সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৪৮.
ঢাকিরা বাজায় ঢাক খালেবিলে।
তিনি বলেছিলেন।আমরা সকলেই কথাটা জানতাম।তাঁর আগে আমরা কেউ বলিনি। একারণে ঢাকের কথা বা বাদ্যি এসে গেলেই তাঁর কথা মনে পড়ে যায়।এটি আদিখ্যেতা নয়। এটিই আমার স্বভাব।
আর ঢাক যখন বাজাব , তখন নিজের ঢাক নিজেই বাজাব। বাজনদার-দের ডাকতে যাব কেন। অর্থাৎ আত্মপ্রচার একটি কৌশল মাত্র।
এখন আরো একটা কথা বলে রাখতে চাইছি। আমরা ঢাক এবং ঢোল -কে মিশিয়ে ঢাকঢোল বলে থাকি।মনে রাখতে হবে ঢাক এবং ঢোল দুটি ভিন্ন তালবাদ্য।
ঢোল-এর কণ্ঠস্বর ততটা তীব্র নয় , ঢাকের ঢক্কানিনাদ সুদূরপ্রসারী। অতএব গ্রহণ করলাম ঢাক।
এই পর্বে এমন কিছু কথা বলব , যা খুব একটা শ্রুতিমধুর নয়। তবে আমি যা বলব তা আমার বিশ্বাস থেকে বলব। একেই সম্ভবত আত্মবিশ্বাস বলে। আমার পুত্রবৎ এক কবি বলে থাকে আমার ' কনফিডেন্সের কথা।সে খুব একটা ভুল বলে না। আমি যা করি বা এতদিন যা করেছি তা করার জন্য 'আত্মবিশ্বাস ' একটি জরুরি পরিসেবা । আমি অন্তর থেকে যা করতে চেয়েছি , সেই কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাজ থেকে সরে আসিনি।
এবার আমার কার্যাবলি এবং তার প্রভাব সম্পর্কে গুটিকয় কথা সবিনয়ে নিবেদন করছি।
১. কবিতাপাক্ষিক প্রতি পক্ষে ধারাবাহিকভাব নিয়মিত প্রকাশ হয়ে যাবার পর অনেকেই বুঝতে পেরেছিলেন --- এই কাজটা করা অসম্ভব নয়। এর ঠিক পরেপরেই নয় , পঞ্চাশটা সংখ্যা প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়াগুলি লক্ষ করা গেল ।
ক. বাঁকুড়ার বেলবনী থেকে রাজকল্যাণ চেল - এর সুযোগ্য নেতৃত্বে ' কবিতা দশদিনে ' পত্রিকাটির প্রকাশ শুরু হয়।
খ. পুরুলিয়া থেকে অংশুমান কর-এর উদ্যোগে 'নাটমন্দির' প্রতিমাসে বের হতে থাকে।
গ. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অর্ণব সাহা-র পরিচালনায় সাপ্তাহিক কবিতা পত্রিকা প্রকাশ করতে থাকে।
বলার কথা হল এই পত্রিকাগুলির মূল সংগঠকরা সকলেই কবিতাপাক্ষিকের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত ছিল। এবং এটাও ঢাক পিটিয়ে বলত--- আমার অনূপ্রেরণা ছিল এই পত্রিকাগুলির ভাবনা- চিন্তায়। এটাই ছিল চরম- বাস্তব ।
ে পারি --- আমার অনূপ্রেরণা ছিল এই পত্রিকাগুলির ভাবনা- চিন্তায়। এটাই ছিল চরম- বাস্তব ।
এই বাস্তবতা থেকেই একটি রূপচর্চা -র বাণিজ্যিক পত্রিকা কবিতা প্রকাশ শুরু করেছিল। কবিতাপাক্ষিক-এর একচেটিয়া আধিপত্য-কে খর্ব করার জন্য। ওদের লক্ষ্য কিছুটা পূরণ হয়েছিল নিশ্চয় । অনেকেই দল বেধে রূপচর্চার দিকে ঢলে গিয়েছিল। তাতেও কবিতাপাক্ষিক বন্ধ হয়ে যায়নি। আমাদের লক্ষ্য তখনো পূরণ হয়নি। আজও হয়নি।
আমরা কবিতাকে আপডেট করতে চেয়েছি প্রথম থেকেই। এখনো সেই আপডেট করার কাজ করে চলেছি।
রূপচর্চা-র পত্রিকাতে সবটা হয়ে উঠছিল না। অবশেষে ' কৃত্তিবাস ' - কে পুনরায় জীবিত করতে হল। যে পত্রিকা মৃত ঘোষিত ছিল , হয়ত মৃত নয় , ভেন্টিলেটারে ছিল , তাকে আবার সজীব করা হল।
এসব কর্মকাণ্ড কিন্তু কবিতার পরিসরকে অগ্রসর করেছে। অনেক নতুন নতুন কবি উঠে আসতে লাগল। কবিতার স্বীকৃতি আসতে লাগল। যে প্রতিষ্ঠান কবিতার নির্বাসন চেয়েছিলেন , তারা বুঝতে পেরেছিলেন কবিতাকে নির্বাসনে পাঠাবার কোনো ক্ষমতাই তাঁদের নেই।
কবিতা এমন একটি মাধ্যম যার মৃত্যু নেই। মানুষ যতদিন পর্যন্ত স্বপ্ন দেখবে ততদিন কবিতাও থাকবে।
ঢাকটিকে নামিয়ে রাখলাম। আগামীকাল বাঁশি শোনাবো।
প্রভাত চৌধুরী
৪৮.
ঢাকিরা বাজায় ঢাক খালেবিলে।
তিনি বলেছিলেন।আমরা সকলেই কথাটা জানতাম।তাঁর আগে আমরা কেউ বলিনি। একারণে ঢাকের কথা বা বাদ্যি এসে গেলেই তাঁর কথা মনে পড়ে যায়।এটি আদিখ্যেতা নয়। এটিই আমার স্বভাব।
আর ঢাক যখন বাজাব , তখন নিজের ঢাক নিজেই বাজাব। বাজনদার-দের ডাকতে যাব কেন। অর্থাৎ আত্মপ্রচার একটি কৌশল মাত্র।
এখন আরো একটা কথা বলে রাখতে চাইছি। আমরা ঢাক এবং ঢোল -কে মিশিয়ে ঢাকঢোল বলে থাকি।মনে রাখতে হবে ঢাক এবং ঢোল দুটি ভিন্ন তালবাদ্য।
ঢোল-এর কণ্ঠস্বর ততটা তীব্র নয় , ঢাকের ঢক্কানিনাদ সুদূরপ্রসারী। অতএব গ্রহণ করলাম ঢাক।
এই পর্বে এমন কিছু কথা বলব , যা খুব একটা শ্রুতিমধুর নয়। তবে আমি যা বলব তা আমার বিশ্বাস থেকে বলব। একেই সম্ভবত আত্মবিশ্বাস বলে। আমার পুত্রবৎ এক কবি বলে থাকে আমার ' কনফিডেন্সের কথা।সে খুব একটা ভুল বলে না। আমি যা করি বা এতদিন যা করেছি তা করার জন্য 'আত্মবিশ্বাস ' একটি জরুরি পরিসেবা । আমি অন্তর থেকে যা করতে চেয়েছি , সেই কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাজ থেকে সরে আসিনি।
এবার আমার কার্যাবলি এবং তার প্রভাব সম্পর্কে গুটিকয় কথা সবিনয়ে নিবেদন করছি।
১. কবিতাপাক্ষিক প্রতি পক্ষে ধারাবাহিকভাব নিয়মিত প্রকাশ হয়ে যাবার পর অনেকেই বুঝতে পেরেছিলেন --- এই কাজটা করা অসম্ভব নয়। এর ঠিক পরেপরেই নয় , পঞ্চাশটা সংখ্যা প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়াগুলি লক্ষ করা গেল ।
ক. বাঁকুড়ার বেলবনী থেকে রাজকল্যাণ চেল - এর সুযোগ্য নেতৃত্বে ' কবিতা দশদিনে ' পত্রিকাটির প্রকাশ শুরু হয়।
খ. পুরুলিয়া থেকে অংশুমান কর-এর উদ্যোগে 'নাটমন্দির' প্রতিমাসে বের হতে থাকে।
গ. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অর্ণব সাহা-র পরিচালনায় সাপ্তাহিক কবিতা পত্রিকা প্রকাশ করতে থাকে।
বলার কথা হল এই পত্রিকাগুলির মূল সংগঠকরা সকলেই কবিতাপাক্ষিকের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত ছিল। এবং এটাও ঢাক পিটিয়ে বলত--- আমার অনূপ্রেরণা ছিল এই পত্রিকাগুলির ভাবনা- চিন্তায়। এটাই ছিল চরম- বাস্তব ।
ে পারি --- আমার অনূপ্রেরণা ছিল এই পত্রিকাগুলির ভাবনা- চিন্তায়। এটাই ছিল চরম- বাস্তব ।
এই বাস্তবতা থেকেই একটি রূপচর্চা -র বাণিজ্যিক পত্রিকা কবিতা প্রকাশ শুরু করেছিল। কবিতাপাক্ষিক-এর একচেটিয়া আধিপত্য-কে খর্ব করার জন্য। ওদের লক্ষ্য কিছুটা পূরণ হয়েছিল নিশ্চয় । অনেকেই দল বেধে রূপচর্চার দিকে ঢলে গিয়েছিল। তাতেও কবিতাপাক্ষিক বন্ধ হয়ে যায়নি। আমাদের লক্ষ্য তখনো পূরণ হয়নি। আজও হয়নি।
আমরা কবিতাকে আপডেট করতে চেয়েছি প্রথম থেকেই। এখনো সেই আপডেট করার কাজ করে চলেছি।
রূপচর্চা-র পত্রিকাতে সবটা হয়ে উঠছিল না। অবশেষে ' কৃত্তিবাস ' - কে পুনরায় জীবিত করতে হল। যে পত্রিকা মৃত ঘোষিত ছিল , হয়ত মৃত নয় , ভেন্টিলেটারে ছিল , তাকে আবার সজীব করা হল।
এসব কর্মকাণ্ড কিন্তু কবিতার পরিসরকে অগ্রসর করেছে। অনেক নতুন নতুন কবি উঠে আসতে লাগল। কবিতার স্বীকৃতি আসতে লাগল। যে প্রতিষ্ঠান কবিতার নির্বাসন চেয়েছিলেন , তারা বুঝতে পেরেছিলেন কবিতাকে নির্বাসনে পাঠাবার কোনো ক্ষমতাই তাঁদের নেই।
কবিতা এমন একটি মাধ্যম যার মৃত্যু নেই। মানুষ যতদিন পর্যন্ত স্বপ্ন দেখবে ততদিন কবিতাও থাকবে।
ঢাকটিকে নামিয়ে রাখলাম। আগামীকাল বাঁশি শোনাবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন