যোতক প্রতিধ্বনিত অনুরণনে, বেশ এস, যাবো নিশ্চয়ই , আঁধার আমার ভালো লাগে........... দূরে নয়,
বেহালার সুর ভেসে আসে,
বাতাসেরা চুম দিয়ে লুকায় দূরে............. অমারাতি বড়ই ভালো লাগে, আমি অমাজিৎ,
আমি মৃত্যুঞ্জয়, চলে যাব পায়ে ঠেলে দিয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে ; কচুপোড়া সব ফেলে দিয়ে তবে বাগানের সব গাছে ফুল ফোটা দেখে , শূন্যের কারবারি কখনও আমি, হতে পারিনি .............ওরে , বীজ ধান তুলে রাখ ভরে........... আকাশে মেঘের ঘনঘটা, বৃষ্টিরা ঝরবে বলে , মেঘদল খেলা করে, চমকায় বিদ্দ্যুলতা শম্পা সুন্দরী, কেতকী অবগাহন স্নানে আশায় আশায়, উজ্জ্বল উজ্জীবিত পূর্ণ প্রস্ফুটিত , সুবাস ছড়ায় ছড়ায়, যা আহ্লাদ তার, তা সবই আমানত, মেঘরাজে, জলে মাছ খেলা করে , ফুল ফোটে ডালে ডালে, বাতাসের এলোমেলো দোলা দিয়ে যায়, মাঝি মাল্লারা বায় দাঁড় মাঝ দরিয়ায়, বউ তার চেয়ে আছে দূর সীমানায় , ভাটিয়ালি ভাওয়াইয়া সুর, ভাসে বুকে নুন ভাতের সুগন্ধের প্লাবিত হাওয়ায়, মিলনান্তক বেহালার সুরে গর্ভবতী হয় লোকালয়, খেলা করে গর্ভাশয়ে যৌবনের গান সুর তাল ছন্দ, শূন্য ; তোমার প্রেমের পরশ রেখো দক্ষিণ হস্তের 'পরে , কে জাগে এতো সুন্দর নির্জনে একাকি, একাকিত্বের বেদনব্যথায় আলুথালু অবিন্যস্ত শয্যায়, বক্ষ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সৌন্দর্য্যায়ণে আশালতা দোলে, অরণ্যের চন্দন সুবাস ভেসে আসে প্রাণের গভীরে, সুবাসিত সুভাষিত চন্দন , জাগায় যৌবন দ্যুতিময় সুদীপ্ত
ঝম্পক তালে, মেঘদূত রচে প্রেমর চূড়ান্ত পর্যায়ে , অলিখিত কামনা বাসনার দিনলিপি, খসে পড়ে উড়নী অকারণে, ওড়ে অঞ্চল দুষ্টু বাতাসে ............
অমিতাভ দত্ত
ঘন অন্ধকারে নিমজ্জিত নিশিথে। আলোহীন বসে আছি মুখোমুখি , মৃত্যুর কল্পিত ছবি আঁকি রং তুলি হাতে, আচ্ছা মৃত্যুর অবয়ব দেখেছি আঁধারে অতল অন্ধকারে, তুমি সুন্দর দুর্নিবার অনির্বাণ গহ্বরে, আঁধারের আলোয় উদ্ভাসিত মুখচ্ছবি, দেখেছি তোমায়, তুমি সত্য, আমি দেখেছি তোমায়, যেতে পারি বন্ধুর মতো, বাদাম ভেঙে খেতে খেতেই চলে যাব,
আর সবার মতো নয়, আমার ইচ্ছে হলে তবেই। তুমি কি জানো ; ওগো সুন্দর, ভীষণ ভালোবাসি আঁধারে চুমোচুমি, এবং, তোমার নিকষ আঁধার বনভূমি, যেখানে কালো ক্যানভাসে আঁকে ছবি, বন বীথিকা সারি সারি শাখাপ্রশাখা, ভালো লাগে কালো আমার , এখন আলোয় উদ্ভাসিত মোহময় পাখির খাঁচায় বন্দী পড়ে আছি। যেতে পারি এখনই এই আঁধারেই , বাগানের সব গাছে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে যে দিন, আর, কুঁড়ি গুলো পিছু থেকে হাত নেড়ে ডাকলে পরে, আমি জানি; তুমিও ভীষণ ক্লান্ত শব দেহ বয়ে,
জব্ স্যাটিসফাইড নও তুমি,
যাই হোক না কেন, তুমি এস কোন বর্ষা মুখর আঁধার রাতে, আষাঢ় শ্রাবণে অঝোর ধারার প্লাবনে, বৃষ্টি ধারায় ধৌত ফুলের মিষ্ট সুবাসে , ঝমঝম বৃষ্টির নৃত্যের তালে লয়ে মেঘের ঘনঘটায়, প্রবল গর্জনে, গর্ভ স্থাপন বীজ বপনের পরে, চলে যাব শীঘ্রই , তবে এখন না, তুমি ভীষণ ভুলে যাও ইদানিং, লিখে রেখো আকাশের বুকে আমার নাম, আমি মৃত্যুঞ্জয়ী মহানায়ক মানুষ, আমি মৃত্যুঞ্জয়..........., দেখা হবে বন্ধু, তোমার সাথে ; সেই বরষায় বর্ষণ ধারায় ঘন অন্ধকার কালো রাত্তিরে, বীজ স্থাপনের পরে.......... একটুখানি গোছানো হলে পরে, প্রদীপে তেল দিয়ে যেও,
ও ঘরে সরিয়ে নিও প্রদীপ খানি, আঁধার আমার ভালো লাগে............. তুমি অচেনা নও বন্ধু ; বহুবার দেখেছি তোমায় আমি , এখন ক্লান্তির বলিরেখা তোমার কপালে, গভীর অনুভূতি জাগে আমার
অস্তিত্বের দ্যোতক প্রতিধ্বনিত অনুরণনে, বেশ এস, যাবো নিশ্চয়ই , আঁধার আমার ভালো লাগে........... দূরে নয়,
বেহালার সুর ভেসে আসে,
বাতাসেরা চুম দিয়ে লুকায় দূরে............. অমারাতি বড়ই ভালো লাগে, আমি অমাজিৎ,
আমি মৃত্যুঞ্জয়, চলে যাব পায়ে ঠেলে দিয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে ; কচুপোড়া সব ফেলে দিয়ে তবে বাগানের সব গাছে ফুল ফোটা দেখে , শূন্যের কারবারি কখনও আমি, হতে পারিনি .............ওরে , বীজ ধান তুলে রাখ ভরে........... আকাশে মেঘের ঘনঘটা, বৃষ্টিরা ঝরবে বলে , মেঘদল খেলা করে, চমকায় বিদ্দ্যুলতা শম্পা সুন্দরী, কেতকী অবগাহন স্নানে আশায় আশায়, উজ্জ্বল উজ্জীবিত পূর্ণ প্রস্ফুটিত , সুবাস ছড়ায় ছড়ায়, যা আহ্লাদ তার, তা সবই আমানত, মেঘরাজে, জলে মাছ খেলা করে , ফুল ফোটে ডালে ডালে, বাতাসের এলোমেলো দোলা দিয়ে যায়, মাঝি মাল্লারা বায় দাঁড় মাঝ দরিয়ায়, বউ তার চেয়ে আছে দূর সীমানায় , ভাটিয়ালি ভাওয়াইয়া সুর, ভাসে বুকে নুন ভাতের সুগন্ধের প্লাবিত হাওয়ায়, মিলনান্তক বেহালার সুরে গর্ভবতী হয় লোকালয়, খেলা করে গর্ভাশয়ে যৌবনের গান সুর তাল ছন্দ, শূন্য ; তোমার প্রেমের পরশ রেখো দক্ষিণ হস্তের 'পরে , কে জাগে এতো সুন্দর নির্জনে একাকি, একাকিত্বের বেদনব্যথায় আলুথালু অবিন্যস্ত শয্যায়, বক্ষ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সৌন্দর্য্যায়ণে আশালতা দোলে, অরণ্যের চন্দন সুবাস ভেসে আসে প্রাণের গভীরে, সুবাসিত সুভাষিত চন্দন , জাগায় যৌবন দ্যুতিময় সুদীপ্ত
ঝম্পক তালে, মেঘদূত রচে প্রেমর চূড়ান্ত পর্যায়ে , অলিখিত কামনা বাসনার দিনলিপি, খসে পড়ে উড়নী অকারণে, ওড়ে অঞ্চল দুষ্টু বাতাসে ............
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন