সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৪২.
যেদিন এই পর্বটি প্রকাশিত হবে সেদিন আমার ৭৬ তম জন্মদিন।কাজেই জন্মদিনেই থাকতে চাইছি।
আমাদের বাড়িতে জন্মদিন মানেই পরমান্ন অর্থাৎ পায়েস। আমাদের দেশের বাড়ি থেকে সে-চাল আসত।চালটির নাম ছিল অদ্ভুত। পরমায়শাল।এটা কি পরমায়ু -র সঙ্গে যুক্ত একটি শব্দ।জানি না। তবে সেই চালের গন্ধ এখনো জেগে আছে। পায়েসের গন্ধও। আর আমি ছিলাম বাড়ির বড়ো ছেলে। কাজেই আমার প্রাপ্তিটা অনেক বেশি। অবশ্য পায়েসটা যে কেবলমাত্র আমার জন্যই হত , এমনটা নয়। বড়ো পেতলের হাঁড়িতে এক হাঁড়ি পায়েস হত।
সেই পায়েসের গন্ধ এবং স্বাদ এখনো খুব কাছ থেকে অনুভব করি।
আমার চাকরি জীবনে আমার থেকে ভাগ্যবান আর কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। আমার সহকর্মীরা আমার পরমাত্মীয় ছিল। রুহিদাস সাহারায় , বিমান মুখোপাধ্যায় , সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় , মহম্মদ জিন্নুর , মৃণাল ঘোষ , জীবেশ নায়েক , প্রদীপ দত্ত , কাশীনাথ সাধুখাঁ সহ আরো অনেক সহকর্মীর সমবেত উদ্যোগে অফিস ছুটির পর আমার জন্মদিন পালন করা হত। এটা আর কোনো কবির কর্মজীবনে হয়েছে কিনা আমি জানি না।
কবিতাপাক্ষিক পর্বে এসে বেশ বড়ো করে , বা অনুষ্ঠান করে জন্মদিন পালন শুরু হল।আমার ষাট বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হয়েছিল ছান্দার- কাদাকুলিতে। কবিতাচর্চা কেন্দ্র-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে মান্যবর শঙ্খ ঘোষ গিয়েছিলেন। আমার গ্রামের বাড়িতে। তারপর তো প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে কয়েকটা : বহরমপুর , বাঁশলই , বাঁকুড়া , অবনীন্দ্র সভাঘর , মহাবোধি সোসাইটি , জীবনানন্দ সভাঘর।এইসব অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কবিতাপাক্ষিক। আর এবারের , এই মহামারির সময়ে সারাদিন ধরেই চলছে আমার জন্মদিন পালন ,অনলাইনে।
আমি ভাগ্যবান। আমি গর্বিত। আমি সম্মানিত। আমি আপ্লুত।
আজ আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দেবার নেই।
আমি লিখতে চাই। কেবল লিখতেই চাই।
আমি নিজেকে প্রতিনিয়ত আপডেট করতে চাই। আমি আরো চাই সমগ্র বাংলাকবিতা আপডেটেড হোক। সেই কাজে আপনাদের সকলের সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা প্রার্থনা করি।
আসুন সম্মাননীয় আধুনিক কবিদের বিদায় সংবর্ধনার জন্য এক মহতী জনসভার আয়োজন করার কাজ শুরু করা যাক।
আগামীকাল আবার ফিরে যাবো বহরমপুরে
প্রভাত চৌধুরী
৪২.
যেদিন এই পর্বটি প্রকাশিত হবে সেদিন আমার ৭৬ তম জন্মদিন।কাজেই জন্মদিনেই থাকতে চাইছি।
আমাদের বাড়িতে জন্মদিন মানেই পরমান্ন অর্থাৎ পায়েস। আমাদের দেশের বাড়ি থেকে সে-চাল আসত।চালটির নাম ছিল অদ্ভুত। পরমায়শাল।এটা কি পরমায়ু -র সঙ্গে যুক্ত একটি শব্দ।জানি না। তবে সেই চালের গন্ধ এখনো জেগে আছে। পায়েসের গন্ধও। আর আমি ছিলাম বাড়ির বড়ো ছেলে। কাজেই আমার প্রাপ্তিটা অনেক বেশি। অবশ্য পায়েসটা যে কেবলমাত্র আমার জন্যই হত , এমনটা নয়। বড়ো পেতলের হাঁড়িতে এক হাঁড়ি পায়েস হত।
সেই পায়েসের গন্ধ এবং স্বাদ এখনো খুব কাছ থেকে অনুভব করি।
আমার চাকরি জীবনে আমার থেকে ভাগ্যবান আর কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। আমার সহকর্মীরা আমার পরমাত্মীয় ছিল। রুহিদাস সাহারায় , বিমান মুখোপাধ্যায় , সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় , মহম্মদ জিন্নুর , মৃণাল ঘোষ , জীবেশ নায়েক , প্রদীপ দত্ত , কাশীনাথ সাধুখাঁ সহ আরো অনেক সহকর্মীর সমবেত উদ্যোগে অফিস ছুটির পর আমার জন্মদিন পালন করা হত। এটা আর কোনো কবির কর্মজীবনে হয়েছে কিনা আমি জানি না।
কবিতাপাক্ষিক পর্বে এসে বেশ বড়ো করে , বা অনুষ্ঠান করে জন্মদিন পালন শুরু হল।আমার ষাট বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হয়েছিল ছান্দার- কাদাকুলিতে। কবিতাচর্চা কেন্দ্র-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে মান্যবর শঙ্খ ঘোষ গিয়েছিলেন। আমার গ্রামের বাড়িতে। তারপর তো প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে কয়েকটা : বহরমপুর , বাঁশলই , বাঁকুড়া , অবনীন্দ্র সভাঘর , মহাবোধি সোসাইটি , জীবনানন্দ সভাঘর।এইসব অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কবিতাপাক্ষিক। আর এবারের , এই মহামারির সময়ে সারাদিন ধরেই চলছে আমার জন্মদিন পালন ,অনলাইনে।
আমি ভাগ্যবান। আমি গর্বিত। আমি সম্মানিত। আমি আপ্লুত।
আজ আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দেবার নেই।
আমি লিখতে চাই। কেবল লিখতেই চাই।
আমি নিজেকে প্রতিনিয়ত আপডেট করতে চাই। আমি আরো চাই সমগ্র বাংলাকবিতা আপডেটেড হোক। সেই কাজে আপনাদের সকলের সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা প্রার্থনা করি।
আসুন সম্মাননীয় আধুনিক কবিদের বিদায় সংবর্ধনার জন্য এক মহতী জনসভার আয়োজন করার কাজ শুরু করা যাক।
আগামীকাল আবার ফিরে যাবো বহরমপুরে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন